হাউজুয়ে কেএ ১৩৫ বাইকটি কিনেছিলাম ১ মাস আগে কে আর বাইক সেন্টার থেকে। আমি বাজারে অন্যান্য ব্রান্ডের মোটরসাইকেল দেখেছি কিন্তু একই মডেল বারবার দেখতে আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগে না। তাই কম বাজেটের মধ্যে একটু স্টাইলিশ, ভিন্নধর্মী বাইক খুজতে শুরু করলাম এবং হাউজুয়ে কেএ ১৩৫ টি পছন্দের তালিকায় যোগ করলাম। এই বাইকটি কেনার আগে আমি হোন্ডা লিভো বাইকটি কেনার জন্য ইচ্ছা পোষণ করেছিলাম কিন্তু হাউজুয়ে কেএ ১৩৫ বাইকটি আমার পছন্দের তালিকা থেকে কোনভাবেই বাদ দিতে পারছিলাম না। এই বাইকটির বিশেষ যে দিকগুলো আমাকে আকৃষ্ট করেছে তা হল এর মাস্কুলার ডিজাইন, ডিজিটাল মিটার, ডিস্ক ব্রেক,মাইলেজ বেশি ইত্যাদি দিক বিবেচনা করে আমি দেখেছি যে এই বাজেটের এর বাইকের সাথে অন্য বাইকের তুলনা হয় না। হাউজুয়ে কেএ ১৩৫ নিয়ে আমি এখন পর্যন্ত ২০৯০ কিমি ঝামেলাবিহীনভাবে রাইড করতে সক্ষম হয়েছি এবং এর কিছু কিছু বিষয় আমাকে অনেক মুগ্ধ করেছে আবার কিছু কিছু বিষয় একটু হতাশও করেছে। নিম্নে সেগুলো তুলে ধরা হল
আমার বাইকের ভালো দিক
-বাইকের কন্ট্রোল খুবই ভালো লেগেছে।
-সিটিং পজিশনে বসে অনেক আরাম বোধ করি
-ইঞ্জিনের শব্দটা অনেক স্মুথ এবং এক্সেলেরেশন অনেক দ্রুত
-ডিজাইনের দিক থেকে আমাকে এই বাইকটি পুরোপুরি সন্তুষ্ট করেছে।
বাইকের খারাপ দিকের মধ্যে রয়েছে
-বডি কিটগুলো তেমন মজবুত না
-সামনের এবং পেছনের টায়ারগুলো চিকণ
-হ্যান্ডেলবারটা আরেকটু ছোট করা উচিত
-মাইলেজ তুলনামুলক কম পাচ্ছি
আমি শহরে মাইলেজ পাচ্ছি ৪০ কিলোমিটার প্রতি লিটার এবং হাইওয়েতে ঠিক তেমনই মাইলেজ পাচ্ছি।
আমার পছন্দের কারণ
এই বাইকটি পছন্দ করার পেছনে আমার অনেকগুলো কারণ ছিলো তার মধ্যে বিশেষ যে কারণগুলো রয়েছে তা হল- আকর্ষণীয় মাস্কুলার ডিজাইন এবং বডি কিট ব্যবহার করে বাইকটিতে আলাদা একটা ভাব রাখা হয়েছে। এই দুইটা দিক আমার নজর কেড়েছে।
বাইকটির ইঞ্জিন নিয়ে যদি বলি তাহলে আমার অনুভুতি থেকে বলতে হয় যে, বাইকের ইঞ্জিনটা অনেক স্মুথ এবং একটু স্পীডে বাইক রাইড করলে ইঞ্জিনের শব্দ একদমই বোঝা যায় না । আমার কাছে এই ব্যাপারটা ভালো লেগেছে অন্যদের কাছে কেমন লেগেছে তা জানি না। এক্সেলেরেশন অনেক দ্রুত মানে মুহূর্তেই অনেক বেশি স্পীডে তুলতে সক্ষম এই বাইকটি। আর এক্সেলেরেশন যত বেশি দেওয়া হয় ততবেশি ইঞ্জিন থেকে একটা গম্ভীর শব্দ ভেসে আসে। কন্ট্রোলটা খুবই ভালো হয়। এদিকে একটা বিষয় আমার কাছে খুবই খারাপ লেগেছে সেটা হল বাইকটা একটানা ১০০ কিলোমিটার রাইড করার পর কব্জি ব্যথা হয় । এই বিষয়টা আমি লক্ষ্য করেছি অন্যদের হয় কি না জানি না। সব মিলিয়ে বলা যায় যে বাইকটা বাজেট অনুসারে খুবই ভালো একটি বাইক এবং আমার মনে হয় এই বাইকটা আমি টানা ৫ থেকে ৬ বছর ঝামেলাবিহীনভাবে ব্যবহার করতে পারবো।