বাজাজ পালসার এএস১৬০ মোটরসাইকেল রিভিউ -আসিফ আহমেদ

শুরুতেই আমি বলে রাখতে চাই যে, বাজাজ পালসার এনএস১৬০ টুইন ডিস্ক বাইকটা আমার জীবনের প্রথম মোটরসাইকেল এবং এর আগে আমি কোন বাইক চালাইনি এমনকি এই বাইকটা কেনার পরে আমি বাইক চালানো শিখেছি কাজেই অন্য সবার থেকে আমার কাছে এর অভিজ্ঞতাও আলাদা হবে এটাই স্বাভাবিক। পছন্দ নিয়ে বলতে গেলে আমি এই বাইকের ডিজাইন দেখামাত্র বাইক কেনার সিদ্ধান্ত নিই এবং এখন প্রায় ২ মাস যাবত আমি এই বাইকটা ব্যবহার করে আসছি একই সাথে ১৪০০ কিলোমিটার বা তার কিছু বেশি চালিয়েছি আর এই দুরুত্ব পার করার পর আমি আমার বাইকের মোটের ওপর পারফরমেন্স নিয়ে অনেক খুশি। এই বাইক নিয়ে অন্য সবার কি অবস্থা আমি জানি না তবে আমি ভাল আছি। গেল প্রায় ২ মাসে আমার দেখা আমার বাইকের সবচেয়ে ভাল কয়েকটি দিক হলঃ

এর কন্ট্রোলটা এককথায় অসাধারন যা যেকোন অবস্থায় আমাকে এই বাইকের কাংক্ষিত নিয়ন্ত্রন পেতে বিশ্বাস যোগায়
একইসাথে ওজনের ব্যালান্স অত্যন্ত্ব চমৎকারভাবে সমন্বয় করা হয়েছে এবং এই কারনে এই বাইক চালাতে আমি সত্যিকার অর্থে একটি বাইক চালানোর আনন্দ পাই।

ইঞ্জিনের পারফরমেন্সটা ফিল করার মত। আমার ব্যক্তিগত মতে ১৬৫সিসির একটা বাইকে এর থেকে ভাল পারফরমেন্স আর আশা করা ঠিক হবে না।

আর পালসারের গতানুগতিক ধারার ডিজাইন থেকে সরে আসা এই বাইকের ডিজাইন এককথায় মনোমুগ্ধকর যা আমাকে এক দেখাতেই ইম্প্রেস করেছে। সামনে থেকে নিয়ে পেছন পর্যন্ত প্রতিটা পার্ট দেখার মত

এছাড়াও আরও অনেক দিক আছে যা আমার অনেক ভাল লেগেছে।

অন্যদিকে খাআরাপ দিক নিয়ে বলতে গেলে আমি এখনও সরাসরি খারাপ বলার মত তেমন কোন দিক খুজে পায়নি কেবলমাত্র পেছেনের ডিস্ক ব্রেকে বাযে শব্দ ছাড়া। আমি ইতোমধ্যে একবার সার্ভিসিং সেন্টারে সার্ভিস করিয়েছি এবং তারপর কিছুদিন এই শব্দ বন্ধ ছিল কিন্তু তারপর আবারও শব্দ শুরু হয় যা চরম মাত্রায় বিরক্তিকর।

যদি প্রশ্ন করা হয় যে ১৬৫সিসির আরও অনেক বাইক থাকার পরেও কেন আমি বাজাজ পালসার এনএস১৬০সিসি কিনলাম?
এই প্রশ্নের আমি সরাসরি উত্তর দিলে আমাকে বলতে হবে যে এই বাইকের আউটলুক এবং ডিজাইন আমার কাছে এতটাই ভাল লেগেছে যে আমি বাইকটা দেখামাত্র বাইক কেনার সিদ্ধান্ত নিই আর এই বাইক দেখে যেহেতু বাইক কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি তাই অন্যকোন বাইক্ নিয়ে ভাবার সময়ও পাইনি।

মাইলেজ নিয়ে প্রশ্ন একটা থেকেই যায় যেহেতু আমার বাইকটা হল ১৬৫সিসি সেগমেন্টের, বলা বাহুল্য যে আমি আমার বাইকের মাইলেজ নিয়ে যথেস্টই সন্তুষ্ট কারন আমি শহর এবং হাইওয়েতে গড়ে মাইলেজ পাচ্ছি প্রায় ৪৫ কিলোমিটার বা তার কিছু বেশি। খুশি কারন আমি মনে করি সময়ের সাথে সাথে আমি আরও ভাল মাইলেজ পাবো।

এখন পর্যন্ত আমি আমার বাইকটা একটানা চালিয়েছি ৮০ কিলোমিটার যেখানে আমি আরাম নিয়ে কোন ধরনের সমস্যা টের পায়নি। অন্যদিকে সর্বোচ্চ গতি উঠিয়েছি ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা যা একটা বাইককে বোঝার জন্যে যথেস্ট না বলে মনে করি তাই উচ্চ গতির অবস্থা আমি আমার পরবর্তী রিভিউ এ উল্লেখ করবো ইন শা আল্লাহ।

All BAJAJ bike price in bd

Bajaj Pulsar NS160 Twin Disc