আমি শিহাব।খুব ছোট একটা চাকরী করি।মোটরসাইকেল আমার খুব প্রিয় একটা দরকারি বাহন।এবং আমার স্বপ্নও বটে।আমি অনেক আগে থেকেই মোটরসাইকেল ব্যাবহার করি।প্রথম যখন হিরো হোন্ডা হাংক এর ডাবল ডিস্ক ভার্সন বাজারে আসে তখন আমি এটা কিনেছিলাম।সেই সময় এর লুক টা অনেক ভালো লেগেছিল।আর সাথে ডাবল ডিস্ক ব্যাবহারেরও অনেক ইচ্ছা ছিলো যার কারণে বাইকটি কিনেছিলাম।যাই হোক অনেক দিন ব্যাবহার করেছি বাইক টা।এর ভালো আর খারাপ দিক তুলে ধরার চেস্টা করবো।ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখবেন।
ভালো দিক
এর কালার আর মাস্কুলার বডি দেখে এই হিরো হোন্ডা হাংক মোটরসাইকেল কিনতে উৎসাহ বোধ করেছিলাম।তাছাড়া আমি লম্বা হবার কারনে এই বিগ বুল চয়েজ করি।বিল্ড কোয়ালিটি অনেক ভালো।৬ বছর রাফ ইউজ করেই বুঝেছি বিল্ড কোয়ালিটি আসলেও ভালো।সিটিং পজিশন খুবি দারুন সিংগেল অথবা একজন পিলিয়ন নিয়ে খুবি আরামে বাইক চালানো যায়।আর হ্যান্ডেল বার টাও খুব সুন্দর অবস্থানে আছে বলে অনেক্ষণ ধরে চালালেও হাতের বা শরীরের কোন ক্লান্তি অনুভব হয়নি।এর সব থেকে ভালো লেগেছিলো শক এবজরবার।খুবি স্মুথ এবং মোটামুটি বড় রকমের ঝাকি বুঝতে দেয়নি।ইঞ্জিন পারফরমেন্স ভালো লেগেছিলো। ৬ বছর ইউজ করার পরেও শুধু ক্লাচ প্লেট,ব্রেক প্যাড আর চেইন স্প্রোকেট চেঞ্জ করেছি এছাড়া কোন সময় বড় কোন কাজ করাইনি আর আমাকে কোন সময় হতাশ করেনি। আমি খুবি সন্তুষ্ট এই বাইকটার উপড়ে।আমি বাইকটির ফুল গতিসীমা অনেক বার অতিক্রম করেছি কোন রকম অতিরিক্ত ভাইব্রেশন অনুভব করিনি।এর ওজন আর উন্নত মানের এবজরবার এর কারণে আর কন্ট্রোল হয়েছে যথেস্ট ভালো। আমি মাইলেজ পেয়েছি প্রথম অবস্থায় ৩৯ কিমি আর এখন ৪৬-৪৯ হয়তো ব্রেক ইন পিরিয়ড টা ভালো মত মেনে চলার কারণে ।ইঞ্জিনের কোন বাজে সাউন্ড এখনো অনুভব করিনি।টপ স্পিড ১১৭ পেয়েছিলাম। তবে হাংক আরো বেশি স্পিড তুলতে সক্ষম। চেইন স্প্রোকেট এর সমস্যার কারনে এর বেশি তুলতে পারনি।এর থ্রোটল রেস্পন্স ভালোই ছিলো।এই ছিলো মুটামুটি ভালো দিক এবার এর খারাপ দিকগুলো বলবো।
খারাপ দিক
এটি দেখতে খুব সুন্দর হলেও পিছনের চাকাটা ১৫০ সিসি বাইক এবং বাজারের অন্যান্য স্পোর্ট বাইকের তুলনায় চিকন।যেটা খুবি খারাপ লেগেছে।স্টার্ট করার পরে ইঞ্জিন গরম হতে সময় নেয় বেশি। ব্রেকিং রেস্পন্স পিছনের টা ভালো হলেও সামনের টা কম। সামনের ব্রেকিং আরো ভাল করা দরকার ছিলো। আর পিছনের চাকা আরো মোটা দিলে হয়তো স্কিড কম করতো চিকন চাকা হবার কারনে স্কিড করে।সামনের হেড ল্যাম্প এর আলো মোটেই ভালো না তাতে আবার ব্যাটারির এ,সি, লাইন হবার কারনে আরো সমস্যা হয়েছে রাতে। আর পিছনের লাইট টাও বেশি আলো দেয় ব্রেক করলে যার ফলে পিছনের বাইক চালকদের সমস্যা হয় সামনে দেখতে। স্পিডো মিটার টা যদি আরেকটু বড় করা যেতো তাহলে আরো ভাল হতো।স্টক হর্ণ টাও বাংলাদেশ হিসেবে খুবই দুর্বল। এই ছিলো আমার দৃস্টিকোণ থেকে ভাল মন্দ দিক। অল্প কিছু দিক বিবেচনায় আনলে হয়তো আরো ভালো একটা স্পোর্ট বাইক হিসেবে মানুষের মন মাতিয়ে দাপিয়ে বেড়াতো এই বাইক।
এটা নিতান্তই আমার অভিজ্ঞতা অন্যদের কাছে কেমন লেগেছে তার উপড় ভিত্তি করে রিভিউ দেইনি। সবাইকে ধন্যবাদ!