আমার অবসরের পর থেকে আমি আমার চাষের জমি দেখা শোনা করা শুরু করলাম সাথে সাধারন কিছু ব্যবসার কাজে আমাকে এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলাতে আসা যাওয়া করা দরকার হচ্ছিল তাই একটা মোটরসাইকেল হলে আমার জন্যে খুব ভাল হতো এমন চিন্তা থেকেই আমি মোটরসাইকেল কেনার সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু আমার যথেষ্ট বয়স হয়ে যাওয়ায় সাধারন কোন মোতরসাইকেলের দিকে আমার মনযোগ যায় নি। বাংলাদেশের স্বনামধন্য ব্রান্ড হিরো যাদের বেশিরভাগ মোটরসাইকেলই সাধারনের মধ্যে বেশ ভাল ডিজাইন দিয়ে তৈরি, আমি একদিন শহরের অফিসিয়াল শোরুমে ফিয়ে দেখতে পায় তাদের স্কুটার সেগমেন্টের বেশ কয়েকটা মোটরসাইকেল আছে তার মধ্যে আমার বেশি ভাল লাগে “হিরো প্লেজার” লাল রঙেরটা।
এই বাইকটা পছন্দ করার আরেকটা কারন হলো আমি সহ আমার বাড়ির সকলেই এটা ব্যবহার করতে পারবে আর আমাদের যে সাধারন প্রয়োজন সে প্রয়োজনেই ব্যবহার হবে বেশি। একথা বলার কারন হলো আমি চাই না হাই স্পেশিফিকেশনের বাইক নিয়ে আমার বাড়ির কেউ স্টাইল করে বাইক চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হউক।
আজ মোটামুটি ৯ মাস হলো আমিসহ আমার পরিবারের যার যার দরকার বাইকটা ব্যবহার করছি আর এই সময়ের মধ্যে মোটরসাইকেলটা চালানো হয়েছে প্রায় ৩০০০ কিলোমিটার। একজন সিনিয়র নাগরিক হিসেবে এবং একজন নতুন রাইডার হিসেবে আমাকে এই মোটরসাইকেল চালাতে একটু সমস্যা হবে এটাই স্বাভাবিক তাই কেনার পরে একদিন চালানোর সময় আমাদের মোড়ের ওপর এমার্জেন্সি ব্রেক করেছিলাম, ভারসাম্য রাখতে পারিনি, পড়ে গিয়েছিলাম। এই একটা অভিজ্ঞতা আমাকে পরবর্তীতে ধীরেসুস্থে ব্রেক করার শিক্ষাটা দিয়েছে,
বলাবাহুল্য যে, এই ৯ মাস ব্যবহার করার পর আমি বা আমার পরিবারের কেউ এই বাইকটাতে উল্লেখ করার মত খারাপ কোন দিক খুজে পায়নি। দুয়েকটা ব্যাপার খেয়াল করতে পারলেও আমাদের কাছে সেগুলা স্বাভাবিক বলেই মনে হয়েছে। তাছাড়া সমস্যা যা পেয়েছি, শোরুমে বলার সাথে সাথেই তারা দ্রুত ঠিক করে দিয়েছে।
মাইলেজ নিয়ে বলতে গেলে আমি বর্তমানে মাইলেজ পাচ্ছি ৫৩ কিলোমিটার প্রতি লিটার যা আমার কাছে সহনীয় তবে আমি মনে করি এই ধরনের মোটরসাইকেলে মাইলেজটা যদি কমপক্ষে ৬০ কিলোমিটার প্রতি লিটার হয় তাহলে খুব ভাল হয়।
আমি নিজে এখন পর্যন্ত আমার মোটরসাইকেলটা একটানা চালিয়েছি প্রায় ৮০ কিলোমিটার তবে চলতি পথে আমি পারত পক্ষে সবার চেয়ে ধীরে বাইক চালায় তাই সর্বোচ্চ গতি আমার হাতে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টার চেয়ে বেশি না।