বাংলাদেশের বাজারে আসার পূর্বে এফকেএম ব্রান্ড নিয়ে আমি অনেক রিসার্চ করেছি এবং জার্মানিতে তাদের অফিশিয়ালসদের সাথে কথা বলেছি । তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছে যে বাংলাদেশের বাজারে এফকেএম নিয়ে আসবে স্পীডোজ লিমিটেড। বাইকটির লুক , ইঞ্জিন , সিবিএস ব্রেকিং ইত্যাদি ফিচারস দেখে আমি মুগ্ধ হই এবং স্পীডোজ এর অফিশিয়াল শোরুম থেকে বাইকটি গত ১.৫ মাস আগে ক্রয় করি। এখন পর্যন্ত বাইকটি প্রায় ১১০০ কিমি চলেছে । এই ১১০০ কিমি এর মধ্যে বাইকটি নিয়ে আমি কখনই হতাশায় পরিনি এদিকে নতুন ব্রান্ড হিসেবে পার্টস নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তা থাকে কিন্তু আমি এক্সিডেন্ট করে আমার বাইকের পেছনের নাম্বার প্লেট ভেংগে গিয়েছিলো এবং আমি সেটা স্পীডোজ লিমিটেড এর অফিশিয়াল শোরুমে পেয়েছি। বর্তমানে তাদের কাছে পার্টসের যথেষ্ট স্টক আছে এবং এটা ধরে রাখা উচিত।
আমার বাইকের ভালো বিষয়গুলো হচ্ছে
-সিবিএস ব্রেকিং সিস্টেম যা অনায়াসেই যে কোন স্পীডে কন্ট্রোল করা যায়
-রেডি পিক আপ খুব ভালো । যে কোন বড় যানবাহনকে মুহূর্তেই ওভারতেক করা যায়
-ভিন্ন লুকিং এর একটি বাইক যেটা মানুষ দেখলে অনেক আগ্রহ নিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করে।
-সামনের দিক থেকে এলিডি হেডল্যাম্প দেখতে অনেক সুন্দর এবং আকর্ষণীয় মনে হয় ।
বাইকের খারাপ দিকের মধ্যে রয়েছে
-মাইলেজটা আমি একটু কম অনুভব করছি।
এই বাইকের দুইটা বিষয় আমার খুব ভালো লেগেছে এবং এর জন্য বেশি পছন্দ হয়েছে । সেগুলো হল বাইকের রেডি পিক আপ খুব ভালো এবং ভিন্ন লুকিং এর একটি বাইক বর্তমান বাজারে।
আমি শহরের মধ্যে মাইলেজ পাচ্ছি ৩২ থেকে ৩৫ কিমি প্রতি লিটার এবং হাইওয়েতে মাইলেজ পাচ্ছি ৩৮ থেকে ৪০ কিমি প্রতি লিটার। মাইলেজটা আমি শুরুতেই উল্লেখ করেছি যে তুলনামূলক কম।
বাইকটা কন্ট্রোল করতে একটু সমস্যা হয় কারণ এর হ্যান্ডেলবারটা অনেক বড় যা ছোট কোন রাস্তায় চলাচলের জন্য উপযোগী না এবং টারনিং নেওয়ার সময় একটু বেগ পেতে হয়।আমি আশা করছি যে বাইকটা অনেকদিন আমাকে ভালো সাপোর্ট দিবে এবং এর দামটা আরেকটু কম করলে আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি যে চাহিদা ও বিক্রয় আরও বাড়বে। সবাইকে ধন্যবাদ।