বাইক কেনার কথা যখনই ভাবতাম আমার মাথায় সবার আগে আসতো আপডেট বাইক কেনার কথা কিন্তু আবার বাজেটের কথা ভেবে কিছুটা পিছুটান দিতে হতো, অন্যদিকে যখন শুনলান যে বাজাজ পালসারের ১২৫সিসির নতুন একটা বাইক বাজাআজ্রে আসছে, আমি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়েই নিলাম যে এবার আমি এই বাইকটা কিনেই ফেলবো। যখন আমি দামের ব্যাপারটা খেয়াল করলাম সেখানে ১৫০সিসি এবং ১২৫সিসি বাইকের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য আমি দেখলাম আবার ১২৫সিসির বাইকটা ঠিক কবে বাজারে আসবে সে ব্যাপারে কেউ সদুত্তর দিতে না পারাই আমি বাজাজ পালসার ১৫০সিসি নিওন বাইকটা কনে ফেলি যা আমি এখন পর্যন্ত নতুন অবস্থাতেই রেখে দিয়েছি বললেই চলে শুধুমাত্র নতুন ট্রাফিক আইনের কারনে। বাইকটা কেনা প্রায় ৭ দিন হলো এবং এই সাতদিনের মধ্যে আমি প্রায় ৫০ কিলোমিটার বা তার কিছু চালিয়েছি। পেশাগতভাবে আমি একজন চাকুরীজীবী এবং এই চাকুরীর কারনেই আমাকে মোটরসাইকেলের প্রয়োজনটা বেশি মনে হয়। আমার দেখা গেল ৭ দিনে আমার এই বাইকের সবচেয়ে আকর্ষনীয় দিকগুলা নিম্নরুপঃ
-এই বাইকটা এই কয়েকদিন চালিয়ে সবচেয়ে ভাল লাগা দিকটা হলো এর আরাম যা আমাকে অনেক মুগ্ধ করেছে এবং আমার মনে হয় পুর্বের পালসারের থেকে এই পালসার দুরের যাত্রায় অনেক সহায়ক হবে।
-এর লুকিংটা বাজাজের অন্য যেকোন মডেলের থেকে অনেক উন্নত যা সহজেই যে কারও নজর ফেরাতে সক্ষম বলে আমার মনে হয়
-এই বাইকে ব্যবহৃত রঙ এর সমন্বয়টা অসাধারণ বিশেষত কালো রঙ এর ওপর লাল রংটা অসাধারণ লাগে দেখতে। এই লাল রঙ এর একটা বিশেষত্ব আছে যা সকলের নজরে সহজেই আসে কারন এইটা উজ্জ্বল লাল।
-অনেক স্মুদ একটা বাইক যার জন্যে আমি আগেই বলেছি আমার এই বাইকটা দুরের পথে অনেক সহায়ক হবে
-ব্রেকিং সিস্টেম একক্তহায় অসাধারণ এবং এই বাইকে অসাধারনভাবে ওজন ব্যালান্স করা হয়েছে যা দরুন আমার মনে হয় কন্ট্রোল নিয়ে আমি কোন ধরনের ঝামেলায় পড়বো না
-চাকায় ব্যবহৃত গ্রিপ এবং এর গ্রিপিং এর সক্ষমতা উল্লেখ করার মত যার কারনে আমি মনে করি কড়া ব্রেক করলেও এই বাইকে স্কিডিং করার কোন সম্ভাবনাই নাই
যেহেতু আমি আমার বাইকটা খুব সামান্যই চালিয়েছি তাই এর খাআরাপ দিক আমার নজরে না আসাটাই স্বাভাবিক তারপরেও বেশ কয়েকটি দিক আমার চোখে পড়েছে যা আমার খারাপ লেগেছে অথবা আমার মনে হয়েছে যে এইগুলা কোম্পানী চাইলে আরও ভাল করতে পারতোঃ
-ইঞ্জিন স্টার্ট করতে আমাকে বেশ কয়েকবার কিক করতে হচ্ছে এখন প্রশ্ন হলো এটি কোন সমস্যা কি না তা আমার জানা নাই কারন শীতের সময় এমন সমস্যা প্রায় সকল বাইকেই হয়ে থাকে
-খুব সামান্য চালানোর পরেও আমি ইঞ্জিনের গরম অনুভব করেছি তবে আশা করছি এইটাও সময়ের সাথে সাথে ঠিক হয়ে যাবে
-অন্যদিকে এই বাইকে সৌন্দর্য আরও বাড়ানো যেত বলে আমি মনে করি, শুধুমাত্র ফুয়েল টাংকের সাথে একটা কিট লাগিয়ে এবং ইঞ্জিন গার্ড দিয়ে। কিন্তু এগুলা ছাড়াও যে এই বাইকের সৌন্দর্য কম তা কিন্তু না।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে ১৫০সিসি সেগমেন্টে আরও অনেক বাইক বাজারে ছিল তারপরেও কেন আমি পালসারের নতুন মডেল অন্য সবার কাছ থেকে রিভিউ না নিয়েই কিনে ফেললাম?
আমার ইচ্ছা ছিল এই মডেলের ১২৫সিসির বাইকটা কেনার কিন্তু সেটা আসতে অনেক দেরি হবে বলে শুনেছি আবার পালসারের প্রতি আমি অনেক আগে থেকেই দুর্বল তাই আমি যযখন দেখলাম যে ১৫০সিসির এই নতুন মডেলটা আমার সাধ্যের মধ্যেই রয়েছে, আমি আর অন্য কোনকিছু চিন্তা করিনি কারন এই ব্রান্ডটা হলো বাজাজ আর মডেল পালসার যা বহুবছর থেকে সুনামের সাথে বাংলাদেশে ব্যবসা করে আসছে সুতরাং এই পন্যের মান নিয়ে কোন ধরনের সন্দেহই নেই।