আমি বেছে নিয়েছি স্কুটি শুধুমাত্র শহরের মধ্যে সহজে যাতায়াত সহজ করার তাগিদে কারণ আমি একজন ছাত্র আমি ব্যবহার করি “মাহিন্দ্রা গাস্তো ১১০সিসি”। আমি মনে করি আমার অভিজ্ঞতা অন্যদের জন্যে অনেক সহায়ক হবে প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে।
যেমনটা আমি আগেই বলেছি আমি স্কুটি ব্যবহার করি যা সাধারণ বাইকের মত কোনভাবেই না। কিন্তু এই স্কুটি ব্যবহারের পুর্বে আমি সাধারণ বাইক ব্যবহারে অভ্যস্ত ছিলাম যেমন “ইয়ামাহা ফেজার এবং এফ জেড এস” একই সাথে “হিরো হাঙ্ক”। আজ আমি আপনাদের কাছে আমার “মাহিন্দ্রা গাস্তো ১১০সিসি” স্কুটিটি উপস্থাপন করবো যা আমি গত ৯ মাসে প্রায় ৪০০০ কিলোমিটার চালিইয়েছি।
এটা দেখতে বেশ সুন্দর যদিও প্লাস্টিক এর বেশির ভাগ অংশে ব্যবহার করে হয়েছে। প্লাস্টিক গুলা ভাল তবে ততটা ভাল না যতটা হউয়া উচিত ছিল। একটা দুর্ঘটনা আমার সাথে ঘটেছিল এই বাইক নিয়ে এবং সে সময় এর সামনের দিকের প্লাস্টিকগুলা বাজেভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। আমার মনে হয় কোম্পনীর উচিত প্লাস্টিকগুলার মান উন্নত করা।
ইঞ্জিনের পারফরমান্স ভাল বলতে গেলে। তেমন গরম হয়না, কোন বিরক্তিকর শব্দও নাই কিন্তু সমস্যাটা হল এর মাইলেজ যা আমার চোখ কপালে তুলে দিয়েছে। আমার বলতে অত্যন্ত্ব খারাপ লাগছে যে এটি একটি ১১০সিসির স্কুটি যা মাইলেজ দিচ্ছে মাত্র ৩০ কিলোমিটার প্রতি লিটার কেনার সময় শোরুম থেকে বলা হয়েছিলো ৬০ কিলোমিটারেরও বেষী মাইলেজ দিবে।
এই স্কুটিতে আরাম আছে এটা সত্য কারণ এর সিটিং পজিশনটা যথেস্ট নরম যা আমাকে অনেক আরাম দেয় এবং সিটিং পজিশনে বসে এর হ্যান্ডেলবার ধরেও আরাম আছে। কিন্তু অনেকক্ষন রাইড করার পর আমি পিঠে সামান্য ব্যাথা অনুভব করি। হেডলাইটের আলোটা যথেস্টই শক্তিশালী যা রাতে আমাকে কখন সমস্যাই ফেলেনি। হ্যান্ডেলবারের সাথে সুইচগুলা ভাল তবে পাসিং না থাকাটা কোনভাবেই আশা ব্যঞ্জক না।
কন্ট্রোলের ব্যাপারে বলতে গেলে স্কুটি হিসেবে ভাল বলা যায়। ৯০+ গতিতেও আমি কোনরকম সমস্যা অনুভব করিনি এটা কে থামাতে। এর ব্যালেন্সটা খুব একটা ভাল না এবং আমার মনে হয় এই সমস্যাটা এর ছোট চাকার কারনে। কন্ট্রোল করতে যেয়ে বেশি সমস্যা আমি ফিল করি ৭০+ স্পিডে। সাসপেনশনের পারফরমেন্স প্রশংসার যোগ্য যার কারনে আমি রাস্তার অবস্থা খুব সামান্যই টের পায়। পেছনের চাকা স্লিপ করে যখন আমি ৫০+ স্পীডে ব্রেক করি।
আমি তাদের সার্ভিস সেন্টারে গিয়েছি এবং আমি তাদের বেশিরভাগ ব্যক্তিকেই তাদের দায়িত্বের ওপর আন্তরিক দেখেছি। পেশাদারিত্বে তারা যথেস্টই ভাল বলে মনে হয়েছে আমার কাছে।
খারাপ দিকসমুহ
-পাসিং সুইচ নাই
-ইঞ্জিন পারফরমেন্স আরও ভাল হতে পারত
-মাইলেজ একেবারেই খারাপ
সর্বশেষ আমি মোঃ আব্দুল বাকী মুন্তাক যদি ভব্যিষতে বাইক বদলিয়ে বাইক কিনি তবে আমি “ইয়ামাহা এফজেডএস এফ আই ভি২” কিনবো।