১। মোঃ আকিব হাসান। আমি গত ২০/৫/২০১৯ তারিখে সি এফ মটো এন কে ১৫০ কিনি। এটি আমার জীবনের প্রথম বাইক। ছোটবেলা থেকেই স্পোর্টস বাইকের প্রতি একটা আলাদা আকর্ষণ কাজ করত,আর এ কারণেই বাইকটি আমার পছন্দের তালিকায় আসে।চায়না বাইক হওয়া সত্ত্বেও ফিলিপাইন,নেপাল,অস্ট্রেলিয়া সহ অনেক দেশে এই বাইকটির রিভিউ চেক করে তারপর এর ব্যাপারে আগ্রহ আরও বেড়ে যায়।আমি আপাতত ৪০০ কিলোমিটার চালিয়েছি। আমার এই স্বল্প অভিজ্ঞতার আলোকে আপনাদের সাথে আজকে এই বাইকের কিছু বিষয় শেয়ার করবো।
২। বাইকটির সবচেয়ে ভাল দিক এর লুক। কিসকা,(যারা কেটিএম এর ডিজাইনার) এর ডিজাইন করায় এর সাথে কে টি এম বাইকের অনেক মিল দেখা যায়। এর হেডলাইট,চেসিস, রেডিয়েটার সিস্টেম,ওয়াটার কুলিং সিস্টেম এই বাজেটের অন্যান্য সকল বাইক থেকে একে আলাদা করেছে। এর পাশাপাশি এর ব্রেকিং!!! এক কথায় অসাধারণ। সামনে ২৯২ এমএম ডিস্ক আর পিছে ২০০ এম এম!! আর একই সাথে সামনে আপসাইড ডাউন সাস্পেনশন ও পিছে মনোশক!
মন্দ দিক বলতে এর মাডগার্ড এর কভার তেমন প্রোটেকশন দিতে পারেনা, বৃষ্টি তে চালালে বিড়ম্বনা পোহাতে হয়।এছাড়া বাইকের পাশে প্রটেক্টিভ বামপার নেই,আর বাইকটি তে রেডি পিকাপ নেই।
৩। সবচেয়ে ভাল দিক হল এর লুক। অসাধারণ ফ্রন্ট আর ব্যাক লুক এটিকে আশেপাশের সকলের নজরে নিয়ে আসে।
৪। শহরে মাইলেজ প্রথমে ৩৫ পেয়েছি।পরে ৪০। হাইওয়ে তে এখনো যাওয়া হয়নি।তবে আশা করছি ৪৫ পাওয়া যাবে
৫।ডিজাইন এর ব্যাপারে নতুন করে কিছু বলার নেই। বাইকে দুজনের বেশি ওঠা যায়না।ড্রাইভ করার সময় কোন জটিলতায় পড়ি নি।বাইকটির ওজন একটু বেশী(১৪২) তবে এটি বাইকটিকে ভ্রাইবেট করা থেকে বিরত রাখে। ইঞ্জিন পারফরমেন্স এখন অবধি ভালোই পাচ্ছি। এটি ৬ টি গিয়ার সংবলিত এর পাশাপাশি সামনে ও পেছনে টিউবলেস টায়ার রয়েছে। সাথে ডাবল ডিস্ক এর ব্রেকিং, যা রাইডিং কে আরো নির্ভয় ও মজাদার করে তোলে।