Haojue Cool দিয়ে শুরু করে সর্বশেষ আগমন ঘটে Haojue TR150S মোটরসাইকেলটির। বিগত কয়েক বছর ধরে কর্নফুলী ইন্ডাস্ট্রীজ লিমিটেড চায়নার অন্যতম এবং বিশ্ববিখ্যাত ব্রান্ড হাউজুয়ে এর মোটরসাইকেল আমদানী করে চলেছে। উল্লেখ্য হাউজুয়ে ব্রান্ডের মোটরসাইকেল ইউরোপের অনেক দেশে প্রচলিত এবং সমাদৃত। আসুন পরিচিত হই মোটরসাইকেলটির ফীচারের সাথে।
ইনজিন
৪স্ট্রোক, ১সিলিন্ডার বিশিষ্ট এয়ারকুলড ইনজিন ব্যবহার করা হয়েছে। ১৫০সিসি ইনজিনটি ৮.৩কিলোওয়াট অর্থাৎ ১১.১২হর্সপাওয়ার শক্তি উৎপন্ন করতে পারে। ইনজিনটির টর্ক ১১.৪এনএম। বোর ৫৭.৩মিমি এবং স্ট্রোক ৫৭.৮মিমি। কমপ্রেশন রেশিও ৯.৩:১ এবং গিয়ার রয়েছে ৫টি ।
গঠন
২১০০মিমি/৮৭০মিমি/১১৭০মিমি আয়তনের ক্রুজারটির ওজন ১৪৫কেজি। সীটের উচ্চতা ৭২৫মিমি যা মাঝারী থেকে লম্বা চালকের জন্য আরামদায়ক। গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৫৭মিমি।
রং
তিনটি রং এর Haojue TR150S মোটরসাইকেলটি পাওয়া যায়। লাল, নীল এবং কালো। প্রতিটি কালারই উজ্বল এবং দৃষ্টি নন্দন।
জ্বালানী ট্যাংক
সুদৃশ্য এবং লম্বা জ্বালানী ট্যাংকটি ক্রজারটিকে ভিন্ন লুক দিয়েছে। ট্যাকের ঢাকনাতে রয়েছে ফুয়েলগজ যেটি ডিজিটাল, এখানে রয়েছে ট্রিপ মিটার। ট্যাংকের দুপাশে ফেয়ারিং যুক্ত যেটি সাধারনত ক্রজার বাইকে দেখা যায় না। জ্বালানি ট্যাংকটি ১১.৫ লিটার জ্বালানি ধারনে সক্ষম।
সীট
দুই ধাপে বিভক্ত সীটটি সাধারন ক্রুজারবাইকের তুলনায় ভিন্ন। চালক এবং সহযাত্রী উভয়ের জন্যই আরামদায়ক।
হ্যান্ডেল বার ও সুইচ
হ্যান্ডেলবার সাধারন এবং ক্রোম করা। সুইচগুলো আরামদায়ক এবং মজবুত। ১২ভোল্ট ব্যাটারীতে ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই রয়েছে মোটরসাইকেলটিতে। ইলেক্ট্রিক এবং কিক দুভাবেই স্টার্ট দেবার সুবিধা রয়েছে। ইগনিশানে ব্যবহার করা হয়েছে ডিজিটাল সিডিআই।
ব্রেক হুইল ও টায়ার
মোটরসাইকেলটিতে সামনে ডিস্ক ব্রেক এবং পেছনে ড্রাম ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে।দুটি হু্ইলই কালো রং এর এলয় যেখানে বহিরাংশে ক্রোম করা। সামনের হুইল ১৮ইঞ্চি এবং পেছনের হুইল ১৬ইঞ্চি। সামনের টায়ার ৯০/৯০-১৮ এবং পেছনের টায়ার ১১০/৯০-১৬।
ফুটরেস্ট
সামনে চালকের জন্য এবং পেছনে পিলিয়নের(সহযাত্রী) জন্য ফুটরেস্টটি সাধারন মোটরসাইকেলের মতোই। ক্রুজারমোটরসাইকেল হিসেবে আরো আরামদায়ক এবং প্রশস্ত ফুটরেস্ট প্রয়োজন ছিলো।
হেডলাইট
কোনযুক্ত প্রায় গোলাকৃতি হেডলাইটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ১২ভোল্ট হ্যালোজেন লাইট যা রাতের আধারে পথ চলতে যথেষ্ট সহায়ক।
মিটার কনসোল
গোলাকৃতি পরিপূর্ন এনালগ। শুধুমাত্র স্পীড নির্দেশক, এখানে আরপিএম মিটার অনুপস্থিত।মিটারটি ক্রুজারসুলভ হলেও প্রচলিত আরো কিছু আধুনিক ফীচার যুক্ত থাকলে ভালো হতো।
মাফলার/সাইলেন্সার
মোটরসাইকেলটির মাফলার বা সাইলেন্সারটি বেশ আধুনিক লুক এর। বাইরের অংশে সিলভার রংএর মেটাল প্রটেক্টর রযেছে।
পেছনের লুক
পেছনের লাইটটি প্রায় সমতল এবং মাঝে সামান্য কোনাকৃতিভাবে উচু। বাংলাদেশে এমন টেইলল্যাম্প সর্বপ্রথম দেখা যায় Bajaj V15 মোটরসাইকেলটিতে। পেছনে দুপাশে দুটি ক্যারিয়ার ব্রক্স রয়েছে। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিরাপদে বহনের জন্য সুবিধাজনক। পেছনের মাডগার্ডটি অনেক নীচু ফলে বর্ষার দিনে পিলিয়ন(সহযাত্রী) কাদা ছিটানোর হাত থেকে রক্ষা পাবে। সহযাত্রীর জন্য ব্যাকরেস্ট অনুপস্থিত।
প্রতিযোগী
Haojue TR150S মোটরসাইকেলটিকে মুলত বাংলাদেশে সম্প্রতি আসা Bajaj V15 এবং অন্যতম জনপ্রিয় ক্রুজার KEEWAY Superlight 150 এবং AtlasZongshen ZS 150-58 এর সাথে প্রতিযোগীতা করতে হবে।
পরিশেষে
কর্নফুলী ইন্ডাস্ট্রিজ দাবী করে মোটরসাইকেলটি ইউরোপে রপ্তানীর উপযোগী করে প্রস্তুত যা সম্পুর্ণ প্রস্তুত অবস্থায় বাংলাদেশে আমদানী করা হয়, তাই মানের ব্যাপারে সংশয় নেই। এছাড়াও রয়েছে ৬বছরের ওয়ারেন্টী ফলে ক্রেতারা নিশ্চিতমনেই বাইকটির নিরাপত্তার ব্যাপারে আস্থা রাখতে পারেন।
মোটরসাইকেলটির দাম এবং বিস্তারিত তথ্য
Click Here