বেনেলী ১৬৫এস বাইকটি পছন্দ হয়েছিলো এর আউটলুক দেখে । বিশেষ করে নেকেড স্পোর্টস ক্যাটাগরির আসল ফ্লেভার রয়েছে এই বাইকটিতে। আমি যখন বেনেলী কিওয়ে শোরুমে যাই তখন আমার প্রথম চোখ যায় এই বেনেলী বাইকের দিকে। বাইকের মধ্যে অন্য রকম একটি ভাব আছে যা বার বার বাইকের দিকের আকৃষ্ট করে। আমি বয়সে বেশি হলেও খুব সৌখিন একজন মানুষ এবং আমি মোটরসাইকেল খুবই পছন্দ করি যদিও মোটরসাইকেল খুব ভালো রাইড করতে পারি না তবে বাইকের প্রতি আমার আলাদা একটি ভালোবাসা রয়েছে। বেনেলি ১৬৫ এস বাইকটি চালিয়ে আমি দেখলাম যে এর টর্ক ও শক্তি অনেক বেশি। এদিকে ৪ ভাল্ভ ইঞ্জিনের আসল অনুভুতি আমি পেয়েছি । প্রথমের দিকে চালাতে একটু চয় লাগছিলো কারণ বাইকের থ্রটল পাওয়ার অনেক বেশি । যাই হোক আস্তে আস্তে আমি বাইকটাকে নিজের সাথে মানিয়ে নিয়েছি। আমার থেকে আমার ছেলে এই বাইকটি বেশি রাইড করে থাকে। সব মিলিয়ে আমি বলবো যে বেনেলী ১৬৫এস বাইকটি অনেক ভালো এবং শক্তিশালী একটি বাইক।
এখন পর্যন্ত এই বাইকটি রাইড করেছি প্রায় ৩০০ কিলোমিটার। ব্রেকিং ইন পিরিয়ডে যা যা করতে হয় সে সমস্ত কাজ সম্পন্ন করেছি এবং করে যাচ্ছি। আমি ব্রেক ইন পিরিয়ড মেইন্টেন করবো ১৫০০ থেকে ২০০০ কিমি পর্যন্ত। তখন হয়তো আরও বেশি বাইকটা সম্পর্কে জানতে পারবো। এখন নতুন বাইক তাই একটু জ্যাম জ্যাম মনে হচ্ছে তবে চিন্তা করছি যে এর ব্রেক ইন পিরিয়ড এর পরে আমি কী এর স্পীড কন্ট্রোল করতে পারবো। আমি মনে করি পারবো কারণ বাইকের স্পীডের সাথে কন্ট্রোলটাও দুর্দান্ত আর ব্রেকিং সিস্টেম তো মনোমুগ্ধকর।
এই বাইকটি সকল বয়সের রাইডারের জন্য না কারণ এর স্পীড, ওজন, ইঞ্জিন শক্তি ইত্যাদি বেশি বয়সের রাইডারের জন্য সামাল দেওয়া একটু মুশকিল তবে ত্রুন বা মাঝারী বয়সের রাইডারের জন্য বাইকটি একদম পারফেক্ট।
বিল্ড কোয়ালিটি দেখে মনে হয়েছে যে বাইকের যে কোন পার্টস খুব সহজেই ভেংগে যাবে না তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় যে বাইকের আয়ুকাল অনেক বেশি হবে।
যাবার আগে বাইকের কিছু ভালো মন্দ বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করি
ভালো দিক
-ডিজাইন ইউনিক
-স্পীড অনেক বেশী যা বাংলায় গতির দানব আখ্যা দেওয়া যায়
-কন্ট্রোল অনেক ভালো
-ব্রেকিং সিস্টেম অনেক ভালো এবং ব্রেক করে কোন ভয় লাগে না
মন্দ দিক
-রাইডিং করার জন্য সিটিং পজিশন ভালো হলেও পিলিয়নের জন্য সিটিং পজিশন ভালো না যা আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে গ্রহণযোগ্য না, বাকি সব ঠিক ঠাক।
এই ছিলো বেনেলী ১৬৫ এস নিয়ে স্বল্প কিছু অভিজ্ঞতা। ইনশাআল্লাহ ১৫০০ কিংবা ২০০০ কিমি রাইড করার পর আসল রিভিউ তুলে ধরবো।