আমি রাতুল হাসান পেশায় চাকুরীজীবী। আমি আজ থেকে ঠিক ২ সপ্তাহ আগে এফকেএম স্ক্রাম্বলার ১৬৫ বাইকটি কিনি। এই বাইকের পূর্বে আমি ব্যবহার করতাম বেনেলী টিএনটি। বাংলাদেশে যখন এই বাইকটা আসে তখন থেকেই আমি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে রিভিউ দেখে ,ফিচারস দেখে মুগ্ধ হই আরও যে বিষয়গুলো নিয়ে আমি মুগ্ধ হই সেগুলো হচ্ছে এর ক্লাসিক নেকেড লুকস, ইএফআই ইঞ্জিন, স্পক হুইল, ১৫ বিএইচপি সমৃদ্ধ শক্তিশালী ইঞ্জিন এবং আমার চালানো ১৬৫ সিসি বাইকের মধ্যে এই বাইকটাকে অনেক ভালো লেগেছে। বাইকটি খুব সম্প্রতি কেনা হয়েছে তাই খুব বেশি অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারিনি তবে যে টুকু পেয়েছি সেগুলো আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
প্রথমেই এই বাইকের ভালো কিছু দিক নিয়ে বলা যাক
-এই বাইকে সিবিএস ব্রেকিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে যা খুব ভালো একটি ফিচারস আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে।
-স্পক হুইল টায়ার যা দেখতে অন্যান্য বাইকের থেকে ভিন্ন এবং গ্রিপগুলো বেশ কার্যকর।
-বাইকের ইলেক্ট্রিক্যাল সকল ফিচারস এলিডি রয়েছে যা দেখতে আকর্ষণীয় এবং এটা মোবাইল ডিভাইস দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায়
-বিল্ড কোয়ালিটি আমার কাছে বেশ ভালো মনে হয়েছে
-টপ স্পীড আশা করছি ভালো হবে। এখন ব্রেক ইন পিরিয়ড এ আছি তাই তেমন টপ চেক করিনি
হাই স্পীড কন্ট্রোল অনেক ভালো
-আমি হলার ভার্সন নিয়েছি এবং এর এক্সজস্ট সাউন্ড রেসিং বাইকের অনুভুতি দেয়
এই বাইকের খারাপ দিকের মধ্যে শুধুমাত্র একটা বিষয় আমার কাছে খারাপ লেগেছে তা হল- এর স্পক হুইল তাই টায়ার টিউবলেস করা যায় না।
এই বাইকটি পছন্দ করার সবচেয়ে বেশি কারণ- আমি এর নেকেড ক্লাসিক্যাল লুক দেখে আমি মুগ্ধ হই সেই সাথে এর কালার কম্বিনেশন ও গঠন অনেকটা হোণ্ডা সিবি এক্সমোশনের মত।
এরপরে আসি মাইলেজের ব্যাপার নিয়ে। আমি শহরের মধ্যে মাইলেজ পাচ্ছি ৩৮ কিমি প্রতি লিটার এবং হাইওয়েতে মাইলেজ পাচ্ছি ৪৩ কিমি প্রতি লিটারে।
ইঞ্জিনটা আমার কাছে খুব ভালো মনে হয়েছে কারণ ইঞ্জিন তেমন গরম হয়না এবং খুব ভালো পারফরমেন্স পাচ্ছি। আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করছি যে বাইকটা টেকসই হবে এবং এফকেএম এর পার্টস ও আফটার সেলস সার্ভিস নিয়ে তেমন ভাবতে হবে না। সবাইকে ধন্যবাদ।