2016-06-12
Hero Honda CBZ Xtreme motorcycle user review by Ether
কিছু কিছু জিনিষের প্রতি কেন যেন আমার এক অযৌক্তিক ভালবাসা তথা পক্ষপাত। তন্মধ্যে অন্যতম ‘মোটরসাইকেল’। তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতাম যখন কেউ বাইক চালিয়ে সামনে দিয়ে যেতো। কি যে ভালো লাগতো বলে বুঝাতে পারবো না। দেখতাম আমার আব্বা, বড় ভাইকে বাইক চালাতে। শুধু দেখতামই, হয়তো কখনো পেছনে বসার সুযোগ হতো। ঐ পর্যন্তই। এই তীব্র আবেগের কারনেই হয়তো ক্লাস এইটেই বাইক চালানো শিখে যাই। কিন্তু শিখে লাভ কি? আমার আব্বা কখনোই আমাকে বাইক চালাতে দিতেন না। তাই বলে কি আমি চুপচাপ বসে থাকতাম। এতো সখের জিনিষ, কষ্ট করে চালানো শিখেছি । বন্ধুবান্ধব বড় ভাই , কোন আত্মীয় সুযোগ পেলেই বাইক চালাতাম। এর কিছুদিন পরেই আমার ভাইয়া একটা বাইক কিনলেন Her Honda CBZ Xteme ভাইয়া আব্বার মতো করতেন না। বেশ উদার ছিলেন। সুযোগ পেয়ে গেলাম এই ফাটাফাটি বাইকটি চালানোর। তিন বছর হয়ে গেলে দেখতে দেখতেই , আমি এখন নিয়মিত এই বাইকটি চালাই। কতো মধুর স্মৃতিই না আছে এই বাইকটি নিয়ে। সেগুলিতো আর রিভিউয়ে বলা যাবে না। বরং এই অতি চমৎকার বাইকটি চালিয়ে আমার কি অভিজ্ঞতা বা সহজ কথায় বাইকটি আসলে কেমন, এর ইঞ্জিন কেমন, কন্ট্রোল কেমন, সাস্পেনশানই বা কেমন, মাইলেজ –টপ স্পীড এই বিষয়গুলিই আপনাদের জানাবো ।
কন্ট্রোল
কন্ট্রোলিং এবং হ্যান্ডেলিং এর দিকটি কিন্তু বাইকটির খুবই ভালো। আসলে বাইকটির ওজন অন্যান্য ১৫০ সিসির বাইকের তুলনায় বেশী। তুলনামূলক বেশী ওজনের কারণে বাইকটি মাটি কামড়ে চলে। এর পাশাপাশি এর গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ও বেশ ভালো। তাই বাইকটিকে থামতে বললে যেমন বিনা আপত্তিতে থেমে যায় আবার শহরের ব্যাস্ত রাস্তা বা অলি গলিতে ডানে বামে যেদিকেই যেতে চান না কেন বাধ্য ছেলের মতো আপনার কথা শুনবে। এতো বড় আর ভারি বাইকের কন্ট্রলিং আর হ্যান্ডেলিং যে কতো চমৎকার সে আপনি না চালালে বুঝবেন না।
ইনজিন
বাইকের ইঞ্জিন এক কথায় অসাধারণ। এর হৃদয়গ্রাহী পারফর্মেন্স আপনাকে মুগ্ধ করে দিবে। শুধু আমি না যারাই এই বাইকটি চালান বিনা দ্বিধায় আমার এই বক্তব্যকে সমর্থন করবেন। বাইকটির ইঞ্জিন 149cc OHC 4-stroke, single cylinder, air-cooled। এই শক্তিশালী ইঞ্জিনের কারণে বাইকটি 10.6 kW (14.4 PO@ 8500 rpm) মতো হাই কোয়ালিটির ম্যাক্স পাওয়ার দিয়ে থেকে। আর বাইকটির টর্ক 12.80 N m @ 6500 rpm । সুতরাং বুঝতেই পারছেন এই পরিমান ম্যাক্সপাওয়ার আর টর্ক নিয়ে একটা বাইক চালালে আপনার অনুভুতি কেমন হবে। এক কথায় আপনি অভিভুত হয়ে যাবেন। প্রায় তিন বছর এর অধিক সময় আমি এই বাইক চালাচ্ছি আর এই কথা বলতে দ্বিধা নাই অন্য যেকোনো বাইকের তুলনায় এই বাইকের ইঞ্জিন পারফর্মেন্স অনেক অনেক ভালো। এই দীর্ঘ সময়ে বাইকের ইঞ্জিন সাউন্ড প্রায় আগের মতই আছে। যখন আমি বাইকে স্টার্ট দেই ইঞ্জিন সাউন্ড শুনে আমার মন ভালো হয়ে যায়। বাইকটির ইঞ্জিনের পাশাপাশি এর ডিজাইন মনোমুগ্ধকর। বাইকের অন্যন্য যন্ত্রাংশও বেশ যত্ন নিয়ে বানানো, যা হয়তো সব ভাষা দিয়ে বলা যায় না অভিজ্ঞতা দিয়ে বুঝে নিতে হয়।
স্পীড ও মাইলেজ
বাইকটির টপ স্পীড নিয়ে আমার সন্তুষ্টির কোন কমতি নাই। আমার মতে শুরু থেকেই বাইকটি টপ স্পীডের দিক থেকে সেরা। আমি পেছনে একজন নিয়ে সর্বচ্চ ১২০ কিমি/ ঘন্টা গতীতে বাইকটি চালিয়েছি যা সত্যই অবিশ্বাস্য। আমার ধারণা একা চালালে খুব সহজেই ১৩০ কিমি/ ঘন্টা গতিবেগ তুলে ফেলা সম্ভব। আর মাইলেজের দিক থেকেও বাইকটি কোন অংশে কম না। শুরুর দিকে যেমন ৩৫/৪০ কিমি / লিটার মাইলেজ পেতাম এখন তাই পাই। কখনো কখনো মাইলেজ আর স্পীড কিছুটা কমে গেলেও সার্ভিসিং করে নিলে আবার আগের মতো হয়ে যায়।
সাসপেনশন ও ব্রেকিং
ইঞ্জিনের পরেই যে বিষয়টির গুরুত্ব সর্বাধিক সেটি হোল ব্রেকিং সিস্টেম আর সাস্পেনশান। এই বাইকটিতে এই দুইটি বিষয়ই খুব যত্নের সাথে করা হয়েছে এবং তা চমৎকার কাজ করে। ব্রেকিং সিস্টেম ডিস্ক আর ড্রাম ব্রেক নিয়ে গঠিত। এই উভয় ধরণের ব্রেকিং সিস্ট্রেম যেকোনো রাস্তার একসাথে চমৎকার কাজ করে এবং আমি পরিপুর্ণভাবে সন্তুষ্ট। টেলিস্কোপিক আর নিট্রক্স GRS সাস্পেনশান মসৃণ রাস্তায় যেমন আমাকে আরামদায়ক অনুভুতি দেবে গ্রামীণ অফ রোডেও তেমনি আপনি স্বাচ্ছন্দ বোধ করবেন। তাই আমার বিচারে কারোরই বাইকটির সাস্পেনশান আর ব্রেক নিয়ে কোন অভিযোগ থাকার কথা না।
ভালো দিক
- ০ থেকে ৬০ কিমি মাত্র ৭/৮ সেকেন্ডেই তুলে ফেলা যায়।
- কন্ট্রোলিং এবং হ্যান্ডেলিং অসাধারণ।
- ইঞ্জিন পারফর্মেন্স অতুলনীয়
- খুবই স্টাইলিশ এবং চমৎকার উজ্জ্বল রং
খারাপ দিক
- আর একটু বেশী মাইলেজ পেলে ভালো হতো
আমি দীর্ঘ তিন বছরের বেশী সময় ঘরে বাইকটি চালাচ্ছি । আমার অভিজ্ঞতায় বলছি আমার কোন অভিযোগ নাই। পাওয়ার আর স্পীডের চমতকার সমন্বয় ঘটানো হয়েছে বাইকটিতে।
কন্ট্রোল
কন্ট্রোলিং এবং হ্যান্ডেলিং এর দিকটি কিন্তু বাইকটির খুবই ভালো। আসলে বাইকটির ওজন অন্যান্য ১৫০ সিসির বাইকের তুলনায় বেশী। তুলনামূলক বেশী ওজনের কারণে বাইকটি মাটি কামড়ে চলে। এর পাশাপাশি এর গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ও বেশ ভালো। তাই বাইকটিকে থামতে বললে যেমন বিনা আপত্তিতে থেমে যায় আবার শহরের ব্যাস্ত রাস্তা বা অলি গলিতে ডানে বামে যেদিকেই যেতে চান না কেন বাধ্য ছেলের মতো আপনার কথা শুনবে। এতো বড় আর ভারি বাইকের কন্ট্রলিং আর হ্যান্ডেলিং যে কতো চমৎকার সে আপনি না চালালে বুঝবেন না।
ইনজিন
বাইকের ইঞ্জিন এক কথায় অসাধারণ। এর হৃদয়গ্রাহী পারফর্মেন্স আপনাকে মুগ্ধ করে দিবে। শুধু আমি না যারাই এই বাইকটি চালান বিনা দ্বিধায় আমার এই বক্তব্যকে সমর্থন করবেন। বাইকটির ইঞ্জিন 149cc OHC 4-stroke, single cylinder, air-cooled। এই শক্তিশালী ইঞ্জিনের কারণে বাইকটি 10.6 kW (14.4 PO@ 8500 rpm) মতো হাই কোয়ালিটির ম্যাক্স পাওয়ার দিয়ে থেকে। আর বাইকটির টর্ক 12.80 N m @ 6500 rpm । সুতরাং বুঝতেই পারছেন এই পরিমান ম্যাক্সপাওয়ার আর টর্ক নিয়ে একটা বাইক চালালে আপনার অনুভুতি কেমন হবে। এক কথায় আপনি অভিভুত হয়ে যাবেন। প্রায় তিন বছর এর অধিক সময় আমি এই বাইক চালাচ্ছি আর এই কথা বলতে দ্বিধা নাই অন্য যেকোনো বাইকের তুলনায় এই বাইকের ইঞ্জিন পারফর্মেন্স অনেক অনেক ভালো। এই দীর্ঘ সময়ে বাইকের ইঞ্জিন সাউন্ড প্রায় আগের মতই আছে। যখন আমি বাইকে স্টার্ট দেই ইঞ্জিন সাউন্ড শুনে আমার মন ভালো হয়ে যায়। বাইকটির ইঞ্জিনের পাশাপাশি এর ডিজাইন মনোমুগ্ধকর। বাইকের অন্যন্য যন্ত্রাংশও বেশ যত্ন নিয়ে বানানো, যা হয়তো সব ভাষা দিয়ে বলা যায় না অভিজ্ঞতা দিয়ে বুঝে নিতে হয়।
স্পীড ও মাইলেজ
বাইকটির টপ স্পীড নিয়ে আমার সন্তুষ্টির কোন কমতি নাই। আমার মতে শুরু থেকেই বাইকটি টপ স্পীডের দিক থেকে সেরা। আমি পেছনে একজন নিয়ে সর্বচ্চ ১২০ কিমি/ ঘন্টা গতীতে বাইকটি চালিয়েছি যা সত্যই অবিশ্বাস্য। আমার ধারণা একা চালালে খুব সহজেই ১৩০ কিমি/ ঘন্টা গতিবেগ তুলে ফেলা সম্ভব। আর মাইলেজের দিক থেকেও বাইকটি কোন অংশে কম না। শুরুর দিকে যেমন ৩৫/৪০ কিমি / লিটার মাইলেজ পেতাম এখন তাই পাই। কখনো কখনো মাইলেজ আর স্পীড কিছুটা কমে গেলেও সার্ভিসিং করে নিলে আবার আগের মতো হয়ে যায়।
সাসপেনশন ও ব্রেকিং
ইঞ্জিনের পরেই যে বিষয়টির গুরুত্ব সর্বাধিক সেটি হোল ব্রেকিং সিস্টেম আর সাস্পেনশান। এই বাইকটিতে এই দুইটি বিষয়ই খুব যত্নের সাথে করা হয়েছে এবং তা চমৎকার কাজ করে। ব্রেকিং সিস্টেম ডিস্ক আর ড্রাম ব্রেক নিয়ে গঠিত। এই উভয় ধরণের ব্রেকিং সিস্ট্রেম যেকোনো রাস্তার একসাথে চমৎকার কাজ করে এবং আমি পরিপুর্ণভাবে সন্তুষ্ট। টেলিস্কোপিক আর নিট্রক্স GRS সাস্পেনশান মসৃণ রাস্তায় যেমন আমাকে আরামদায়ক অনুভুতি দেবে গ্রামীণ অফ রোডেও তেমনি আপনি স্বাচ্ছন্দ বোধ করবেন। তাই আমার বিচারে কারোরই বাইকটির সাস্পেনশান আর ব্রেক নিয়ে কোন অভিযোগ থাকার কথা না।
ভালো দিক
- ০ থেকে ৬০ কিমি মাত্র ৭/৮ সেকেন্ডেই তুলে ফেলা যায়।
- কন্ট্রোলিং এবং হ্যান্ডেলিং অসাধারণ।
- ইঞ্জিন পারফর্মেন্স অতুলনীয়
- খুবই স্টাইলিশ এবং চমৎকার উজ্জ্বল রং
খারাপ দিক
- আর একটু বেশী মাইলেজ পেলে ভালো হতো
আমি দীর্ঘ তিন বছরের বেশী সময় ঘরে বাইকটি চালাচ্ছি । আমার অভিজ্ঞতায় বলছি আমার কোন অভিযোগ নাই। পাওয়ার আর স্পীডের চমতকার সমন্বয় ঘটানো হয়েছে বাইকটিতে।