একজন রাইডারের জন্য বাইক চালানো মানেই হচ্ছে অন্যরকম এক অনুভুতি।বাইক চালানো কেবল এক অনুভুতিই শুধু নয়, বর্তমানে একজন ব্যক্তির পক্ষে সবচেয়ে সহজ, সাশ্রয়ী এবং আকর্ষণীয় যানবহনও বটে। এই সম্পর্কে যদি কথা বলা হয়, তবে বেশিরভাগ বাইকাররাই বাজেটের উপযোগী একটি বাইক চান যা আধুনিক ফিচার সম্বৃদ্ধ এবং আকর্ষণীয় ডিজাইন দ্বারা পরিপূর্ন। তাই আজ আমরা এমন একটি বাইক সম্পর্কে আলোচনা করতে যাচ্ছি যা রাইডারের সমস্ত প্রয়োজনীয়তা একটি ভাল বাজেটের মধ্যে পূরন করতে সক্ষম। আর সেই বাইকটি হচ্ছে H Power GP 165 (Robot Z)
যখন থেকে এইচ পাওয়ার স্থানীয় বাজারের তাদের বাইক সরবরাহ করছে, তার মাঝে থাকা H Power GP 165 (Robot Z) বাইকটি আসার পর সর্বাধিক আলোচিত একটি বাইক।এই বাইকটির স্পোর্টস ফেয়ারিং ডিজাইন, দুর্দান্ত কালার কম্বিনেশন এবং আপ টু ডেট ফিচারস সবকিছুই একজন রাইডারটিকে সন্তুষ্ট করতে সক্ষম। আমাদের সকলেরই এই বিষয়ে জানা যে পরিচিত ব্র্যান্ডগুলোর বাইইরে গিয়ে নতুন কোন কিছু বেছে নেয়া একটু চিন্তার বিষয় হতে পারে। তবে এই ধরণের সাশ্রয়ী মূল্যের মধ্যে এই বাইকের ফিচারগুলো দেখার পরে রাইডাররাও তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারে এবং শেষ পর্যন্ত একটি ট্রায়াল করার সিদ্ধান্তও নিতে পারে। তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক এই বাইকটি আমাদের জন্য কী কী
ফিচার নিয়ে এসেছে।
ডিজাইন
পুরোপুরি ফেয়ারিং এবং এ্যারো ডায়নামিক ডিজাইন এই বাইকের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয়গুলোর মধ্যে একটি। আজকাল, রাইডারদের বেশিরভাগই স্পোর্টস সেগমেন্টের বাইকগুলি পছন্দ করে এবং এই বাইকটিতে এটি রয়েছে স্প্লিট সিট, দুই দিকেই ডিআরএল ফিচারসহ ফুল ফেয়ারিং কিট, স্পোর্টস আউটলুক, দুর্দান্ত ডুয়াল কালার কম্বিনেশন, আকর্ষোনীয় ডিস্ক প্লেট এবং স্টাইলিশ এলয়হুইল এই বাইক কে করেছে খুবই আকর্ষোনীয়। হাফ ক্রোমড মাফলার গার্ডটি এই বাইকের ডান পাশের ভিউটিকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তোলে এবং পুরো আউটলুক অবশ্যই রাইডারকে স্পোর্টস বাইকের অনুভূতি দেবে। H power GP 165 দুটি কালার স্কিমেপাওয়া যায়, যার মধ্যে রয়েছে কালো এবং সাদা, তবে উভয়ই লাল এবং সবুজ রং এর সাথে মিলিত।
ইঞ্জিন
রাইডারদের বেশিরভাগই আউটলুকস, দাম এবং অন্যান্য বিষয়ে আগ্রহ দেখায়, তবে বেশকিছু রাইডার আছেন যাদের বেশিরভাগই ইঞ্জিন নিয়ে চিন্তিত। তাদের জন্যএই বাইকটির সত্যই ভাল ফিচার সম্বৃদ্ধ। ইঞ্জিনের কথা বলতে গেলে, এই বাইকটিতে ১৬৫সিসি সিঙ্গল সিলিন্ডার, ৪-স্ট্রোক ইঞ্জিন রয়েছে, যা ১৮বিএইচপিক্ষমতা সম্পন্ন। এই ধরণের পাওয়ারফুল ইঞ্জিনের সাহায্যে রাইডাররা মোটামোটিভাবে ১৪৫ কিমি প্রতি ঘন্টা গতি আশা করতে পারেন বলে প্রত্যাশা করেন এইচ পাওয়ার। ক্ষেত্র বিশেষে তা পরিবর্তন হতে পারে তভে কাছাকাছি হবে আশা করা যায়। এইচ পাওয়ারের মতে এই ইঞ্জিনটি ভাল মাইলেজ প্রদানেও সক্ষম, যা প্রায় ৪০কিলোমিটার প্রতি লিটারের কাছাকাছি। সুতরাং, যদি সব ঠিকঠাক চলে যায় তবে এই ইঞ্জিনটি সত্যই একটি পাওয়ারফুল মেশিন। এই ইঞ্জিনের স্মুথ ট্রান্সমিশনের জন্য ৬-স্পিড গিয়ার বক্স এটিতে দেয়া হয়েছে এবং ইঞ্জিনের স্টার্ট করার জন্য শুধুমাত্র ইলেক্ট্রিক স্টার্ট ব্যাবহার করা হয়েছে।
বডি
বাইকের বডি ডাইমেনশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি নির্ধারণ করে যে বাইকটি চালকদের ব্যক্তিত্বের জন্য উপযুক্ত হবে কিনা এবং অন্যদিকে এটি আরামদায়ক কিনা। সেই ভিত্তিতে, H power GP 165 একটি পরিপূর্ন বাইক। এই বাইকের দৈর্ঘ্য ২০৩০মিমি, প্রস্থ ৭২০মিমি এবং উচ্চতা ১১২০মিমি। এই বাইকের জন্য ৭৮০মিমি সীট হাইট এবং হুইল বেসটি ১৩৪৮মিমি সেট করা হয়েছে। এই বাইকের প্রধান আকর্ষণীয় ফিচার হল ফুয়েল ট্যাঙ্কার। দেখতেও যেমন আকর্ষোণীয় তেমনি এটি ১৬লিটারের বৃহত্তর জায়গা সম্পন্ন। সবকিছু মিলিয়ে এই বাইকের ওজন ১৪৫কেজি।
টায়ার, ব্রেক ও সাসপেনশন
H power GP 165 Robot Z টায়ারে কথা বলতে গেলে এগুলো আসলেও ভালো মানের। ব্যবহারকারীরা তাদের ব্যবহারের জন্য সামনে ১১০ /৮০-১৭ এবং ১৩০ /৭০-১৭পেছনের টায়ার পাবেন, যা চমৎকার গ্রিপিং ক্ষমতা সম্পন্ন এবং উভয়ই টিউবলেস। আমরা আগেই উল্লেখ করেছি যে টায়ারগুলো স্টাইলিশ এবং শক্তিশালী এলয় রীমের উপরে স্থাপন করেছে।
বাইকের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার হল ব্রেকিং। এদের জীবন রক্ষাকারীও বলা হয়। জিপি ১৬৫ এর ব্রেকগুলির দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাবো এতে উভয় পাশের ডিস্ক ব্রেকিং রয়েছে যা নিশ্চিত করে সঠিক নিয়ন্ত্রন এবং ব্রেকিং ক্ষমতা।
স্বাচ্ছন্দ্যময় রাইডিং সকল রাইডারেরই প্রত্যাশিত এবং এর জন্য এইচ পাওয়ারের এই স্পোর্টস বাইকটি বেশ ভালো ফিচার সম্বৃদ্ধ।সামনে টেলিস্কোপিক আপসাইড ডাউন (ইউএসডি) সাসপেনশন এবং পিছনের দিকটি মনো শক সাসপেনশন দ্বারা টপ ক্লাস পার্ফমেন্স নিশ্চিত করার সর্বত্তম চেষ্টা করা হয়েছে।
শেষ কথা
আমরা টিম মোটরসাইকেলভ্যালি H power GP 165 Robot Z এর সর্বাধিক হাইলাইটেডফিচারগুলো আপনাদের সামনে আজকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তবে শেষ করার আগে বলতেই হয়, অন্যান্য সমস্ত প্রয়োজনীয় ফিচার যেমন, সমস্ত প্রয়োজনীয় সুবিধা সহ ডিজিটাল মিটার ক্লাস্টার, মেইনটেইন্যান্স ফ্রি১২ ভোল্ট ব্যাটারি, উন্নতমানের হেডল্যাম্প এবং টেল ল্যাম্পে সব কিছুই রয়েছে এই বাইকে যা উল্লেখ করা হয়নি। সুতরাং, আশা করা যায় যে এই বাইকটি বেছে নেওয়া আসলে কোনও খারাপ সিদ্ধান্ত হবে না, তবে বাইকটি কতটা ভালো তা এটির পারফর্মেন্স এবং রাইডারের ব্যাবহারের উপর নির্ভর করবে।
আকর্ষনীয় ডিস্কাউন্ট ও গিফট সহ H Power GP 165 Robot Z কিনতে এখানে ক্লিক করুন