আজকে বাংলাদেশ যেমন উন্নত হচ্ছে সেই সাথে উন্নত হচ্ছে মোটরসাইকেল শিল্প। এখন অনেকেই বেছে নিচ্ছে মোটরসাইকেল সহজে যাতায়াত করার জন্য এবং অনেকেই আছে যারা সখ করে বাইক বেছে নেয়।আমিও ঠিক তেমনি একজন সহজে যাতায়াত করার জন্য ও আমার চাকুরির ক্ষেত্র সহজ করার জন্য বেছে নিয়েছি মোটরসাইকেল।অনেক দিন থেকেই আমি বাইক চালাই এবং আমি এর আগে হিরো কোম্পানির প্যাশন প্রো এবং বাজাজ কোম্পানির ডিসকভার বাইকটি ব্যাবহার করেছি যদিও বাইক গুলো কোম্পানির কাজে আমাকে দেওয়া হয়েছিলো তাই ভাবলাম নিজের একটি বাইক কেনা দরকার এবং কিছু দিনের মাথাই আমি বাইকটি কিনে ফেলি মুলত আমি হিরো কোম্পানির বাইক অনেক আগে থেকেই আমি চালাই তাই আমি ভেবে রেখেছিলাম কিনলে হিরো কোম্পানির বাইক কিনবো। আমি গ্লেমার বাইকটি কেনার জন্য গেছিলাম পরে দেখি ইগ্নিটর বাইকটি যা আমার অনেক ভালো লাগে। আমি কোন দ্বিধা ছাড়া বাইকটি কিনে ফেলি এবং গত ১০ দিন যাবত ব্যাবহার করছি ।আমি বাইকটি শুভ এন্টারপ্রাইজ থেকে কিনেছিলাম এবং আমি তাদের ব্যাবহারে অনেক সন্তুষ্ট।তারা আমাকে অনেক যত্নের সাথে সার্ভিস দিয়েছে এবং বিশেষ করে তারা অনেক খুব ভালো ব্যাবহার করে এবং সঠিক তথ্য প্রদান করে।আজকে আমি হাজির হয়েছি আপানাদের সামনে আমার গত ১০ দিনের অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।এটি আমার একদম নতুন বাইক তাই এখনও কিছু জিনিস বুঝে উঠতে সময় লাগবে আশা করছি আগামীতে ভালো খারাপ দিক গুলো আরও নিখুঁতভাবে পর্যবেক্ষন করতে পারব।
বাইকটি কিনেছি আমি শুভ এন্টারপ্রাইজ থেকে তাদের ব্যবহারে আমি সন্তুষ্ট তবে কিছু বিষয় আমার কাছে ভালো মনে হয়নি যেমন তাদের দক্ষ টেকনিশিয়ান নাই ফলে সার্ভিস ভালো ভাবে করতে পারেনা আশা করছি আগামিতে সার্ভিস নিতে গেলে ভালো সার্ভিস পাবো।
বাইকটির লুকিং অনেক ভালো এবং মাসকুলার মনে হয় আমার কাছে। বাইকটি প্রায় হিরো গ্লামার বাইকটির মত তবে বেশ কিছু পরিবর্তন আছে যার কারনে আমি বাইকটি কিনি বাইকটির গ্রাফিক্স ডিজাইনটি আমার কাছে পুরোনো মনে হয়েছে একটু পরিবর্তন করলে আরও ভালো হত বলে আমি মনে করি।বাইকটির সামনের দিকের কিট গুলো বেশ মজবুত কিন্তু পেছনের দিকে কেমন যেন দুর্বল মনে হয়। আমি প্রায় সময় লক্ষ করেছি যে ভাঙ্গা রাস্তার ওপর দিয়ে গেলে কিট গুলো নরবড় করে।
বাইকটির ইঞ্জিন কোয়ালিটি সর্ম্পকে এখনও তেমন অভিজ্ঞতা হয়নি সবে মাত্র ১০ দিন হল তবে আমি মনে করি ইঞ্জিনের পারফর্মেন্স অনেক ভালো কিন্তু ৩০-৩৫ কিলোমিটার চলার পর ইঞ্জিন বেশ গরম হচ্ছে যা আমার কাছে মনে হয় নতুন অবস্তার কারনে এমনটি হচ্ছে।ইঞ্জিনের ক্ষমতা বেশ ভালো এবং আমি ইঞ্জিনের কোন রকম ল্যাকিং এখন পর্যন্ত খুঁজে পাইনি।ইঞ্জিন পারফর্মেন্স যেমন ভালো পাচ্ছি সেই সাথে মিল রেখে আমি বেশ আরামের সাথে বাইকটি রাইড করতে পারছি সিটিং পজিশন অনেক ভালো কিন্তু পেছনের সীটে বসে আরাম নেই কারণ পেছনের সীট সরু তাই পিলিয়ন বসে আরাম পাবেনা।বাইকটির সিটের কোয়ালিটি ভালো এবং নরম ফলে বসে বেশ আরাম পাই।আমি এখন পর্যন্ত রাজশাহী থেকে বানেশ্বর গেছি এবং এসেছি সেই ক্ষেত্রে আমি কোন ক্লান্তি ছাড়া বাইকটি নিয়ে রাইড করতে পেরেছি।তেমন কোন পেইন অনুভব এখন পর্যন্ত করিনি।বাইটির কন্ট্রোল বেশ ভালো আমি জরুরি সময় গুলোতে ভালো ভাবে ব্রেক করে বাইকটি কন্ট্রোল করতে সক্ষম হয়েছি এবং চাকা একটুও স্লিপ করেনি।আমার কাছে বাইকটির কন্ট্রোল অনেক ভালো লেগেছে।বাইকটির সুইচ গুলোর কোয়ালিটি আগের মতই আছে এবং কোয়ালিটি অনেক ভালো।আমার কাছে বাইকটির i3s টেকনোলোজিটি অনেক ভালো লেগেছে এই টেকনোলোজির ফলে আমি আমি কিছু তেল সাশ্রয় করতে পারব।আমি জেহুতু চাকুরী করি সেই ক্ষেত্রে আমি বেশ রাত করে বাসায় যায়, রাতে বাইক নিয়ে বাসায় ফিরি সেই সময় আমি খেয়াল করেছি বাইকটির হেডল্যাম্পের আলো অনেক।তবে যখন আলো হাই লো করা হয় সেই সময় হাই বেশি হয়ে যায় মনে হয় আলো বেশি অপরে দিকে উঠে যাচ্ছে।আমার অনেক কিছু ভালো লেগেছে আবার কিছু জিনিস খারাপ লেগেছে।বাইকটির মাইলেজ নিয়ে আমি একটু দ্বিধার মধ্যে আছি কারণ আমাকে শো-রুম থেকে বলা হয়েছিলো ৬৫-৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত মাইলেজ পাবো কিন্তু আমি প্রথম দিন মেপে ৫০-৫৫ কিলোমিটার পর্যন্ত মাইলেজ পেয়েছি।আমি মাইলেজ নিয়ে খুশি হতে পারিনি।
সব শেষে আমি মোঃ মনিরিজ্জামান পেশায় একজন চাকুরিজীবী এই ছিল আমার কিছু অভিজ্ঞতার কথা এবং এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।সর্বদা হেলমেট ব্যাবহার করুন।
ভালো দিকঃ
-ইঞ্জিন
-ব্রেক
-আরামদায়ক
খারাপ দিকঃ
-মাইলেজ
-পেছনের সীট
-চিকন চাকা