হিরো ইগনিটর ১৫০০০কিমি রাইডিং রিভিউ - জনি হোসেন

বাইক হচ্ছে আমার প্যাশন। আমি বাইক নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করি । বলতে গেলে হিরো ইগনিটর ১২৫ এই বাইক নিয়ে সাহস করে ডিম পাহাড় সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়িয়েছি এই ভ্রমনে আমার ভ্রমন সঙ্গী ছিলো আমার বউ। হিরো ইগনিটর বাইকটি কেনার পূর্বে আমি অনেক যাচাই বাছাই করে কিনি। আমি যেহেতু বাইক প্রেমী মানুষ তাই আমার এমন একটি বাওক দরকার যার লুক, ডিজাইন, ইঞ্জিন পারফরমেন্স, মাইলেজ ও বাজেট সব দিক থেকেই ভালো সাপোর্ট দিবে। এই সব কিছু আমি খুঁজে পেয়েছি আমার খুব পছন্দের বাইক হিরো ইগনিটরে। আমি প্রায় ১০ মাস যাবত এই বাইকটি ব্যবহার করছি এবং ১৫০০০ কিমি রাইড করেছি। সত্যি বলতে আমি এই বাইক নিয়ে অনেক ঘুরে বেরিয়েছি কিন্তু বর কোন সমস্যা আজও পাইনি। আমার কাছে মনে হয় যে ১২৫ সিসি সেগমেন্টের মধ্যে সেরা একটি বাইক হচ্ছে হিরো ইগনিটর ১২৫। আজকে আমার ১০ মাসে ১৫০০০ কিমি রাইডিং অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের জন্য এই অভিজ্ঞতা অনেক উপকারে আসবে।




প্রথমেই বলবো এর মাইলেজ নিয়ে । আমি শহরের মধ্যে মাইলেজ পাই ৫০ কিমি প্রতি লিটার এবং হাইওয়েতে মাইলেজ পাই ৪৮ কিমি প্রতি লিটার। হাইওয়েতে কম পাবার কারণ হচ্ছে যে আমি হাইওয়েতে একটু বেশি স্পীডে রাইড করি যার জন্য তেল খরচটা কম সিসির এই বাইকের জন্য একটু বেশি হয়। পিলিয়ন নিয়ে রাইড করলে ১২৫ সিসির ইঞ্জিন স্পীড তুলতে একটু সময় নেয়। আমার মতে এই মাইলেজ ঠিক মনে হয়েছে।

বাইকটি স্পীডের রাজা। ১২৫ সিসির এই বাইক থেকে আমি স্পীড পেয়েছি ১২০ কিমি প্রতি ঘন্টা এবং পিলিয়ন নিয়ে পেয়েছি ১১০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। স্পীডের দিক থেকে আমি খুবই সন্তুষ্ট।



পেছনের টায়ার একটু চিকন মনে হয়েছে আমার কাছে । এছাড়াও ইঞ্জিনের শব্দটা আরেকটু স্মুথ হওয়া উচিত।
আমি ১২০০০ কিমি তে সামনের ব্রেক এবং ১৫০০০ কিমি তে পেছনের ব্রেক পরিবর্তন করেছি। তাছাড়া নিময় মাফিক বাইকের এয়ার ফিল্টার সহ যাবতীয় সার্ভিস করাই। আমার কাছে খুব ভালো একটা বাইক মনে হয়েছে হিরো ইগনিটর। আপনাদের পছন্দ থাকলে এই বাইকটি অবশ্যই নিতে পারেন।

All HERO bike price in bd

Hero Ignitor