আমি দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত ব্যবহার করেছি ডায়াং ৮০ সিসি এরপরে আমি ডায়াং ৮০ সিসি বাইকটি পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিই। আমার ব্যবসায়ীক উদ্দেশ্যে মূলত আমি বেশি বাইক ব্যবহার করে থাকি এবং বাইক নিয়ে আমি দিনের বেশির ভাগ সময় এদিক সেদিক ঘুরে বেড়ায় । এরপরে আমি আমার ডায়াং ৮০ সিসি বাইকটা বেঁচে দিয়ে নতুন মডেলের বাইক কিনার জন্য ভাবি। অনেক খুঁজাখুঁজির পরে আমার চোখে ধরা দিলো ফ্রিডোম রানার ১১০ সিসি এই বাইকটি। বিভিন্ন জনের পরামর্শ এবং আমার বন্ধুদের এই বাইকটা ছিলো এবং তাদের বাইকটা চালিয়ে আমার বেশ ভালো লেগে যায়। আমি গত ২ বছর যাবত ব্যবহার করে আসছি ফ্রিডম রানার ১১০। বাইকটি অনেক দিক আমার কাছে ভালো লেগেছে আবার কিছু কিছু দিক আমাকে অনেক হতাশও করেছে। আজ আমি মোটরসাইকেল ভ্যালীর মাধ্যমে আমার ফ্রিডম রানার ব্যবহারের অভিজ্ঞতা তুলে ধরব।
বাইকটির পেছনের টেল ল্যাম্পটা আমার পছন্দ হয় নি এছাড়া ডিজাইনের অন্যান্য দিক আমার কাছে যথেষ্ট ভালো মনে হয়েছে। আমি মনে করি যে ডিজাইনটা ১১০ সিসির বাইক হিসেবে ঠিকই আছে । এদিকে বিল্ড কোয়ালিটি তেমন মজবুত মনে হয়নি। বিল্ড কোয়ালিটিটা আরেকটু মজবুত করার সুযোগ ছিলো।
তবে বাইকটি চালিয়ে অনেক আরাম। সিটিং পজিশন নরম ও অনেক আরামদায়ক। আমি অন্যান্য বাইকের তুলনায় লক্ষ্য করেছি যে এর সিটিং পজিশনটা অনেক ভালো একইসাথে সিটিং পজিশন বসে হ্যান্ডেলবারটা ধরে আমি অনেক আরাম অনুভব করি। হ্যান্ডেলের সাথে সংযুক্ত সুইচগুলো বেশ ভালো কাজ করে। রাতের রাইডে আমি হেডল্যাম্পের আলোটা একটু কম অনুভব করেছি।
বাইকটার কন্ট্রোল আমি নিজের মত করতে পারি। আমি তেমন স্পীডে বাইক রাইড করিনা তবে মাঝে মাঝে একটু স্পীডে চালালে হালকা ভাইব্রেশন অনুভব করি। সামনে পেছনে দুটা ব্রেক আমার ভালো ব্রেকিং নিশ্চিত করে। সাসপেনশনগুলো সব রাস্তাতেই আমকে কম ঝাঁকুনি অনুভব করতে সাহায্য করে। এদিকে টায়ারগুলোর গ্রিপ যথেষ্ট ভালো এবং তেমন স্লিপ করে না।
ইঞ্জিনের পারফরমেন্স অনেক ভালো। ২ বছরে ইঞ্জিন আমাকে খুব কম ঝামেলা দিয়েছে কিন্তু আমি একটা ব্যাপারে অনেক হতাশ আছি সেটা হচ্ছে এর তেল খরচ। আমার কাছে তেল খরচটা ১১০ সিসি বাইক হিসেবে একটু বেশি মনে হয়েছে কারণ আমি মাইলেজ পাচ্ছি লিটারে প্রায় ৫৫ কিমি এর মত।
আমি তাদের সার্ভিস সেন্টারে অনেকবার গিয়েছি। তাদের আচরণ, ব্যবহার ঠিক করার মান আমার কাছে যথেষ্ট ভালো মনে হয়েছে এবং তাদের সার্ভিস সন্তোষজনক।
ভালো দিক
-আরামদায়ক
-ভালো ইঞ্জিন পাওয়ার
মন্দ দিক
-মাইলেজটা আরেকটু বেশি হলে ভালো হত
কোয়ালিটি, পারফরমেন্স বিবেচনায় আমার কাছে ফ্রিডম রানার ১১০ সিসির বাজারমুল্য মোটামুটি ঠিক মনে হয়েছে। যারা এই বাইকটি কিনতে চান বা কেনার জন্য ভাবছেন তাদের কাছে আমার পরামর্শ থাকবে যে – বাইকটির গঠন, মডেল অনেক আকর্ষণীয় এবং আশা করি বাইকটি কিনলে আপনারা হতাশ হবেন না।