2016-06-13
Hero Honda Passion Pro motorcycle user review by Rabin
আমাদের দেশে মোটরসাইকেলের জনপ্রিয়তা যেনো দিনদিন বেড়েই চলেছে। আমাদের দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে এই বাহনটির প্রয়োজনীয়তা যেমন অনস্বিকার্য , অন্যদিকে বাহনটি চালানোও রোমাঞ্চকর। মোটরসাইকেলের বিশেষত্ব অন্য কোন যানবাহনে নেই। কার- এর চেয়ে এর ফুয়েল খরচও অনেক কম। পার্কিং এর জন্য জায়গা কম লাগে। মেইনটেইন্যান্স খরচ কম, দামও কম। আমি যখন ছোট ছিলাম আমার বাবা বড় ভাইয়াকে দেখতাম বাইক চালাতে। আমার সবসমই ইচ্ছা হতো তাদের মতো বাইক চালাতে। মাত্র ১২ বছর বয়সেই বাইক চালানো শিখে নেই। আমাদের গ্রামের রাস্তা আর যোগাযোগ ব্যবস্থার কারনেই কমিউটার বাইকের জনপ্রিয়তা ছিল বেশী। ২০১২ সালে আমার বাবা আমাদের দেশের অন্যতম জনপ্রিয় কমিউটার বাইক Hero Honda Passion Pro কিনেন। মোটরসাইকেল চালানো শিখে নেয়ার পর থেকেই বাবার বাইক চালানো শুরু করি। তিন বছর হতে চলল বাইকটি চালাচ্ছি। এই দীর্ঘ সময়ে বাইকটি চালিয়ে আমার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তা আপনাদের সাথে আজ শেয়ার করবো।
ডিজাইন
প্রথমেই বলি, বাইকটি একদিকে যেমন স্টাইলিশ অন্যদিকে দেখতেও মার্জিত। এর মজবুত, শক্তিশালী আর দীর্ঘ কাঠামোর কারণে অনায়েসেই তিনজন মিলে চালানো যায়। উজ্জ্বল আর আকর্ষণীয় কালার কম্বিনেশান যেনো বাইকটির স্টাইলে অন্যমাত্রা এনে দিয়েছে। সব দিক বিচারে আমাদের গ্রামীণ প্রেক্ষাপটে আমি বাইকটির ডিজাইন নিয়ে খুবই খুশি , কারণ আমার মনে হয়ে এর স্টাইল আর ডিজাইনে কিছুটা স্পোর্টস বাইকের সাথে মিল রয়েছে ।
ইনজিন পারফরমেন্স
যেকোনো বাইকের পারফর্মেন্সের অনেকটাই নির্ভর করে এর ইঞ্জিন পারফর্মেন্সের উপরে। আর আমার বাইকটির ইঞ্জিন এখন পর্যন্ত একবারও আমাকে বিব্রতকর পরিস্থিতে ফেলেনি। শুধু আমি একা না Passion Pro চালিয়েছেন এমন প্রায় সবাই আমার সাথে একমত হয়েছেন। বাইকটি ৯৭.২ সিসি , ফোর স্ট্রোক, সিঙ্গেল সিলিন্ডার OHC ইঞ্জিন বিশিষ্ট। ইঞ্জিনের ম্যাক্স পাওয়ার 6.5 Kw (8.5 Ps) at 8000 এবং টর্ক 8.05 Nm @ 5000rpm. ১০০ সিসির বাইকের এই ইঞ্জিন পারফর্মেনেস কারণে বাইকটি চালিয়ে আমি কখনোই নিরাশ হইনি। আমি তিন বছর ধরে বাইকটি চালাচ্ছি এবং বলতে দ্বিধা নাই এর ইঞ্জিন আমার প্রত্যাশাকে পুরন করেছে। বাইকটির ইঞ্জিনের সবচেয়ে ভালো দিক হলো প্রায় চার বছর হতে চলল এর ইঞ্জিন সাউন্ড প্রায় নতুনের মতোই আছে।
কন্ট্রোল
আপনারা যারা গ্রামে বাইক চালিয়েছেন তারা জানেন এখানে বাইক চালিয়ে ঠিক যাকে বলে শান্তি পাওয়া যায় না, শুধু মাত্র রাস্তার কারনেই। কিন্তু আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা হলো গ্রামীণ কাঁচা রাস্তাতেও এর কন্ট্রোল আর হ্যান্ডেলিং আমার কাছে খুবই সহজ মনে হয়েছে। গ্রামের অমসৃণ রাস্তাতেই যদি এর কন্ট্রোলিং আর হ্যান্ডেলিং এতো অনায়েসে করা যায়, তবে শহরের মসৃণ রাস্তায় কেমন হবে আপনিই একবার ভেবে দেখুন । আমি সাধারণত স্বল্প দুরত্বেই বাইকটি বেশী চালিয়েছি। এর নিয়ন্ত্রণ এতো ভালো হবার একটা অন্যতম কারণ হলো এর সহজ সরল ডিজাইনের পাশাপাশি বাইকটির ওজন। না খুব ভারি আবার না হালকা, এর পাশাপাশি এর গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স কারণে যেকোনো রাস্তাতেই নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আপনাকে আলাদা ভাবে ভাবতে হবে না। আমার বাবা প্রায়ই বাইকটি নিয়ে অনেক দূরের পথ পাড়ি দেন এবং তার মতামত হোল বাইকটি সব দিক থেকেই ভালো। আমি একবার ১৬০ কিমি চালিয়েছিলাম একদিনে । আর আমার মনে হয়েছিল একটি কমিউটার বাইকের কাছ থেকে এর চেয়ে ভালো পারফর্মেন্স আর কি হতে পারে।
টপস্পীড ও মাইলেজ
কমিউটার বাইক মানেই ভালো মাইলেজ, আর আমার বাইকটিই বা বাদ যাবে কেন? প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত বাইকটির মাইলেজ নিয়ে এক কথায় আমি সন্তুষ্ট। আমি নিজে হিসাব করে দেখেছি লিটারে ৬০ কিমি যায়। মাইলেজের পাশাপাশি টপ স্পীডেও বাইকটি আমাকে হতাশ করেনি । আমি একবার ৮০ কিমি ঘন্টা বেগে বাইকটি চালিয়েছিলাম।
সাসপেনশন ও ব্রেকিং
ইঞ্জিনের পরেই ব্রেকিং সিস্টেম আর সাস্পেনশানের গুরুত্ব, কারণ এই দুইটি বিষয়ের উপরেই মোটরসাইকেল আরোহীর নিরাপত্তা অনেকাংশে নির্ভর করে। বাইকটিতে এই দুটি ক্ষেত্রে কোন আপোষ করা হয়নি এবং দুটিই চমৎকার কাজ করে। আমি সন্তুষ্ট। সামনে ড্রাম আর পেছনে ডিস্ক ব্রেক নিয়ে ব্রেকিং সিস্টেম করা হয়েছে। বাইকটির সামনের সাস্পেনশান টেলিস্কোপিক হাইড্রোলিক এবং পেছনে সুইং আর্ম ফাইভ স্টেপ অ্যাডজাস্টেবল সক এব্জারবার ( Swing arm with 5 step adjustable shock absorber suspension at the rear) । এই চমৎকার সাস্পেনশানের কারণে আপনি যেকোনো রাস্তাতেই আরামদায়ক বাইক চালানোর অনুভুতি পাবেন।
ভালো দিক
- বাইকের কন্ট্রোল চমৎকার
- উন্নত ইঞ্জিন পারফর্মেন্স
মন্দ দিক
- টায়ার তুলনামুলক চিকন
- ডিজিটাল মিটার নাই
পরিশেষে বলতে চাই বাইকটির পারফর্মেন্স নিয়ে আমি পুরোপুরি সন্তুষ্ট। অন্য যারাই এই বাইকটি চালিয়েছেন তারাই আমার সাথে একমত হয়েছেন।
ডিজাইন
প্রথমেই বলি, বাইকটি একদিকে যেমন স্টাইলিশ অন্যদিকে দেখতেও মার্জিত। এর মজবুত, শক্তিশালী আর দীর্ঘ কাঠামোর কারণে অনায়েসেই তিনজন মিলে চালানো যায়। উজ্জ্বল আর আকর্ষণীয় কালার কম্বিনেশান যেনো বাইকটির স্টাইলে অন্যমাত্রা এনে দিয়েছে। সব দিক বিচারে আমাদের গ্রামীণ প্রেক্ষাপটে আমি বাইকটির ডিজাইন নিয়ে খুবই খুশি , কারণ আমার মনে হয়ে এর স্টাইল আর ডিজাইনে কিছুটা স্পোর্টস বাইকের সাথে মিল রয়েছে ।
ইনজিন পারফরমেন্স
যেকোনো বাইকের পারফর্মেন্সের অনেকটাই নির্ভর করে এর ইঞ্জিন পারফর্মেন্সের উপরে। আর আমার বাইকটির ইঞ্জিন এখন পর্যন্ত একবারও আমাকে বিব্রতকর পরিস্থিতে ফেলেনি। শুধু আমি একা না Passion Pro চালিয়েছেন এমন প্রায় সবাই আমার সাথে একমত হয়েছেন। বাইকটি ৯৭.২ সিসি , ফোর স্ট্রোক, সিঙ্গেল সিলিন্ডার OHC ইঞ্জিন বিশিষ্ট। ইঞ্জিনের ম্যাক্স পাওয়ার 6.5 Kw (8.5 Ps) at 8000 এবং টর্ক 8.05 Nm @ 5000rpm. ১০০ সিসির বাইকের এই ইঞ্জিন পারফর্মেনেস কারণে বাইকটি চালিয়ে আমি কখনোই নিরাশ হইনি। আমি তিন বছর ধরে বাইকটি চালাচ্ছি এবং বলতে দ্বিধা নাই এর ইঞ্জিন আমার প্রত্যাশাকে পুরন করেছে। বাইকটির ইঞ্জিনের সবচেয়ে ভালো দিক হলো প্রায় চার বছর হতে চলল এর ইঞ্জিন সাউন্ড প্রায় নতুনের মতোই আছে।
কন্ট্রোল
আপনারা যারা গ্রামে বাইক চালিয়েছেন তারা জানেন এখানে বাইক চালিয়ে ঠিক যাকে বলে শান্তি পাওয়া যায় না, শুধু মাত্র রাস্তার কারনেই। কিন্তু আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা হলো গ্রামীণ কাঁচা রাস্তাতেও এর কন্ট্রোল আর হ্যান্ডেলিং আমার কাছে খুবই সহজ মনে হয়েছে। গ্রামের অমসৃণ রাস্তাতেই যদি এর কন্ট্রোলিং আর হ্যান্ডেলিং এতো অনায়েসে করা যায়, তবে শহরের মসৃণ রাস্তায় কেমন হবে আপনিই একবার ভেবে দেখুন । আমি সাধারণত স্বল্প দুরত্বেই বাইকটি বেশী চালিয়েছি। এর নিয়ন্ত্রণ এতো ভালো হবার একটা অন্যতম কারণ হলো এর সহজ সরল ডিজাইনের পাশাপাশি বাইকটির ওজন। না খুব ভারি আবার না হালকা, এর পাশাপাশি এর গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স কারণে যেকোনো রাস্তাতেই নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আপনাকে আলাদা ভাবে ভাবতে হবে না। আমার বাবা প্রায়ই বাইকটি নিয়ে অনেক দূরের পথ পাড়ি দেন এবং তার মতামত হোল বাইকটি সব দিক থেকেই ভালো। আমি একবার ১৬০ কিমি চালিয়েছিলাম একদিনে । আর আমার মনে হয়েছিল একটি কমিউটার বাইকের কাছ থেকে এর চেয়ে ভালো পারফর্মেন্স আর কি হতে পারে।
টপস্পীড ও মাইলেজ
কমিউটার বাইক মানেই ভালো মাইলেজ, আর আমার বাইকটিই বা বাদ যাবে কেন? প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত বাইকটির মাইলেজ নিয়ে এক কথায় আমি সন্তুষ্ট। আমি নিজে হিসাব করে দেখেছি লিটারে ৬০ কিমি যায়। মাইলেজের পাশাপাশি টপ স্পীডেও বাইকটি আমাকে হতাশ করেনি । আমি একবার ৮০ কিমি ঘন্টা বেগে বাইকটি চালিয়েছিলাম।
সাসপেনশন ও ব্রেকিং
ইঞ্জিনের পরেই ব্রেকিং সিস্টেম আর সাস্পেনশানের গুরুত্ব, কারণ এই দুইটি বিষয়ের উপরেই মোটরসাইকেল আরোহীর নিরাপত্তা অনেকাংশে নির্ভর করে। বাইকটিতে এই দুটি ক্ষেত্রে কোন আপোষ করা হয়নি এবং দুটিই চমৎকার কাজ করে। আমি সন্তুষ্ট। সামনে ড্রাম আর পেছনে ডিস্ক ব্রেক নিয়ে ব্রেকিং সিস্টেম করা হয়েছে। বাইকটির সামনের সাস্পেনশান টেলিস্কোপিক হাইড্রোলিক এবং পেছনে সুইং আর্ম ফাইভ স্টেপ অ্যাডজাস্টেবল সক এব্জারবার ( Swing arm with 5 step adjustable shock absorber suspension at the rear) । এই চমৎকার সাস্পেনশানের কারণে আপনি যেকোনো রাস্তাতেই আরামদায়ক বাইক চালানোর অনুভুতি পাবেন।
ভালো দিক
- বাইকের কন্ট্রোল চমৎকার
- উন্নত ইঞ্জিন পারফর্মেন্স
মন্দ দিক
- টায়ার তুলনামুলক চিকন
- ডিজিটাল মিটার নাই
পরিশেষে বলতে চাই বাইকটির পারফর্মেন্স নিয়ে আমি পুরোপুরি সন্তুষ্ট। অন্য যারাই এই বাইকটি চালিয়েছেন তারাই আমার সাথে একমত হয়েছেন।