আমি সোহানুল ইসলাম পারভেজ পেশায় একজন সাংবাদিক। আমার পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য বিভিন্ন স্থানে ছুটে বেড়াতে হয়। এজন্য বাইকই একমাত্র আমার জন্য সেরা বাহন যেটা নিয়ে যে কোন জায়গায় অনায়াসেই যাতায়াত করা যায় এবং এই বাইকের মাধ্যমে আমি আমার দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করতে পারি। আমি এখন পর্যন্ত অনেকগুলো বাইক রাইড করেছি। ১৫০সিসি থেকে শুরু করে ৮০সিসি সেগমেন্টের সব বাইকই আমি ব্যবহার করেছি আল্লাহর রহমতে। এতগুলো বাইক ব্যবহার করার পরে আমার কাছে একটি বাইক খুব ভালো লেগে যায় সেটি হল Hero HF Deluxe Self। বাইক কেনার পর রাইড করে আমি খুবই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। Hero HF Deluxe Self কেনার আগে আমি আমার বন্ধুর বাইক রাইড করেছি এবং রাইড করে আমার কাছে চমৎকার মনে হয়েছে।
হিরো ব্র্যান্ডকে আমি অনেক সম্মান করি কারণ এই ব্র্যান্ড আমার খুব পছন্দ এবং তাদের বাইকগুলো অনেক বছর ধরে বাংলাদেশের বাজারে রয়েছে। তাদের ১০০সিসি থেকে শুরু করে ১৫০ সিসি বা ১৬০সিসি পর্যন্ত সকল বাইকের রয়েছে অনেক জনপ্রিয়তা। তার মধ্যে আমি বেছে নিই ১০০সিসির একটি বাইক Hero HF Deluxe Self। আমি এখন পর্যন্ত রাইড করেছি ১১,০০০ কিলোমিটার। এই ১১,০০০কিমি রাইড করে এই বাইক আমাকে অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। আমি যেভাবে ব্যবহার করতে চেয়েছি ঠিক সেভাবেই বাইকটা আমাকে পারফরম্যান্স সরবরাহ করেছে ও ফিডব্যাক দিয়েছে। আরো কি কি এই বাইক থেকে সুবিধা পেয়েছি চলুন সেগুলো বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
প্রথমত আমি আপনাদেরকে অবগত করি যে এই বাইক নিয়ে আমার বেশি মন্দ কোনো অভিযোগ নেই। শুধুমাত্র কোম্পানির কাছে আমার আবদার ছিল যে তারা যেন এই বাইকের সাথে ডিজিটাল মিটার এবং সামান্য অন্যান্য ফিচারস আপডেট করে কারন যুগের সাথে তাল মিলিয়ে গ্রাহকরা এখন নতুন কিছু পছন্দ করে।
এ বাইকের ডিজাইন অনেক মার্জিত যার ফলে যে কোনো বয়সের রাইডারের সাথে খুব ভালোভাবেই মানিয়ে যায় এবং আমার সাথেও বাইকটি খুব মানিয়েছে। চলাচলের জন্য আমি বিভিন্ন স্থানে যায় এবং অনেকেই সাধারণ একটি বাইক হিসেবে খুবই পছন্দ করেন। Hero HF Deluxe Self বাইক নিয়ে আমি সন্তুষ্ট।
ইঞ্জিন পারফরমেন্সের দিক থেকেও আমি বাইকের ফিডব্যাক খুব ভালো পেয়েছি। ইঞ্জিন থেকে আমি এখন মাইলেজ পাচ্ছি লিটারে ৬০ থেকে ৬৫ কিলোমিটার। আমার কাছে ১০০সিসি হিসেবে মাইলেজ যথেষ্ট মনে হয়েছে। ইঞ্জিন পারফরম্যান্স নিয়ে আমি খুব সন্তুষ্ট।
বাইকটি যতই রাইড করিনা কেন আমি কখনো ক্লান্তি বোধ করিনা কারণ এই বাইকের রয়েছে খুবই আরামদায়ক সিটিং পসিশন। গ্রামেগঞ্জের বিভিন্ন রাস্তাসহ বিভিন্ন এলাকায় আমি বাইক নিয়ে রাইড করি এবং বাইকের সিটিং পজিশন বা আরাম নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই এবং কোন সমস্যা এখন পর্যন্ত পাইনি। আমি দিনে গড়ে ৪০ কিলোমিটার বাইক রাইড করি এবং একদিনে সর্বোচ্চ রাইড করেছি ১৫০ কিলোমিটার।
বাইকের দাম হিসেবে আমার কাছে বিল্ড কোয়ালিটি অনেক ভাল এবং মজবুত মনে হয়েছে। আমি প্রায় একবছর ধরে এই বাইকটি ব্যবহার করছি এবং আমার কাছে কোন সমস্যাই হয়নি বিল্ড কোয়ালিটি নিয়ে। হিরো ব্র্যান্ডের অবশ্যই প্রশংসা করতে হয় বিল্ড কোয়ালিটির দিক থেকে।
সব মিলিয়ে আমার কাছে এখন পর্যন্ত এই বাইকটি অনেক ভালো লেগেছে এবং আশা করি আপনাদেরও অনেক ভালো লাগবে। আমি আমার বাইক রাইডের সময় যে সকল ভাল বা মন্দ অনুভূতি পেয়েছি সেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি।
আমি অবশ্যই বলব যে হিরো Hero HF Deluxe Self বাইক দাম হিসেবে এর কোয়ালিটি ফিচারস ইত্যাদি বিবেচনা করলে অনেক ভালো একটি বাইক। আমার আশে পাশে যারা এই বাইকটি ব্যবহার করছেন তারা সকলেই খুব ভালো পারফরমেন্স পাচ্ছেন এবং অনেকেই প্রায় ৫-৬ বছর আগেও বাইক কিনে এখন পর্যন্ত সন্তুষ্ট আছেন। আমি বিশ্বাস করি যে এই বাইকটি আমাকে অনেক ভালো পারফরম্যান্স দিবে এবং অনেকদিন সাপোর্ট দিবে।
সবশেষে আমি হিরো ব্র্যান্ডের কাছে একটাই অনুরোধ করব যে এই বাইকের সাথে যেন আধুনিক কিছু ফিচার ও গ্রাফিক্স দিয়ে বাজারে আনা হয়। ১০০সিসির বাইকের চাহিদা বাজারে অনেক রয়েছে এবং আমার মনে হয় যদি এই নতুনরূপে নতুন আঙ্গিকে বাইকটি নিয়ে আসা হয় তাহলে অনেক বেশি সাড়া পাওয়া যাবে।
ধন্যবাদ সবাইকে এই ছিল আমার স্বল্প আকারে কিছু কথা আমার Hero HF Deluxe Self বাইক নিয়ে।