বাজাজ পালসার হচ্ছে বাংলাদেশের মোটরসাইকেল বাজারে সবচেয়ে বহুল বিক্রিত একটি সিরিজ। আমাদের দেশে অনেকেই আছেন যারা শুধুমাত্র পালসার বাইকটি একবার বললেই চিনে ফেলেন । আমার দেখা এক ভাই বাইক বলতে শুধু পালসারকেই বুঝে। আমিও পালসার বাইকের অনেক বড় একজন ভক্ত। আমার কাছে বাইকটি সার্বিক দিক থেকে অনেক ভালো মনে হয় । বাংলাদেশের বাজারে যখন সিসি লিমিট ১৬৫ সিসি করা হল তখন দেখলাম যে বাজারে ১৬০ সিসির পালসার এনএস আসছে। আমি আরও কিছুদিন অপেক্ষা করলাম কারণ আমি এনএস এফআই এবিএস এর টার্গেটে ছিলাম। এই এনএস এফআই এবিএস বাইকটি যখন বাংলাদেশের বাজারে আসলো তখন আমি সিদ্ধান্ত নিলাম বাইকটা কেনার এবং এখন আমি এই বাইকটা খুব ভালোভাবে ব্যবহার করছি। মোটরসাইকেলভ্যালীতে আমার এই মতামতগুলো আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো এবং আমি খুব গর্বিত যে বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি ওয়েব সাইটে আমার রিভিউ প্রকাশ করতে পারছি।
প্রথমেই এই বাইকের কিছু ভালো দিক আপনাদের সাথে শেয়ার করি -
-বাইকটির আউটলুক আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আমার দেখা বাংলাদেশের সেরা নেকেড স্পোর্টস বাইক হচ্ছে বাজাজ পালসার এনএস। এর সামনে এগ্রেসিভ ডিজাইন ও বডি শেপ আমার কাছে খুব চমৎকার লেগেছে।
-চালিয়ে অনেক আরামদায়ক। আমি একটানা অনেকক্ষণ রাইড করেও বাইকটি থেকে কোন ক্লান্তি অনুভব করিনি এবং আমার বিশ্বাস এই বাইক নিয়ে লং ট্যুর অনেক আরমদায়ক হবে।
-এবিএস ব্রেকিং থাকার ফলে ব্রেকিং এ পেয়েছি অনেক আত্মবিশ্বাস এবং যে কোন পরিস্থিতিতে আমি খুব ভালোভাবে ব্রেক করে নিতে পারছি।
-এফআই ইঞ্জিন তাই অবশ্যই বলা যায় যে বাইকের ইঞ্জিন অনেক ভালো। আর ভালো মানের তেল ব্যবহার করলে বাইক থেকে অনেক ভালো পারফর্মেন্স পাওয়া যায়।
-কন্ট্রোলিং খুব ভালো লেগেছে
মন্দ দিকের মধ্যে আমি যা যা অনুভব করেছি
-বাইকের মিটার প্যানেলে কোন গিয়ার শিফটিং ইন্ডিকেটর নাই । যার ফলে কোন গিয়ারে রাইড করছি সেটা বুঝতে একটু সমস্যা হয়।
-বাইকের সাথে যে স্টিকার লোগো ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো ভালোভাবে সংস্থাপন করা নাই যার ফলে যখন বাইকটা পরিস্কার করি তখন মনে হয় যে স্টিকার লগো খুলে যাবে।
-বাংলাদেশের বর্তমান মার্কেট অনুযায়ী দাম অনেক বেশি মনে হয়েছে।
শহরের মধ্যে আমি মাইলেজ পেয়েছি ৩৫ কিমি প্রতি লিটার এবং হাইওয়েতে মাইলেজ পেয়েছি ৪০ কিমি প্রতি লিটার। আমার মতে ১৬০ সিসির বাইক হিসেবে মাইলেজ ঠিক আছে।