একটি বাইক যার রয়েছে ভালো ইঞ্জিন শক্তি, মাস্কুলার লুক এবং ভিন্ন ধর্মী বলতে সামনে ডাবল ডিস্ক ব্রেক। জ্বি হ্যাঁ আমি বিটল বোল্ট করবেট ১৫০ সিসি বাইকটির কথা বলছি। কারণ এটি বাংলাদেশের ১৫০ সিসি সেগমেন্টের মধ্যে ভিন্ন রকমের একটি বাইক এবং এতে বেশ ভালো কিছু ফিচারসও ব্যবহার করা হয়েছে যা রাইডারকে সুন্দর ভাবে রাইড করতে সহায়তা করবে ।
আমি কৌশিক ফারহান প্রায় ৮ মাস যাবত আমি ব্যবহার করছি মাস্কুলার একটি বাইক যার নাম বিটল বোল্ট করবেট। বাইকটি ভিন্ন ধর্মী এবং ফ্যাশানেবল একটি বাইক যার ফলে আমার কাছে খুব ভালো লেগে যায় এবং কেনার সিদ্ধান্ত নিই। আমি এর পূর্বে পালসার ১৫০ সিসি, হাংক ১৫০ সিসি সহ বিভিন্ন বাইক ব্যবহার করেছি এবং সবশেষ ব্যবহার করছি করবেট ১৫০ সিসি। আজকে আমি আপনাদের সাথে বিটল বোল্ট করবেট ১৫০ সিসি বাইকের ভালো মন্দ কিছু দিক নিয়ে আলোচনা করবো।
আমরা সাধারণত যে কোনো জিনিস কিনতে গেলে প্রথমেই এর আউটলুকটা লক্ষ্য করি এবং মনে মনে চিন্তা করি ভালো হবে কিনা। করবেট কেনার ক্ষেত্রে আমার ঠিক সেরকমই অনুভুতি কাজ করছিলো এবং আমি দেখলাম যে বাইকটি ডিজাইন মারাত্মক সুন্দর যার ফলে কোনো দ্বিধা না রেখে সরাসরি কিনে ফেলি। ডিজাইনের দিক দিয়ে আমি বলবো যে এটা পারফেক্ট একটি বাইক। অন্যদিকে বাইকটি বিল্ড কোয়ালিটিও আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। ডিজাইন ও বিল্ড কোয়ালিটি নিয়ে আমি অনেক সন্তুষ্ট আছি।
আমি সিংগেল রাইডিং এর থেকে পিলিয়ন নিয়ে চালিয়ে আরাম পাই এবং আমি মনে করি যে পিলিয়ন নিয়ে রাইড করার ক্ষেত্রে এর সিটিং পজিশন অনেক আরামদায়ক পাশাপাশি এর হ্যান্ডেলবারটা বেশ চওড়া এবং সিটিং পজিশন ও হ্যান্ডেলবারের সমন্বয় আমাকে অনেক আরাম এনে দিয়েছে। আমি লক্ষ্য করেছি যে এর হ্যান্ডেলের সুইচগুলো অত্যান্ত ভালো মানের এবং ব্যাবহার করে বেশ আরাম আছে। একটা বিষয় আমার কাছে খারাপ লেগেছে সেটা হল এর হেডল্যাম্পের আলো খুবই কম যেটা রাতে রাইড করতে গিয়ে মাঝে মাঝে বাধা সৃষ্টি করে। বাইকটির হেডল্যাম্পটা আমাকে সন্তুষ্ট করতে পারে নি।
কন্ট্রোলিং অনেক ভালো পাই কারণ এর সামনে পেছনে উভয় দিকের টায়ার বেশ চওড়া এবং ব্রেকিং সিস্টেম চমৎকার কাজ করে। আমি হাই স্পীড তুলেছি প্রায় ১০৬ কিমি প্রতি ঘণ্টার মতো এবং আমার কাছে তেমন ভাইব্রেশন অনুভব হয়নি। সাসনপেনশনের পারফরমেন্স ভালো পেয়েছি কিন্তু আমি মনে করি যে এই বাইকটির টায়ার বাংলাদেশের রাস্তায় চলাচলের জন্য উপযুক্ত না।
ইঞ্জিনের পারফরমেন্স অনেক ভালো পাই এবং মাইলেজটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। মাইলেজটা সেরকম ভাবে লক্ষ্য করতে পারিনি তবে আমি মনে করি যে বাইকটি তেল খরচটা তুলনামুলক অন্যান্য বাইকের থেকে অনেক কম।
সার্ভিস সেন্টারের মান আমি বেশ ভালোই লক্ষ্য করেছি এবং তাদের ব্যবহার অনেক আন্তরিক ও ঠিক করার মান অনেক ভালো লেগেছে।
ভালো দিক –
- ডিজাইন সুন্দর
- অনেক ফ্যাশানেবল একটি বাইক
- সামনে ডাবল ডিস্ক এবং পেছনে সিংগেল ডিস্ক যার ফলে ব্রেকিং অনেক ভালো
মন্দ দিক
- পার্টস এর মান গুলো তেমন টেকসই মনে হয় নি
- ফুয়েল মিটার আপডেট করা দরকার
- ব্যাটারিটা ভালো মনে হয়নি
পারফরমেন্স অনুযায়ী আমার কাছে বাইকটি দাম একটু বেশী মনে হয়েছে দামটা একটু কম হলে ভালো হতো এবং যদি কেউ পরামর্শ চান যে এই বাইকটি কিনবেন কিনা তবে আমি বলবো যে নিঃসন্দেহে কিনে ফেলুন।