নিত্যনতুন ডিজাইন এবং ফীচার সমৃদ্ধ বাইক উপহার দেয়া বাইক কোম্পানী গুলোর নতুন ট্রেন্ড শুরু হয়েছে। যদি ১২৫সিসির বাইকের সেগমেন্টের কথাআ বলে যায় তবে সর্বশেষ হিরো নিয়ে এসেছে তাদের নতুন মডেল “হিরো ইগনিটর”। প্রস্তুতকারক কোম্পানির মতে এই বাইকটা একটি বিশেষ কম্বিনেশন নিয়ে তৈরি হয়েছে যা রাইডারকে একই সাথে এর শক্তি এবং রোমাঞ্চকর অনুভূতি এবে দেবে তাদের এই ইগনিটর ১২৫সিসি। এর অসাধারণ ডিজাইন এবং এবং নতুন প্রজন্মের ১২৫সিসি এটিএফটি ইঞ্জিন যা অনেক ভাল মাইলেজ দিবে এবং রাইডারের আত্মবিশ্বাস অনেকগুনে বাড়িয়ে দিবে। এর স্পোর্টি লুক যে কারও মনযোগ আকর্ষন করতে সক্ষম কোন রকম অতিরঞ্জন ছাড়াই। একই সাথে এই বাইকটা আধুনিক প্রযুক্তির ছোয়ায় উন্নত যা একজন বাইকার তার বাইকের আশা করে। এবার আমরা আসি সেই সকল আধুনিক ফিচারের সাথে পরিচিত হতে যা একজন বাইকারকে সহজেই এর প্রতি দুর্বল করে ফেলতে পারে।
ইঞ্জিন
১২৪.৭ সিসি এয়ার কুল ৪ স্ট্রোক সিংগেল সিলিন্ডার ওএইচসি ইঞ্জিন এই ইগনিটরে ব্যবহার করা হয়েছে যা ৮.৩ kw (১১.0 বিএইচপি) @ ৭৫০০ আরপিএম সর্বোচ্চ শক্তি এবং সর্বোচ্চ টর্ক হল ১১ এন – এম @ ৬৫০০ আরপিএম। এই ইঞ্জিনের বোর এক্স স্ট্রোক হল ৫২.৪ x ৫৭.৮ এমএম এবং এর কম্প্রেসন রেশিও হল ১০.১। এতে রয়েছে ডিজিটাল ডিসি সিডিআই ইগনিশন সিস্টেম এবং সিভি কার্বুরেটর। ৪ স্পিডের গিয়র বক্সের সাথে সেলফ এবং কিক দুই ধরনের স্টার্ট অপশন রয়েছে। হিরো উদ্ভাবিত নতুন টেকনোলজি যা আই৩এস নামে পরিচিত এবং বলা বাহুল্য যে এই প্রযুক্তি মাইলেজের ক্ষেত্রে সহায়ক ভুমিকা পালন করে থাকে।
ডাইমেনশন
এই বাইকের ডাইমেনশন দেখতে গেলে আমরা পাবো ২০২৩ এমএম লম্বা এবং ৭৬৬ এমএম চওড়া আবার এর উচ্চতা হল ১২৬২ এমএম, নিচের দিকে অর্থাৎ গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স হল ১৫৯ এমএম। এই বাইকের বেশ বড় এবং সুদর্শন ফুয়েল ট্যাংক রয়েছে যার ধারন ক্ষমতা হল ১১ লিটার এবং এর তেল রিজার্ভের ক্ষমতা হল ১.৪ লিটার। এর ব্যালেন্স ঠিক রাখতে এবং এর বডি ডাইমেনসনের সাথে মানিয়ে নেওয়ার প্রয়োজনয়ীতা চিন্তা করে এর ওজন করা হয়েছে ১২৭ কেজি।
সাস্পেনশন এবং ব্রেক
এর সামনের চাকায় রয়েছে টেলিস্কপিক হাইড্রলিক শক এবজরভার এবং পেছনে রয়েছে ৫ – স্টেপ এডজাস্ট করার মত হাইড্রোলিক শক এবজরভার। রাইডারকে সব কিছু ঠিকমত ব্যালেন্স করার তাগিদে এর উভয় চাকায় ব্যবহার করা হয়েছে ড্রাম এবং ডিস্ক ব্রেকিং সিস্টেম। সামনের চাকায় রয়েছে ২৪০এমএম সাইজের ডিঙ্ক ব্রেক এবং পেছনে ১৩০এমএম ড্রাম ব্রেক।
টায়ার এবং চাকা
হিরোর এই সর্বশেষ সংস্করনে উভয় চাকায় টিউব্লেস টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে। উভয় চাকার সাইজ একই রকম এবং তাদের মাপ হল ৬০/১০০-১৮ ৪৭পি সামনের চাকায় এবং পেছনে ৯০/৯০-১৮৫১পি টিউবলেস পেছনের চাকায়।
ইলেক্ট্রিকাল এবং মিটার প্যানেল
এই নিয়ে কথা বলতে গেলে আমরা দেখতে পাবো যে ১২ভি – ৩ এ এইচ (ইটিজেড – ৪), এমএফ ব্যাটেরি, ১২ভি – ৩৫w / ৩৫w হ্যালোজেন বাল্ব (যা মাল্টি রিফ্লেক্টর টাইপের) ব্যবহার করা হয়েছে হেডলাইটে। পেছনে ব্যবহার করা হয়েছে এলইডি টাইপের টেইল ল্যাম্প এবং ১২ভি – ১০w (এমবার বাল্ব) x ৪ nos (এমএফআর – ক্লিয়ার লেন্স) যা টার্নিং লাইটে ব্যবহার করা হয়েছে।
অন্যদিকে এর মিটার প্যানেলে ডিজিটাল এবং এনালগের স্টাইকিশ একটা কম্বিনেশন রয়েছে যেখানে আছে স্পিডোমিটার, ট্রিপ মিটার, লো ফুয়েল ইন্ডিকেটর, ঘড়ি এবং আরও বেশ কিছু জিনিস যা অসাধারণ দেখায়।
সবশেষে
বর্তমানে এই বাইকটার দুটা কালার কোম্পানি বাজারজাত করেছে তার মধ্যে একটি হল টেকনো ব্লু এবং ক্যান্ডি ব্লেজিং রেড। প্রস্তুতকারক কোম্পানির মতে এই বাইকের স্টাইলিশ লুক এবং মাইলেজ অবশ্যই রাইডারের মন ছুঁয়ে যাবে আবার এর আই৩এস টেকনলোজি দ্বারা ইঞ্জিন সর্বোচ্চ পারফরমান্স দিবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সবকিছু বিবেচনা করে বলা যায় যে এর নতুন গ্রাফিক্স ডিজাইন, কালার কম্বিনেশন, মাস্কুলার সাথে স্পোর্টি লুক রাইডারকে অন্যরকম এক ধরনের অনুভূতি এনে দিবে যা একজন রাইডার পুর্বে কখনও পাইনি।