খুব সম্প্রতি সময়ে বাজারে এসেছে Bajaj Pulsar N160, এই বাইক যখন আসে তখন থেকেই এর ফিচারস নিয়ে বাইকারদের অনেক আগ্রহ দেখা যায়। বাংলাদেশের বাজারে ১৬০ সিসি সেগমেন্টের মধ্যে ডুয়াল চ্যানেল এবিএস শুধুমাত্র এই বাইকের সাথেই রয়েছে । এদিকে এই বাইকের মিটার কনসোলের মধ্যে রয়েছে আরও অনেক অনেক ফিচারস যা একজন রাইডারের রাইডিং আরও উপভোগ্য করে তুলবে। আজকে আমরা আপনারদের সাথে আলোচনা করতে যাচ্ছি নতুন এই
Bajaj Pulsar N160 বাইকের মিটারে কী কী ফিচারস রয়েছে এবং সেগুলোর বিস্তারিত। আমরা Bajaj Pulsar N160 বাইকের মিটারে খুঁজে পেয়েছি ২০টার মত গুরুত্বপুর্ন সব ফিচারস , চলুন সেগুলো এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
1- DTE ( Distance to empty )
DTE এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই জানতে পারবেন যে আপনার বাইকটার ফুয়েল কতদুরে গিয়ে শেষ হতে পারে। এটা একটা ধারনার মাধ্যমে দেওয়া হয় এবং আপনার রাইডিং অবস্থার উপর নির্ভর করে একটি সম্ভাব্য কতদুর যেতে পারবেন সেইটা মিটারে দেখা যায়।
2- AFE1 ( Average fuel economy) Trip 1
Average fuel economy ফিচারসের মাধ্যমে খুব সহজেই বুঝা যায় যে বাইকটা কত কিমি এক ট্রিপে রাইড হয়েছে এবং সেই ট্রিপে কত কিমি প্রতি লিটারে মাইলেজ পাওয়া গেছে। AFE1 ফিচারসটি শুধুমাত্র ট্রিপ ১ এ দেখা যাবে।
3- AFE2 ( Avarage fuel economy 2 ) Trip 2
একই Average fuel economy ফিচারসের মাধ্যমে খুব সহজেই বুঝা যায় যে বাইকটা কত কিমি এক ট্রিপে রাইড হয়েছে এবং সেই ট্রিপে কত কিমি প্রতি লিটারে মাইলেজ পাওয়া গেছে। AFE2 ফিচারসটি শুধুমাত্র ট্রিপ ২ এ দেখা যাবে।
4- IFE ( Instantaneous fuel economy)
IFE দ্বারা বুঝানো হয় আপনার বাইকের ইঞ্জিনে কত কিমি প্রতি লিটার এর হিসেবে তেল যাচ্ছে । অর্থাৎ এর মাধ্যমে আপনি একটা ধারণা পাবেন যে কত কিমি প্রতি লিটারে বর্তমানে তেল খরচ হচ্ছে এবং সেটা দিয়ে কত কিমি এগিয়ে যেতে পারবেন।
5- Tachometer or RPM Meter
এই ফিচারসটি দ্বারা বুঝানো হয় আপনার বাইকের ইঞ্জিনের আরপিএম কত আছে এবং কত আরপিএম দিয়ে আপনি রাইড করছেন। এটা সাধারন একটি ফিচারস যা কম বেশি সব বাইকে দেখা যায় ।
6- Gear Indicator
গিয়ার ইন্ডিকেটর ফিচারসটি একটি বাইকের জন্য খুবই গুরুত্বপুর্ন কারণ একটি বাইক কততম গিয়ার দিয়ে রাইড করা হচ্ছে তা সহজেই এই গিয়ার ইন্ডিকেটর এর মাধ্যমে বুঝা যায়। বিশেষ করে নতুন রাইডারদের ক্ষেত্রে এটা অনেক কার্যকর ।
7- High beam indicator
সাধারণত পাস সুইচ বা হেডল্যাম্পের হাই বিম সুইচ চাপ দিলে এটা দেখায় যে আপনার বাইকের হেডল্যাম্প হাই বিমে রয়েছে।
8- Turn signal indicator
আপনার বাইকটি নিয়ে আপনি ডানে বা বামে কোন দিকে যাবেন সেটা বুঝানোর জন্য টার্ন সিগ্যন্যাল ইন্ডিকেটর ব্যবহার করা হয়।
9- Side stand indicator
আমরা সাধারণত দেখতে পাই যে অনেক বাইকার আছেন যারা বাইকের সাইড স্ট্যান্ড নিজেদের ব্যাস্ততার জন্য তুলতে ভুলে যান , এক্ষেত্রে মিটারে একটি সিগন্যাল লাইট দেওয়া থাকে সেটি জ্বলে থাকলে বুঝতে হবে যে আপনার বাইকের সাইড স্ট্যান্ড অবস্থায় রয়েছে এবং সেজন্য আপনি গিয়ার শিফটিং করলে বাইকে স্টার্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।
10- Malfunction indicator
এই ফিচারস দ্বারা যখনই এফআই সিস্টেম-সম্পর্কিত উপাদানগুলির কার্যকারিতায় কোন অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায় তখনই এটি জ্বলে ওঠে। তখন বুঝতে হবে যে আপনার বাইকের এফআই বা এফআই সম্পর্কিত বিষয়ে ত্রুটি দেখা দিয়েছে।
11- Low battery indicator
যখন আপনার বাইকের ব্যাটারির কার্যক্ষমতা কমে আসবে তখন এটা জ্বলে উঠবে এবং তখন ব্যাটারি পরিবর্তনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
12- Mode Button
এই বাটন দ্বারা আপনি ট্রিপ ১ ট্রিপ ২ এবং বিভিন্ন বিষয় আপনার সুবিধার্থে একের পর এক দেখতে পারবেন।
13- Set Button
এই সেটা বাটনের মাধ্যমে আপনি ট্রিপ মিটার থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয় পরিবর্তন পরিমার্জন করতে পারবেন।
14- Engine rev indicator
ইঞ্জিনের আরপিএম যদি ৯০০০ আরপিএম এর উর্দ্ধে উঠে তখন এই আরপিএম ইন্ডিকেটর স্বয়ংক্রিয়ভাবে জ্বলে উঠে।
15- ABS indicator
এবিএস ইন্ডিকেটর এর মাধ্যমে বুঝতে পারবেন যে আপনার বাইকের এবিএস সেনসর এখন চালু আছে কি/না।
16- Neutral indicator
যখন আপনার বাইকটি গিয়ার বিহীন অবস্থায় থাকবে তখন এই Neutral ইন্ডিকেটর জ্বলে থাকবে। এটা আমাদের সকলের বাইকের সাথেই থাকে।
17- Odo moter
আপনি বাইকটি কেনার পর থেকে কত কিলোমিটার চলেছে সেটা ওডোমিটার দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
18- Trip meter
ট্রিপ মিটার দিয়ে আপনারা বুঝতে পারবেন বাইকটা একট্রিপে কত কিমি চলেছে এবং এটা ৯৯৯.৯ কিমি চলার পর আবার ০ হয়ে যায়। এটা দ্বারা মাইলেজ টেস্ট বা লং রাইডে একটানা কত কিমি রাইড করলেন সেটা পরিমাপ করা সহজ হয়।
19- Fuel level indicator
আপনার বাইকে বর্তমানে কত লিটার ফুয়েল আছে সেটা ফুয়েল লেভেল ইন্ডিকেটর দ্বারা বুঝা যায়।
20- Clock
এটা সাধারণ একটি ফিচারস যার দ্বারা আপনারা সঠিক সময় দেখতে পারবেন।