আমার বাইক চালানোর শুরুটা হয় বাজাজ প্লাটিনা দিয়ে। পরবর্তিতে বিভিন্ন সময়ে ব্যবহার করি বাজাজ ডিস্কোভার ১০০ এবং বাজাজ পালসার। হয়তো বয়সে তরুন বলে হয়তো গতি পছন্দ। আর তাই যখন বাজারে বাজাজ পালসার এএস১৫০ আসলো তখন বাইকটি কিনে নিতে আমি দেরি করিনি। এ ঘটনা আজ থেকে এক বছরেরও আগের কথা। ইতমধ্যেই আমি বাইকটি নিয়ে ১০ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি পথ পাড়ি দিয়েছি। সময় হয়েছে বাইকটি সম্পর্কে কিছু বলার। আমি রেজোয়ান আহমেদ রাব্বি। ছাত্র। পাশাপাশি অনলাইন ভিত্তিক কিছু কাজের সাথে জড়িত। থাকি টাংগাইল মধুপুর।
বাজাজ পালসার এএস১৫০ মোটরসাইকেলটি কেনার প্রধান উদ্দেশ্য ছিলো বাইকটির গতি। আমি জোরে মোটরসাইকেল চালাতে পছন্দ করি আর আমার বাজেটের মধ্যে এই মোটরসাইকেলটি আমার পছন্দের গতিতে সহজেই পৌছে দেয়। আর তাই বাইকটির কথা বলতে গেলে প্রথমেই এর শক্তিশালী ইনজিনের কথা বলতে হয়। ইনজিনটি যথেষ্ট শক্তিশালী এবং দ্রুত স্পীড তুলতে পারে। খুব দ্রুতই আমি ১২০ থেকে ১৩৫কিমি পর্যন্ত তুলতে পারি। আমি সাধারনতই ৭০-৯০কিমি/ঘন্টা স্পীডে বাইক চালাই। বাইকটি স্পীড তুলতে কখনই হতাশ করে না। ইনজিন অতিরক্ত গরম হওয়া বা ভাইব্রেশন কখনও অনুভব করিনি।
বাইকটির ডিজাইনের কথা বলতে গেলে বলতে হয় যে বাইকটির দিকে তাকালেই মনে হয় ছুটে চলার জন্যই একে বানানো হয়েছে। ডিজাইনটি এক দেখাতেই যে কারোর ভালো লেগে যাবার কথা। বাইকটিতে ব্যবহৃত প্লাস্টিক বা সুইচ সবগুলোই বেশ মজবুত এবং ব্যবহারে আরামদায়ক। আমি কখনই সমস্যাবোধ করিনি।
বাইকটি চালিয়ে আরামদায়ক। সিটিং পজিশন এবং হ্যান্ডেলবারের পজিশন অনেক ভালো। বাইকটি কিছুটা উচু বলে যাদের উচ্চতা ৬ফুটের মতো তাদের জন্য বাইকটি বেশি আরামদায়ক। বাইকটির সাসপেনশন এবং ব্রেকিং ভালো। যদিও পেছনের চাকা চিকন থাকায় কিছুটা সমস্যাবোধ হয়। হেড লাইটের অনেক অনেক শক্তিশালী। রাতের রাস্তায় বাইক চালাতে মোটেও কষ্ট হয় না। অনেক দূর পর্যন্ত রাস্তা স্পষ্ট দেখা যায়।
বাইকটির জ্বালানি খরচ কিছুটা বেশি। অবশ্য এতো গতিতে বাইক চালাতে তেল খরচতো হবেই। বাইকটি শুরুতে লিটারে ৪০কিমি এর মতো পেলেও বর্তমানে ৩০-৩২কিমি পাচ্ছি।
বাইকটির সমস্যায় সার্ভিসিং সেন্টারে গিয়েছি। তাদের ব্যবহার বা কাজের মান কোনোটাই আমাকে সন্তুষ্ট করেত পারেনি। পরবর্তীতে বাইকের যে কোনো কাজে আমি আমার পরিচিত টেকনিশিয়ানকে দিয়ে কাজ করিয়েছি।
আমার বাইকের কিছু ভালো দিক
- চমতকার ডিজাইন
- দূর্দান্ত গতি
- আরামদায়ক
- শক্তিশালী হেডলাইট
- ভালো কন্ট্রোল
বাইকটির কিছু খারাপ দিক
- পেছনের চাকা চিকন
- সীট হাইট বেশি
- ফুটরেস্ট এর মান ভালো না
পরিশেষে আমি এটাই বলবো সব মিলিয়ে আমি বাইকটির উপরে সন্তুষ্ট। যাদের উচ্চতা এবং ওজন বেশি এবং বয়সে তরুন তারা এই বাইকটি কিনতে পারেন।