“হিরো” এই নামটির মধ্যে একটা রাজকীয় ভাব রয়েছে। বাংলাদেশসহ বহিবিশ্বে বিভিন্ন দেশে হিরো তাদের প্রডাক্টগুলো সরবরাহ করে থাকে। বাংলাদেশের বাজারে ১০০ সিসি থেকে ১৫০ সিসির বাইকগুলোর মধ্যে হিরো বেশ কদর রয়েছে। ঠিক তেমনিভাবে জনপ্রিয় ১১০ সিসি সেগমেন্টের মধ্যে হিরো আই স্মার্ট বেশ ভালো স্থান অর্জন করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আরও উন্নত ফিচারস ও গ্রাহকদের রাইডিং সুবিধা আরও বৃদ্ধি করে হিরো সম্প্রতি বাজারে নিয়ে এসেছে হিরো আই স্মার্ট প্লাস। গ্রাহকদের নতুনভাবে রাঙিয়ে নিতে তারা অফার করছে এই বাইকটি। তাই আর সময় নষ্ট না করে চলুন এক পলক দেখে নেওয়া যাক এই বাইকটিতে তারা কী কী ফিচারস যুক্ত করেছে।
সংযোজিত ফিচারসসমূহ হচ্ছে
-ইন্ট্রিগেটেড ব্রেকিং সিস্টেম
-১১০ সিসির ভারটিক্যাল ইঞ্জিন
-ডিজিটাল ও এনালগ এর সংমিশ্রণে সুন্দর মিটার কনসোল।
-এএইচও প্রযুক্তি
-I3s প্রযুক্তি
-স্টাইলিশ গ্রাফিক্স
-স্টাইলিশ স্প্লিট গ্রাব রেল
-টিউবলেস টায়ার এবং পিন্সট্রিপটেড হুইল।
ডিজাইন ও ডাইমেনশন
ডিজাইনের দিক থেকে পূর্বের আই স্মার্ট এবং বর্তমান আই স্মার্ট প্লাস এর মধ্যে তেমন লক্ষ্যনীয় পার্থক্য দেখা যায় না। গ্রাফিক্সের মধ্যে তেমন কোন পরিবর্তন দেখা যায় না। ডুয়াল কালার মিক্সচার, চকচকে রং মোটা ডিজাইন সব মিলিয়ে বাইকটিকে আরও বেশি নজরকারা করে তুলেছে। এদিকে ডাইমেনশনে রয়েছে লম্বায় ২০১৫ মিমি, চওড়ায় ৭৭০ মিমি এবং উচ্চতায় ১০৫৫ মিমি । অন্যদিকে এই বাইকের হুইলবেজ রয়েছে ১২৪৫ মিমি, গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৬৫ মিমি, ফুয়েল ট্যংক ক্যাপাসিটি ৮.৫ লিটার এবং সব মিলিয়ে বাইকের ওজন ১১৬ কেজি।
ইঞ্জিন
ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে এই বাইকে দেখা যায় ১০৯.১৫ সিসি সিংগেল সিলিন্ডার ৪ স্ট্রোক ইঞ্জিন যা ম্যাক্স পাওয়ার ৬.৭০ কিলোওয়াট @৭৫০০ আরপিএম এবং ম্যাক্স টর্ক ৯ এনএম @৫৫০০ আরপিএম শক্তি উৎপাদনে সক্ষম। ইঞ্জিনের কম্প্রেশান রেশিও ১০:১ এবং ইঞ্জিন চালু করার জন্য রয়েছে কিক ও সেলফ স্টার্ট অপশন।
সাসপেনশন ও ব্রেকিং
একটি বাইক কেমন আরামদায়ক হবে সেটি বুঝতে পারা যায় সেখানে প্রদত্ত সাসপেনশন দ্বারা কারণ সাসপেনশনের ফলে রাস্তার ঝাঁকুনি কমিয়ে আরাম সরবরাহ করে। হিরো আই স্মার্ট প্লাস বাইকটিতে সামনের দিকে ব্যবহার করা হয়েছে টেলিস্কোপিক হাইড্রুলিক শক এবসরবার এবং পেছনের দিকে ব্যবহার করা হয়েছে সুইং আরম ৫ স্টেপ এডজাস্টেবল
হাইড্রলিক শক এবসরবার।
ব্রেকিং এর ক্ষেত্রে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে সামনে এবং পেছনে উভয় দিকেই ড্রাম ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে। ১১০ সিসি অন্যান্য বেশিরভাগ বাইকে সামনের চাকায় ডিস্ক ব্রেক ব্যবহার করা হয় কিন্তু এই বাইকের তেমনটা করা হয়নি।
টায়ার
ভালো ব্যালেন্সিং এর জন্য দরকার উন্নতমানের টায়ার। এই বাইকের এলয় হুইলের সাথে সামনের দিকে ব্যবহার করা হয়েছে ৮০/১০০ -৪৭পি সাইজের টায়ার এবং পেছনের দিকে ব্যবহার করা হয়েছে ৮০/১০০-৫৪পি সাইজের টায়ার। উল্লেখ্য যে টায়ারগুলো উভয়ই টিউবলেস।
ইলেকট্রিক্যাল ও মিটার কনসোল
ইলেকট্রিক্যাল বিষয়গুলোর মধ্যে এই বাইকে রয়েছে ১২ ভোল্ট ৩ এম্পায়ারের এমএফ ব্যাটারি। হেডল্যাম্পের ব্যবহার করা হয়েছে ১২ ভোল্ট ৩৫ ওয়াট/ ৩৫ ওয়াট এর হ্যালোজিন হেডল্যাম্প। এদিকে মিটার কনসোলে রয়েছে ডিজিটাল ও এনালগ মিটারের সংমিশ্রণ এবং এখানে স্পীডোমিটার ,ফুয়েল গেজ সহ রাইডারের যাবতীয় প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো লক্ষ্য করা যায়।
পরিশেষে
সমস্ত ফিচারস দেখার পর আমরা বলতে পারি যে পূর্বের মডেলের থেকে বর্তমান মডেলের টেকনিক্যালগত কিছু পার্থক্য দেখা যায় পাশাপাশি আধুনিকতার ছোঁয়া হিরো আই স্মার্ট প্লাসকে আরও বেশি সুদর্শন করেছে গ্রাহকদের কাছে। কালার কম্বিনেশন, ইন্ট্রিগ্রেটেড ব্রেকিং সিস্টেম, এএইচও প্রযুক্তি, উন্নত মিটার প্যানল ইত্যাদি সব কিছু বাইকটিকে ১১০ সিসি সেগমেন্টের মধ্যে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে।