আমি দীনেশ সরেন বর্তমানে চাকুরী করছি। আমার দৈনন্দিন চলাচলের জন্য বাইক খুবই দরকারী একটি বাহন। আমাকে বিভিন্ন সময়ে অফিসের কাজের জন্য বাইকের যেতে হয় এবং এমন যায়গায় যেতে হয় যেখানে বাইক ছাড়া যাওয়া সম্ভব না। আমি বাইক নিয়েই সাধারণত বেশি রাইড করি। এই বাইকটি আমার অফিসের কাজের জন্য অফিস থেকেই প্রদান করা হয়েছে। গত ৪ বছর ধরে আমি এটি ব্যবহার করছি এবং ৫২০০০ কিমি রাইড করেছি। বাইকটি প্রথম যখন দেশি তখন এর ডিজাইন সাদামাটা হলেও এর পারফরমেন্স আমাকে মুগ্ধ করেছে। সব মিলিয়ে আপনারা বলতে পারেন যে এই বাইকটি ব্যবহার করে আমি এখন পর্যন্ত অনেক সন্তুষ্ট। ৪ বছর ব্যবহারের ফলে এই বাইকটি নিয়ে আমার অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে এই অভিজ্ঞতাটা আমি মনে করি আপনাদেরও সাহায়্য করবে যার জন্য আমি মোটরসাইকেল ভ্যালীর মাধ্যমে আপনাদের সাথে আমার প্যাশান প্রো নিয়ে কিছু অভিজ্ঞতা তুলে ধরবো।
সর্বপ্রথম এই বাইকটির যে বিষয়টি বলতে হয় সেটি হল এর মাইলেজ। আমি শুরু থেকেই এই বাইকের মাইলেজ অনেক ভালো পেয়েছি। এখন শহরের মধ্যে ৫০ কিমি প্রতি লিটার এবং হাইওয়েতে ৫৫ কিমি মাইলেজ পাচ্ছি। এই মাইলেজ প্রথমের দিকে আরও বেশি ছিলো।
ডিজাইনটা অনেক মার্জিত। যে কেউ ব্যবহার করলে তার সাথে খুব সহজেই মানিয়ে যায় এবং এর সিটিং পজিশন আমার মতে খুবই আরামদায়ক যা আরামে বিভিন্ন রাস্তায় রাইড করা যায়।
ইঞ্জিনের পারফরমেন্স আমি এখন পর্যন্ত অনেক ভালো পেয়েছি। বাইকটি এখনও ইঞ্জিনের যৌবন ধরে রেখেছে। আমার কাছে ইঞ্জিনের পারফরমেন্স নতুন বাইকের মতই মনে হয়।
সামনের ও পেছনের টায়ার একটু মোটা করলে আরও ভালো কন্ট্রোল পাওয়া যেত। তবে মাইলেজ বেশি পাবার জন্য এই টায়ার সাইজ আমি মনে করি ঠিকই আছে।
বাইক বিষয়ে আমার খুব বেশি অভিজ্ঞতা নাই তবে আমি যতটুকু পেয়েছি তাইই আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমি এই বাইকটি ব্যবহার করে সন্তুষ্ট।আপনারা যদি কেউ এই বাইকটি পছন্দ করে থাকেন কিংবা এর আপডেট ভার্সন প্যাশান এক্স প্রো ১১০ সিসি বাইকটি নিতে চান তাহলে অবশ্যই বলবো নিতে কারণ হিরো ব্র্যান্ড হিসেবে অনেক ভালো এবং তারা কাস্টমারদের ভালো ফিডব্যাক এখনও দিয়ে যাচ্ছে এবং তাদের বাইকও অনেক ভালো।