This user provides ratings about this bike
8 out of 10
Design
Comfort & Control
Fuel Efficient
Service Experience
Value for money
Bajaj Pulsar AS150 motorcycle ownership review by Razuyan Ahmed Rabbi
আমি রেজোয়ান আহমেদ রাব্বি। বাড়ী টাংগাইল মধুপুর। ডিপ্লোমা ইনজিনিয়ারিং পাশ করে বিএসসিতে সবে ভর্তি হয়েছি। আমি বেশ কয়েকবছর থেকেই অনলাইনে কিছু কাজের সাথে জড়িত। একাজের ফলে আমি কিছুটা হলেও আত্ননির্ভরশীল হয়েছি। অন্তত নিজের ছোট-বড় শখ পূরনে আর তেমন বাধা নেই। যেমন আমার এই বাইক।
আর দশটি ছেলের মতোই ছোটোবেলা থেকেই বাইকের প্রতি আমার আকর্ষন ছিলো দুর্নিবার। আর তাই বন্ধুদের কাছে যখন বাইক দেখি তখন নিজেই হিংসায় মরে যাই। নিজের একটা বাইকের জন্য খুবই ইচ্ছে জাগে। এই এই ইচ্ছের ফলেই আমি বাইক চালানো শিখি বন্ধুর বাইকে। বন্ধুর Bajaj Paltina 125cc বাইক দিয়ে হয় আমার বাইক চালানোর শুরু। এরপরে বিভিন্ন সময়ে Bajaj Discover 100cc, Bajaj Pulsar ইত্যাদি ব্যবহারের সুযোগ হয়েছে।
বাজাজ বাইকের প্রতি আমার দুর্বলতা সব সময়ই। চালিয়ে অনেক ভালো লাগে। আর শোরুমে যখন AS150 দেখি তখন আমি মুগ্ধ হয়ে যাই। বিশেষকরে এর স্টাইলের কারনে। এক কথায় অসাধারন। আসলে বাজাজ পালসার বাংলাদেশে দীর্ঘদিন দাপটের সাথে সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে। কমবেশি সবাই স্বীকার করে নেয় এর ভালো সার্ভিসের কথা। আর তাই নিজের জন্য বাইক কিনলে বাজাজেরই কিনবো এটি ফাইনাল করাই ছিলো কিন্তু মডেল সেট করা ছিলো না। AS150 দেখার পরে আমি আর দেরী করিনি কিনতে। বাইকটি দেখার পরেই কেনার আগ্রহ তুংগে ছিলো। কিন্তু আমাদের এলাকাতে এই বাইক না থাকায় পার্শ্ববর্তী জেলা জামালপুরের “মাহিমা বাজাজ” শোরুমে গিয়ে বাইকটি কিনি।
বাইকটি মুলত আমার শখ পুরন ও ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্যই। দূরে কোথাও ভ্রমনের সুযোগ হয় নাই কিন্তু এলাকার মধ্যে এই বাইকে চেপে আমি একটু বেশিই ঘুরে বেড়াই। খুবই আরামদায়ক ।অনুভূতি। যেমন ব্রেকিং, তেমন কন্ট্রোল। তেল খরচ সামান্য বেশি মনে হয়েছে। লিটারে ৪০কিমি। হয়তো আমার চালানোর স্টাইল রাফ বলে তেল খরচ বেশি হচ্ছে। বয়সে তরুন বলেই হয়তো মাঝে মাঝে জোরে বাইক চালাতে ইচ্ছে জাগে। আর তাই ২-১বার একটু বেশি গতিতেই বাইক চালিয়েছি। তখন স্পীড ১২৫-১৩০কিমি/ঘন্টা ছিলো।
ইনজিন
Pulsar AS150 ইঞ্জিন ১৪৯.৫ সিসির এয়ার কুল 4-valve DTS-i প্রযুক্তির। ইঞ্জিনটি খুবই শক্তিশালী এটির 17 PS @ 9500 rpm ম্যাক্সপাওয়ার থাকার কারনে অনেক শক্তিশারী এবং 13 Nm টর্ক থাকায় অন্য যেকোনো ১৫০ সিসির সাথে টক্কর দেয়া যায় সহজেই। সত্যি কথা বলতে আমাকে কেউ পিছনে ফেলে চলে গেলে আমার প্রেস্টিজে লাগে। আর তাই পালসার এ এস কে আমি পছন্দ করেছি তার অন্যতম কারন হলো এর স্পীড।
ডিজাইন
আমার মতে বাজাজ পালসার এ এস এর ডিজাইন অন্যতম সেরা ডিজাইন। এক দেখাতেই যে কারোর ভালো লাগবে। আর তাই নীল রং এর বাইকটি আমার এক দেখাতেই ভালো লেগে যায়। স্টাইলিশ হেড কিট, টু স্টেপ সীট আর সাথে সামনে হেড কিটের সাথে বড় সাইজের উইন্ডশীল্ড যেমন ভিন্ন লুক দিয়েছে তেমনি কমফোর্ট দিয়েছে।
কন্ট্রোল ও কমফোর্ট
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বাইক চালিয়েছি কিন্তু এই বাইকের মতো এতো শান্তি আমি পাই নাই। সীটে বসে হ্যান্ডেল ধরলেই অনেক কনফিডেন্স লাগে। নরম সাসপেনশন আর শক্তিশালী ব্রেকিং সিস্টেম আমার আত্নবিশ্বাস অনেক বাড়িয়ে দেয়। অনেকেই বলেন এই পালসারের পেছনের চাকা চিকন তাই ব্রেকিং-কন্ট্রোল তেমন ভালো হবে না। কিন্তু বাইকটি এতোদিন ব্যবহার করে আমার সে কথা একবারও মনে হয় নাই। আর মনোশক রেয়ার সাসপেনশনের সুবিধার কথা আলাদা করে বলার কিছুই নাই।
বাইকের যত্ন
বাইকটি নতুন তাই কোনকিছু নষ্ট হয়নি বা পরিবর্তন করতে হয় নাই। সারাদিন শেষে সুযোগ পেলে নিজেই বাইকটির যত্ন নেই পরিস্কার করি আর কখনও কখনও টেকনিশিয়ানের কাছে গিয়ে ওয়াশ করানো বা অন্যান্য ছোটখাটো কাজ করিয়ে নেই। সময়মতো মবিল ড্রেন দেই। চেষ্টা করি এলাকার বিশ্বস্ত পাম্প থেকে তেল নিতে।
সবশেষে
আমার সাথে আপনার মানসিকতা মিলতে নাও পারে এটিই স্বাভাবিক। বাইকটি আমার খুবই ভালো লাগে। এটি দেখতে যেমন কাজেও তেমন। স্টাইলের সাথে গতির অসাধারন মিল। বাইকটি আমার চাহিদা সম্পুর্নরূপেই পূরন করেছে। অন্তত আমি সন্তুষ্ট। যারা স্টাইল, গতি, কমফোর্ট এবং কন্ট্রোলকে এক সংগে পেতে চান তার নিশ্চিন্তে Bajaj Pulsar AS150 এর কথা ভাবতে পারেন। আমার বিশ্বাস আমার কষ্টের টাকার অপচয় হবে না।