মোটরসাইকেল হল যন্ত্রচালিত পরিবহনের একটি বিশেষ রূপ। যার সাহায্যে এক জন মোটরচালক এক স্থান থেকে অন্য স্থানে দ্রুত গমন করে থাকেন। আমাদের দেশের প্রায় সবার কাছেই মোটরসাইকেল একটি জনপ্রিয় বাহন হিসেবে পরিচিত। কারণ, মোটরসাইকেল এর মাধ্যমে যে কোন সময় অতি দ্রুত যাতায়াত করা যায়। আমি মোঃ নয়ন আলী। পেশায় আমি একজন ব্যবসায়ী। আমার ব্যবসার কাজের জন্য ও ব্যক্তিগত কাজের উদ্দেশ্যে এই মোটরসাইকেলটি মূলত আমি কিনি। আমার মোটরসাইকেল এর নাম এইচ পাওয়ার জারা ৮০ সিসি। এই মোটরসাইকেলটি আমি “অনিক ট্রেডার্স” ঝলমলিয়া বাজার, পুঠিয়া, রাজশাহীর একটি শোরুম থেকে কিনেছি। এই মোটরসাইকেলটি আমি ১ মাস যাবত ব্যবহার করছি। ১ মাসে প্রায় ৬০০ কিমি পথ চালিয়েছি কোন প্রকারের দূর্ঘটনা ছাড়াই। এটা আমার জীবনের ২য় বাইক। এর আগে আমি বাজাজ সিটি ১০০ মোটরসাইকেলটি ব্যবহার করেছি। এটিরও পারফরমেন্স মোটামুটি ভাল ছিল। কিন্তু বেশি পুরানো হয়ে যাবার কারণে সেটি বিক্রয় করে এই মোটরসাইকেল টি কিনলাম।
আমি এই মোটরসাইকেলটি শুধু ডিজাইন,পারফরমেন্স বিবেচনা করে কিনি নাই। বরং এটি থেকে ভাল মাইলেজ পাবার আশায় কিনেছি। এছাড়া আমার বয়সের সাথে সামঞ্জস্য বিধান রেখে এই মোটরসাইকেলটি আমার পছন্দ হয়ে যায়। এই ডিজাইনটা আমার কাছে পারফেক্ট মনে হয়েছে। এর বডির প্লাস্টিকগুলো দেখলেই বোঝা এগুলো অনেক মজবুত, যা খুব সহজে ভাংবে না।
আমার এই মোটরসাইকেল এর ইঞ্জিন পারফরমেন্স বর্তমানে অনেক ভাল। পরবর্তীতে এর পারফরমেন্স কেমন হবে তা জানি না। ৮০ সিসির মোটরসাইকেল হিসেবেও এর ইঞ্জিন অনেক শক্তিশালী। আমি একদিন ৮০ কিমি স্পীডে নিমিষেই তুলেছিলাম। এই মোটরসাইকেল এর ইঞ্জিনের শব্দটা অনেক সুন্দর। তবে বেশিক্ষণ চললে মোটরসাইকেলটির ইঞ্জিন বেশি গরম হয়। কিন্ত এর ইঞ্জিনের পারফরমেন্স আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছে।
এছাড়া মোটরসাইকেলটির কন্ট্রোল অনেক ভাল। তবে হাইড্রোলিক ব্রেক থাকলে আরো ভাল কন্ট্রোল করা যেত। বেশী স্পীডে চালালে অনেক ঝাঁকুনি লাগে। তবে আমি বেশি স্পীডে মোটরসাইকেল চালাই না। এক্ষেত্রে আমি সন্তুষ্ট আছি।
মোটরসাইকেলটির সিটিং পজিশন খুব ভাল। সিটও বেশ নরম। আমি আমার পরিবার নিয়ে এক সাথে চলাচলের জন্য এমন সিটিং পজিশন দেখেই মোটরসাইকেলটি কিনেছি। এছাড়া সিটে বসে আমি খুব সহজেই মাটিতে পা রাখতে পারি। কারন এটি খুব বেশি উঁচু না। এর সুইচ গুলো দেখতে সুন্দর ও এগুলো ব্যবহার করতে আমার কোন সমস্যা হয় না। এছাড়া রাতে হেড লাইট থেকে প্রচুর আলো পাই। আমি মোটরসাইকেলটি হাই রোডে সর্বোচ্চ ৮৫ গতিতে তুলেছি। তবে ৮০ র বেশি গতিতে তুললেই মোটরসাইকেলটি খুব কাপে। এছাড়া এক দিনে প্রায় ৫০ কিমি পথ চালিয়েছি। তবে দীর্ঘক্ষণ বসে চালালেও আমার সমস্যা হয় না। তবে এর সাসপেনশন আমার পছন্দ হয় নাই, কারণ খারাপ রাস্তায় এক থাকলে অতিরিক্ত ঝাঁকুনি অনুভব করি। এছাড়া এর কন্ট্রোল খুব ভাল। এর লুকিং গ্লাস থেকে আমি খুব সহজেই পিছনের দৃশ্য ভাল ভাবেই দেখতে পাই।
এই মোটরসাইকেলটি কেনার সময় আমাকে বলা হয়েছিল ১ লিটার তেলে প্রায় ৮০ কিমি পথ চলা যাবে। আমি ঠিক তেমন মাইলেজ পাচ্ছি না। ১ লিটার তেলে প্রায় ৬০+ কিমি পথ চলতেপারি। এ ক্ষেত্রে তাদের কথার সাথে কাজের মিল পাই নাই। তেল খরচ কম হবে এটা ভেবেই আমি এই মোটরসাইকেলটি কিনেছি। তবে আমি যে মাইলেজ পাচ্ছি এটা নিয়েও সন্তুষ্ট আছি।
আমি আমার মোটরসাইকেলটি একবার সার্ভিসিং করিয়েছি। আমার মোটরসাইকেলে বড় কোন সমস্যা নেই, কিন্তু মোটরসাইকেল এর চেনের ভিতরে খারাপ শব্দ হত। এটি আমার কাছে মাঝে মাঝে খুব বিরক্তিকর মনে হয়। আমি সার্ভিসিং সেন্টারে দেখানোর পরে তারা আমাকে জানায় বাইকের চেন বড় হবার কারনে এই সমস্যাটি দেখা দিয়েছে। তবে তারা আমার সাথে অনেক ভাল ব্যবহার করেছেন। তাদের কাজের মানও অনেক ভাল লেগেছে। কারন চেনের এমন সমস্যাটি পরে আর হয় নাই। তাছাড়া আর একটি বিষয় আমার কাছে খারাপ লেগেছে, সেটি হল ৮০ সিসির মোটরসাইকেল হিসেবে এর দামটা অনেক বেশি বলে মনে হয়েছে। সব কিছু বিবেচনা করে দামটা আর একটু কম হলে খুব ভাল হত।
মোটরসাইকেলটির সিটিং পজিশন খুব ভাল। সিটও বেশ নরম। আমি আমার পরিবার নিয়ে এক সাথে চলাচলের জন্য এমন সিটিং পজিশন দেখেই মোটরসাইকেলটি কিনেছি। এছাড়া সিটে বসে আমি খুব সহজেই মাটিতে পা রাখতে পারি। কারন এটি খুব বেশি উঁচু না। এর সুইচ গুলো দেখতে সুন্দর ও এগুলো ব্যবহার করতে আমার কোন সমস্যা হয় না। এছাড়া রাতে হেড লাইট থেকে প্রচুর আলো পাই। আমি মোটরসাইকেলটি হাই রোডে সর্বোচ্চ ৮৫ গতিতে তুলেছি। তবে ৮০ র বেশি গতিতে তুললেই মোটরসাইকেলটি খুব কাপে। এছাড়া এক দিনে প্রায় ৫০ কিমি পথ চালিয়েছি। তবে দীর্ঘক্ষণ বসে চালালেও আমার সমস্যা হয় না। তবে এর সাসপেনশন আমার পছন্দ হয় নাই, কারণ খারাপ রাস্তায় এক থাকলে অতিরিক্ত ঝাঁকুনি অনুভব করি। এছাড়া এর কন্ট্রোল খুব ভাল। এর লুকিং গ্লাস থেকে আমি খুব সহজেই পিছনের দৃশ্য ভাল ভাবেই দেখতে পাই।
পরিশেষে বলতে চাই, যারা ছোট খাটো মোটরসাইকেল কিনার কথা ভাবছেন, তারা এই মোটরসাইকেলটি বিভিন্ন দিক ও ভাল মাইলেজ বিবেচনায় কিনতে পারেন। কারণ এই মোটরসাইকেলের তেল খরচ মোটামুটি কম। এছাড়া, মোটরসাইকেলটির ইঞ্জিন পারফরমেন্স খুবই ভাল।
ভাল দিকঃ ১/ তেল খরচ মোটামুটি কম, ২/ ইঞ্জিন পারফরমেন্স খুবই ভাল, ৩/ ডিজাইন ভাল, ৪/ সিটিং পজিশন ভাল, ৫/ সুইচগুলো দেখতে সুন্দর, ৬/ লুকিং গ্লাসে পরিষ্কার দেখা যায়, ৭/ ব্রেক ভাল, ৮/ সার্ভিসিং সেন্টারের কাজের মান ভাল।
মন্দ দিকঃ ১/ দাম অনেক বেশি, ২/ বেশি স্পিডে বাইক খুব কাপে।
কোম্পানির কাছে আমার দাবি মোটরসাইকেলটির ওজন আরেকটু বাড়ানো হলে খুব ভাল হত। সাবাইকে ধন্যবাদ।