আমি আবুল খায়ের বর্তমানে ব্যবহার করছি হিরো স্প্লেন্ডর প্লাস আইবিএস। এই বাইকটি আমার কেনার নিদির্ষ্ট কোন উদ্দেশ্য ছিলো না। আমার বাসা রাজশাহী শহর থেকে বেশ দূরে। আমি একটা বাইক কিনবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এটা শুনে আমার খুব কাছের একজন আত্মীয় আমাকে বাইক কেনার জন্য পরামর্শ দেয়। আমি তাকে নিয়ে বাইক কিনতে যায় এবং হিরো স্প্লেন্ডর প্লাস আইবিএস বাইকটা আমার নজরে আসে। আমার আত্মীয় ঠিক একই বাইক ব্যবহার করে যার ফলে সে এই বাইক সম্পর্কে ভালো অভিজ্ঞতা রাখে। তার অভিজ্ঞতার আলোকে এই বাইক থেকে সে খুব ভালো পারফরমেন্স পাচ্ছে যার ফলে আমাকেও কেনার জন্য উৎসাহ দেয়। আমি তার কথায় বাইকটা কিনি এবং আমার বাজেটের সাথে একদম সামঞ্জস্যতা আছে। বাইকটা কেনার পর আমি গত ২ মাস যাত এটা ব্যবহার করছি এবং ৩০০০ কিমি রাইড করেছি। আমি এই বাইকটা থেকে কেমন অভিজ্ঞতা পাচ্ছি সেগুলো নিচে শেয়ার করছি।
ভাল দিক
-এর বিল্ড কোয়ালিটি অনেক মজবুত এবং অনেক টেকসই। আমার আত্মীয় ঠিক একই কথা বলেছে যে বাইকের বিল্ড কোয়ালিটি অনেক ভাল।
-চালিয়ে অনেক আরামদায়ক। সিটিং পজিশন অনেক প্রশস্ত যার ফলে অনেক আরামসে রাইড করা যায়।
-আইবিএস ব্রেকিং এর পারফরমেন্স আমি খুব ভালো পাচ্ছি। আমি চাইলেই বাইকের স্পীড নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছি এই আইবিএস ব্রেকিং এর সাহায্যে। এই আইবিএস ব্রেকিং এর ধারনা আমার কাছে নতুন এবং আমি এটা থেকে ভালো ফিডব্যাক পাচ্ছি।
-ইঞ্জিনের পারফরমেনা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ইঞ্জিন চালিয়ে অনেক স্মুথ এবং আমার কাছে মনে হয়েছে এই ইঞ্জিন আমাকে অনেক দিক সাপোর্ট দিবে। আমার আত্মীয় এখনও ইঞ্জিন পারফরমেন্স অনেক ভালো পাচ্ছি।
মন্দ দিক আমি এখনও খুজে পাইনি কারন বাইকটা সবে মাত্র ৩০০০ কিমি রাইড করা হয়েছে আর আমার মনে হয় এই বাইকের মন্দ দিক নাই বললেই চলে । আমার যে সকল বিষয় ভালো হওয়া দরকার ছিলো সেগুলো থেকে ভালো পারফরমেন্স পাচ্ছি।
মাইলেজ আমি শহরের রাস্তায় পেয়েছি ৬০ কিমি প্রতি লিটারে এবং হাইওয়েতে পেয়েছি ৬৫ কিমি প্রতি লিটারে। মাইলেজ নিয়েও আমি সন্তুষ্ট। এই বাইক আমি দিনে গড়ে ২০ কিমি রাইড করি এবং একদিনে একটানা রাইড করেছি ২০০ কিমি । সব দিক থেকেই আমার কাছে বাইকটা ভালো লেগেছে আপনারা যদি পছন্দ করে থাকেন তাহলে এই বাইকটা নিতে পারেন। বাজেট অনুযায়ী আমার কাছে অনেক ভালো বাইক মনে হয়েছে।