বাংলাদেশে হিরো মোটরসাইকেলগুলোর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় মডেল হলো হিরো গ্লামার। শক্তিশালী ইনজিন, চমতকার ডিজাইন এবং টেকসই বডির কারনে ক্রেতারা সহজেই হিরো গ্ল্যামারকে পছন্দ করে থাকেন। সম্প্রতি হিরো এনেছে হিরো ইগনিটর ১২৫। অনেকেই ব্যক্ত করছেন যে এটি হিরো গ্লামার এর মতোই। তাই বাইক কেনার ক্ষেত্রে দ্বিধায় পড়ে যান কোন বাইকটি কেনা উচিত। তাই আমরা টিম মোটরসাইকেলভ্যালী দীর্ঘ পর্যালোচনার পর এবং গ্রাহকদের অনুরোধে এবারের আর্টিকেলে নিয়ে এসেছি যে হিরো গ্লামার বা হিরো ইগনিটর কোনটি গ্রাহকদের জন্য ভালো সিদ্ধান্ত হবে। নিচের আর্টিকেলে আমারা সে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো।
ডিজাইন
হিরো গ্লামারে রয়েছে স্টাইলিশ ডিজাইন ঠিক তেমনিভাবে ইগনিটরেও নজরকাড়া ডিজাইন লক্ষ্য করা যায়। ইগনিটরের হেডল্যাম্প, ব্যাক লাইট এলইডি, মাস্কুলার ফুয়েল ট্যংক এবং গ্রাফিক্স সব কিছুই হিরো গ্লামার এর চেয়ে অনেক অত্যাধুনিক এবং আকর্ষণীয়। তাই আমরা ডিজাইনের দিক থেকে হিরো ইগনিটর কে এগিয়ে রাখবো।
ইঞ্জিন
ইঞ্জিনের দিক থেকে হিরো গ্লামারের ইঞ্জিনে রয়েছে ৯ বিএইচপি হর্সপাওয়ার এবং টর্ক রয়েছে ১০.৩৫ এনএম আর অপরদিকে ইগনিটর ১২৫ সিসির বাইকের ইঞ্জিনে রয়েছে ১১ বিএইচপি হর্সপাওয়ার এবং টর্ক রয়েছে ১১ এনএম । তাই এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে ইঞ্জিনের দিক থেকে হিরো ইগনিটর ১২৫ বাইকটা হিরো গ্লামার এর থেকে আরও ভালো পারফরমেন্স দিবে। হিরো গ্ল্যামার এর হরাইজন্টাল ইনজিন রয়েছে এবং ইগনিটরে ব্যবহারে করা হয়েছে ভার্টিক্যাল ইনজিন।
i3S প্রযুক্তি
হিরো অভাবনীয় আবিষ্কার হচ্ছে i3S প্রযুক্তি। হিরো গ্লামারের ইঞ্জিনে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা নেই অপরদিকে হিরো ইগনিটর বাইকটিতে i3S প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এই প্রযুক্তি ইঞ্জিনের পারফরমেন্স ঠিক রেখে মাইলেজ আরও বাড়িয়ে দিবে। তাই প্রযুক্তিগত দিক দিয়েও আমরা ইগনিটরকে এগিয়ে রাখবো।
টায়ার
হিরো ইগনিটরে টিউবলেস টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে এবং গ্লামারে টিউব টাইপ টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে। হিরো গ্লামার ১২৫ এর সামনের টায়ারের সাইজ হচ্ছে ৭০ মিমি(২.৭৫ইঞ্চি) এবং ইগনিটরের সামনের টায়ারের সাইজ হচ্ছে ৮০ মিমি। অন্যদিকে হিরো গ্লামারের পেছনের চাকায় রয়েছে ৮০ মিমি টায়ার এবং ইগনিটরের ৯০ মিমি টায়ার। ফলে ইগনিটর বাইক মোটা টায়ার থাকায় রাস্তায় ভালো গ্রিপিং এবং কন্ট্রোলিং দিবে। কাজেই টায়ার বিবেচনায় আমরা অবশ্যই হিরো ইগনিটরকে এগিয়ে রাখবো।
এলয় হুইল
হিরো ইগনিটরের এলয় হুইলটি ডাবল স্পোক তাই দেখতে অনেক স্টাইলিশ ও আকর্ষণীয়। তাই আমরা এলয় হুইলের দিক থেকে ইগিনিটরকে এগিয়ে রাখবো।
টেকসই
বাজারে বহুদিন ধরেই আস্থার সাথে হিরো গ্ল্যামার ব্যবহার হচ্ছে এবং টেকসই এর ব্যাপারে সুনিশ্চিত কিন্তু ইগনিটর সদ্য বাজারে এসেছে সেক্ষেত্রে বাইকটি কেমন টেকসই হবে তা জানতে হলে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। তবে যেহেতু একই ব্র্যান্ড থেকে দুটি বাইকই এসেছে কাজেই আশা করা যায় ইগনিটর পূর্বের গ্ল্যামারের মতোই টেকসই হবে।
পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে হিরোর সদ্য আসা ইগনিটর বাইকটি বেশ আধুনিক এবং ফিচারস, পারফরমেন্স, লুকস ইত্যাদি দিক থেকে তাদের গ্ল্যামার বাইকটি থেকে অনেক এগিয়ে। সিদ্ধান্ত এখন গ্রাহকদের কাছে। হিরো গ্লামার যেমন জনপ্রিয় একটি বাইক ভবিষ্যতে আশা করা যায় ইগনিটর বাইকটাও অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।