এমন অনেকেই আছেন যারা বাইক কেনার ক্ষেত্রে ইউনিক ডিজাইনের বাইক পছন্দ করে থাকেন। আমার ক্ষেত্রেও ইউনিক ডিজাইনের বাইক প্রাধান্য পায়। আমি দেখেছি যে বর্তমানে কোম্পানীগুলো যে বাইকগুলো নিয়ে আসে সেগুলো খুব কমন হয়ে যায় এবং রাস্তায় বের হলেই দেখা যায়। আমি মনে মনে সংকল্প করেছিলাম যে যদি এখন কোন বাইক কিনি তাহলে অবশ্যই ইউনিক ডিজাইনের বাইক কিনবো যেটা বাংলাদেশের বাজারে অন্যান্যদের কাছে কম থাকবে। আমি খুঁজতে খুঁজতে খুঁজে পেলাম এফকেএম স্ট্রিট ফাইটার ১৬৫। এই বাইকটি আমার কাছে প্রথমত ডিজাইনের দিক থেকে ইউনিক মনে হয়েছে পাশাপাশি এই বাইকের ইঞ্জিন ও অন্যান্য ফিচারস বাজেট অনুসারে খুব ভালো লেগেছে। সব মিলিয়ে আমি বাইকটা কিনেছি এবং এখন পর্যন্ত রাইড করেছি ২০০০ কিমি। এই ২০০০ কিমি এর মধ্যে বাইক থেকে অনেক ভালো পারফরমেন্স পাচ্ছি অন্যদিকে কিছু বিষয় যা আমাকে একটু হতাশ করেছে। সব মিলিয়ে আমি এই বাইকের ভালো মন্দ দিক নিয়ে আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে যাচ্ছি । আশা করি আমার এই রিভিউ পড়ে উপকৃত হবেন।
প্রথমেই এই বাইকের ভালো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক-
-ভালো বিষয়ের মধ্যে শুরুতেই বলতে হবে এই বাইকের রেডি পিকআপ এর কথা এবং ইঞ্জিনের শক্তির কথা। আমি অনেক ভালো এক্সেলেরেশন ও ইঞ্জিনের শক্তি অনুভব করি এই বাইক থেকে তার পাশাপাশি ইঞ্জিনের কোন সমস্যা এখনও পাইনি।
-ডিজাইনের দিক থেকে আমার কাছে এই সেগমেন্টের মধ্যে সেরা ডিজাইনের বাইক মনে হয়েছে কারণ এই বাইকের ডিজাইন অন্যান্য বাইকের থেকে আলাদা এবং দেখতে অনেক সুন্দর লাগে।
-এর আরেকটি আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে এই বাইকের হেডল্যাম্প। আমি এই হেডল্যাম্প থেকে অনেক ভালো আলো পাচ্ছি পাশাপাশি হেডল্যাম্প জ্বলে থাকলে অন্য রকম লুক এনে দেয়।
এইবার এই বাইকের মন্দ বিষয় নিয়ে কথা বলবো-
-মন্দ দিকের মধ্যে আমি পেয়েছি এই বাইকের পেছনের ডিস্ক ব্রেক মাঝে মাঝে লক হয়ে যায় মনে হয়েছে আমার কাছে । অন্যদিকে বাইকের টায়ারের গ্রিপ ও টায়ারের মান আরও উন্নত করা উচিত। এছাড়া আর কোন সমস্যা আমি এই বাইক থেকে পাচ্ছি না।
-মাইলেজ শহরের মধ্যে পেয়েছি ৩৫ কিমি এবং হাইওয়েতে পাচ্ছি ৪০ কিমি প্রতি লিটার।
দামের দিক থেকে এবং ডিজাইনের দিক থেকে আমার কাছে এফকেএম স্ট্রিট ফাইটার ১৬৫ বাইকটি সেরা মনে হয়েছে বর্তমান বাজারে এবং আমার বিশ্বাস এই বাইকটা কিনলে আপনারা হতাশ হবেন না। এই ছিলো স্বল্প আকারে আমার এফকেএম স্ট্রিট ফাইটার ১৬৫ নিয়ে কিছু মতামত। সবাই সাবধানে বাইক রাইড করবেন।