আমি সোহেল রানা পেশায় একজন চাকুরীজীবী। আমি বর্তমানে ব্যবহার করছি হিরো স্প্লেন্ডর প্লাস আইবিএস স্পেশাল এডিশন। এই বাইকটা আমি কিনেছ কারণ আমি শুনেছি যে এই বাইকটা অনেক ভাল এবং তেল সাশ্রয়ী। এদিকে আমার বাজেটের সাথেও এই বাইকটা মিলে যায় তাই আর দেরি না করে রাজশাহীর স্বনামধন্য হিরো ব্র্যান্ডের ডিলার শুভ এন্টারপ্রাইজ থেকে বাইকটা ক্রয় করি। আমি চাকুরীর জন্য বাইক খুব বেশি ব্যবহার করি না শুধুমাত্র আমার অফিসে যাতায়াতের জন্য এই বাইক ব্যবহার করি তাই ৯ মাসে আমি রাইড করতে পেরেছি মাত্র ৩০০০ কিমি। আমার দৃষ্টিকোণ থেকে এই বাইকটা ব্যবহার করে কেমন অভিজ্ঞতা পাচ্ছি সেগুলো আপনাদের সাথে আজ শেয়ার করবো।
এই বাইকটার ডিজাইন ও কালার কম্বিনেশন আমার কাছে দারুণ লেগেছে। ২৫ বছর উপলক্ষ্যে হিরো এই বাইকটা বাজারে নিয়ে এসেছে এবং তারা নতুন কালার কম্বিনেশন সংযোজন করেছে যেটা আসোলেই অনেক প্রশংসনীয়।
ইঞ্জিনের শক্তি ও শব্দ আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আমি আগে থেকেই জানি যে হিরোর ইঞ্জিন অনেক ভালো এবং তাদের এই ইঞ্জিন অনেক মজবুত। আমিও সেটাই অনুভব করছি।
আইথ্রিএস প্রযুক্তি আমার বাইকের মাইলেজ অনেক পেতে সাহায্য করে । বিশেষ করে শহরের রাস্তায় আমি এই বাইক থেকে আইথ্রিএস প্রযুক্তির খুব ভালো সাপোর্ট পাই। হিরোকে এজন্য ধন্যবাদ যে তারা কম দামের মধ্যে বাইকের অনেক ভালো ভালো ফিচারস দিয়েছে।
চালিয়ে অনেক আরামদায়ক লাগে আমার কাছে এবং আমার কাছে এই বাইকটা বেশি রাইড করে কোন ক্লান্তি অনুভূত হয়নি।
আইবিএস প্রযুক্তির ফলে আমি ব্রেকিং সিস্টেম থেকে অনেক ভালো সাপোর্ট পাচ্ছি। আমি চাইলেই বাইকের গতি নিরাপদে কমাতে পারি এই আইবিএস প্রযুক্তির ফলে যেটা আমার খুব ভালো লেগেছে এবং আমি মনে করি এরকম ফিচারস বাংলাদেশের সব বাইকে থাকা উচিত।
৩০০০ কিমি রাইড করে আমি এই বাইকের মধ্যে একটি মন্দ বিষয় লক্ষ্য করেছি যে বাইকের সামনের দিকে ডিস্ক ব্রেক দিলে আইবিএস ব্রেকিং আরও অনেক বেশি কার্যকর হত এবং এর থেকে অনেক ভালো সাপোর্ট পাওয়া যেত । বর্তমানে যে ব্রেকিং আছে সেটাকে আমি খারাপ বলছি না কিন্তু এর সাথে ডিস্ক ব্রেক হলে আমার মতে আরও অনেক বেশি ভালো হত।
আমি এই বাইকটা এখন পর্যন্ত রাইড করে সন্তুষ্ট আছি। আশা করি এই বাইক আমাকে অনেক দিক পর্যন্ত সাপোর্ট দিয়ে যাবে ।