কয়েকদিন আগে এইচ পাওয়ার এর ডার্ক ১৫০ নামে একটা বাইক কিনেছিলাম, আজ সেটার রিভিউ দিলাম
ভাল দিক
১। চমৎকার অ্যাক্সেলারেশন, স্পিড ও বেশ ভাল কিন্তু আমার বেশই ভাল লেগেছে কুইক অ্যাক্সেলারেশন জিনিসটা
২। রাইডিং বেশ কমফোর্টেবল, চিপাচুপা দিয়ে আরামে বের হওয়া যায়
৩। টারনিং রেডিয়াস কম, ঘুরতে বেশি জায়গা লাগে না
৪। টায়ারের গ্রিপ বেশ ভাল
৫। শক অ্যাবজরভার মোটামুটি ভালই
৬। হিল অ্যান্ড টো শিফটিং, কিন্তু ফুটরেস্টের অবস্থান ভাল হওয়ায় একটা দিয়েই শিফট করা যায়
৭। চমৎকার ব্রেকিং, আসলেই চমৎকার
৮। জোশ একটা মিটার, গিয়ার ইনডিকেটর ও আছে
৯। দাম কম
১০। জোশ লুক অ্যান্ড ফিল, রাস্তায় প্রচুর মানুষ প্রশংসা করছে বাইকটার
১১। এক এক সাইডে তিনটা করে ইনডিকেটর - সামনে, পিছনে এবং মাঝে
খারাপ দিক
১। নেভিগেশন সিস্টেম টা ডিফারেন্ট, যেমন লেফট ও রাইট ইনডিকেটর এর জন্য দুই পাশে দুইটা বাটন
২। হর্ন সব বাইকে যেই পজিশনে থাকে সেখানে না, একটু উপরে
৩। সাইড গ্লাস দুইটা একদম জঘন্য, অ্যাডজাস্ট করা যায় না ঠিকমত। আমি আমার দুইটা খুলে রাখছি শেষমেশ
৪। হ্যান্ডলবার বেশি লম্বা/বড় - আমি ঠিক করেছি মডিফাই করে ছোট করে ফেলব
৫। পিলিয়নের জন্য ব্যাক রেস্ট নাই, কিছু ধরার জায়গাও নাই
৬। ডান বামের ইনডিকেটর ম্যানুয়ালি অফ করার কোন সিস্টেম নাই, অটোমেটিক ২০ সেকেন্ড পরে বন্ধ হয় - বিষয়টা বেশ বিরক্তিকর লাগে আমার কাছে
৭। ফুয়েল ট্যাঙ্কের ঢাকনা চাবির সাথে খুলে চলে আসে, আমার পছন্দ হয় নাই বিষয়টা
৮। মিটারে শুধু ODO আছে, Trip নাই
প্রশ্ন উত্তর
১। মাইলেজ কেমন?
৩০-৩৫ এর মত
২। পিলিয়ন সহ চালাতে কেমন লাগে?
খারাপ না, কিন্তু যেহেতু পিলিয়নের ধরার কিছু নাই, তাই পিলিয়ন রাইডারকে ধরে রাখে যেটা একটু অস্বস্তিকর
৩। ডাবল স্ট্যান্ড আছে?
না নাই
৪। জ্যামের মধ্যে চালাতে কেমন লাগে?
যেহেতু টার্নিং রেডিয়াস ছোট, তাই জ্যামের মধ্যে চিপাচুপা দিয়ে বেশ ভালই কাটা যায়
৫। ইঞ্জিন গরম হয় কেমন?
বেশি না। আমি মতুল এর ১০w-৪০ মিনারেল অয়েল ব্যাবহার করছি এখন, ২০w-৪০ ও ব্যাবহার করা যায়
৬। ওভারঅল বাইকটা নিয়ে আমি সন্তুষ্ট কিনা?
হ্যাঁ, জাস্ট হ্যান্ডলবার টা ছোট করে নিলে এই বাইকটা নিয়ে আমি খুবি খুশি থাকব - তবে এখনও বেশ খুশি।