হিরো হাংক ডাবল ডিস্ক ১৫,০০০কিমি রাইডিং রিভিউ - ইকবাল হোসেন

বাংলাদেশের বাজারে সর্বপ্রথম যে মাস্কুলার বাইকের ধারণা নিয়ে আসে তা হল হিরো হাংক। ১ যুগেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের ১৫০ সিসি বাইকের শীর্ষে অবস্থান করেছে হিরো হাংক। এখনও হিরো হাংক ফ্যান ইউজার রয়েছে যা শুধু ১৫০ সিসির মধ্যে হাংক বাইকটি বেশি পছন্দ করে থাকেন। আমিও হিরো হাংকের খুব বড় একজন ভক্ত। মোটরসাইকেল কেনার শখ আমার অনেক আগে থেকেই ছিলো এবং আমি মনে মনে সংকল্প করেছিলাম যে যখন কোন বাইক কিনবো তখন সেটা অবশ্যই দেখতে সুন্দর হবে এবং সব দিক থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে যাবে। এখন আমি হিরো হাংক ব্যবহার করছি এবং প্রায় ১৫০০০ কিমি রাইড করেছি। আমার এই রাইডিং অভিজ্ঞতার আলোকে হিরো হাংক নিয়ে বেশ ভালই অভিজ্ঞতা হয়েছে এবং বাইকটি ব্যবহার করে এখন পর্যন্ত খুব স্বাচ্ছন্দ বোধ করছি। সব মিলিয়ে হিরো হাংক বাইকটি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। অন্যদিকে এই বাইকের কিছু মন্দ দিকও রয়েছে এবং এই সবগুলো বিষয় আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

এই বাইকটি কেনার পেছনে মূল কারণ হচ্ছে, আমি অন্য বাইক রাইড করে দেখেছি যে সেগুলো স্মুথ কম এবং ভাইব্রেট করে কিন্তু হিরো হাংক শুরু থেকেই অনেক স্মুথ এবং হাই স্পীডে কন্ট্রোল খুব ভালো থাকে। তাছাড়াও বাইকের দাম ও ডিজাইন সব দিক থেকে অনেক ভালো অন্যান্য বাইকের থেকে।

আমি ১ দিনে প্রায় ১২০ কিমি রাইড করেছি এবং টপ স্পীড তুলেছি ১০৭ কিমি প্রতি ঘণ্টা। আমার কাছে লং রাইডে খুব আরামদায়ক মনে হয়েছে এবং খুব ভালো সাপোর্ট পেয়েছি সব দিক থেকেই।

শহরের মধ্যে মাইলেজ পাচ্ছি ৪০ থেকে ৪৫ কিমি প্রতি লিটার এবং হাইওয়েতে পাচ্ছি ৪৫ থেকে ৫০ কিমি প্রতি লিটার। ১৫০ সিসির এই বাইক থেকে এই রকম মাইলেজ পেয়ে আমি সন্তুষ্ট।

আমি সাধারণত আমার এলাকার হিরোর সার্ভিস পয়েন্ট থেকে বাইক সার্ভিস করাই। আমি গত ২৪ তারিখ হিরো মেগা সার্ভিস ক্যাম্প থেকে বাইকের সার্ভিস করিয়েছি । সেখানে সার্ভিস করিয়ে তাদের পরিবেশ, মান ইত্যাদি সব কিছু অনেক ভালো মনে হয়েছে। আমি চাই এই রকম সার্ভিস প্রতিনিয়ত হোক।

আমার বাইকের ভালো দিকের মধ্যে রয়েছে
-রেডি পিক আপ খুব ভালো
-চালিয়ে অনেক আরামদায়ক
-ব্রেকিং সিস্টেম অনেক ভালো
-টায়ারের গ্রিপ অনেক ভালো ফিড ব্যাক দেয়
-বিল্ড কোয়ালিটি ও ডিজাইন অনেক সুন্দর

মন্দ বিষয়ের মধ্যে রয়েছে
-এয়ার ফিল্টারের পজিশন খুব একটা ভালো না এবং সেখানে তেল চলে যায়।

All HERO bike price in bd

Hero Hunk DD