আমাদের নিজেরদের প্রয়োজন অর্থাৎ জমি দেখাশোনা সাথে ব্যবসাবানিজ্য সামলানোর জন্য আমাদের একটা মোটরসাইকেল খুব দরকার আর এই ব্যাপারটা নিয়ে আমরা বা ছেলে গেল কয়েক মাস থেকে কথা বলে আসছিলাম আর বিভিন্ন জন থেকে জিজ্ঞেস করছিলাম যে আমাদের কাজের জন্যে কোন মোটরসাইকেলটা ভাল হবে। সবাই আমাদের হিরোর মোটরসাইকেল কেনার পরামর্শ দেয় এবং সেটা ছিল হিরোর কমিউটার সেগমেন্টের কেনার পরামর্শ কিন্তু আমার বাবা মনে করলেন মোটরসাইকেলটা আমার পছন্দ অনুযায়ী হউয়া উচিত কারন আমাকেই বেশিরভাগ সময় সেটা চালাতে হবে।
আমি ভেবেচিন্তে হিরোর সবশেষ বাজারে আসা লাল রঙের থ্রিলার ১৬০আর সিংগেল ডিস্ক বাইকটা পছন্দ করি। এই বাইকটা পছন্দ করার পেছনে অন্যতম কারন হল, বাজারের এফআই এবিএস প্রযুক্তি সম্পন্ন যতগুলা বাইক আছে তার মধ্যে সবচেয়ে কম দাম হল এই বাইকটার। একথা ঠিক যে কমিউটার সেগমেন্টের বাইক কেনাই আমাদের জন্য ঠিক ছিল কিন্তু বাজেট কিছুটা বাড়িয়ে সবচেয়ে ভালটা যদি পাওয়া যায় তবে সেটা নেওয়াই কি ঠিক না? কারন এই জিনিস তো আর বারবার কেনা হবে না।
আজ প্রায় ২.৫ মাস হলো হিরো থ্রিলার বাইকটা ব্যবহার করছি আর এই সময়ের মধ্যে আমরা দুজনে বাইকটা চালিয়েছি ১০০০ কিলোমিটার। প্রয়োজন ছাড়া সাধারন চলাচলের জন্যে আমরা মোটরসাইকেল ব্যবহার করি না তাই মোটরসাইকেলটা কেনা ৭৫ দিন পার হলেও খুব বেশি ব্যবহার করা হয় নি।
উক্ত সময়ের মধ্যে আমরা যতটুকু ব্যবহার করেছি তার মধ্যে সবকিছুই অনেক ভাল লেগেছে এই বাইকের তবে দুইটা ব্যাপার আমাদের কাছে একটু অদ্ভুত মনে হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলোঃ এই বাইকের কোনরকম ব্যাগ হোল্ডার নেই এমনকি আমি নিজে থেকে একটা ব্যাগ বা ল্যাগেজ হোল্ডার করে নিবো সেটারও কোন সিস্টেম নেই। পিলিয়নের পাদানীটা অনেক ছোট যার জন্যে অনেক সময় এমার্জেন্সীতে তিন জন বাইকে নিলে তৃতীয়জন পা রাখার জায়গা পায় না। হ্যা এটা অবৈধ, মোটরসাইকেলে তিনজন নেওয়া এখন আইন পরিপন্থি কিন্তু আমি মফস্বল এলাকায় বাস করি যেখানে আমার কাজের প্রয়োজনে আমাকে অনেক সময় তিনজন নিতে হয়। আরেকটা সমস্যা আমি খেয়াল করছি ছোটখাট দুয়েকটা পার্টস দরকার হলে সেটা পাওয়া যাচ্ছে না। আমার ধারনা বাইকটা নতুন হউয়াই এই সমস্যাটা হচ্ছে আশা করছি খুব তাড়াতাড়িই সব পাওয়া যাবে।
মাইলেজ নিয়ে বিস্তারিত বলতে গেলে আমি বর্তমানে মাইলেজ পাচ্ছি ৪৫ কিলোমিটার প্রতি লিটার ১৬০ সিসির বাইকহিসেবে এই মাইলেজটা আমার দৃষ্টিতে যথেষ্ট মনে হয়েছে এবং আশা করছি সময়ের সাথে সাথে মাইলেজ আরও বৃদ্ধি পাবে।
নতুন অবস্থায় থাকার কারনে আমি এখনও চরম মাত্রায় বাইকটা চালায় নি। এখন পর্যন্ত একটানা চালিয়েছি মাত্র ৫০ কিলোমিটার বা তার কিছু বেশি তবে একবার গতি উঠিয়েছিলাম ১০৩ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা যেখানে আমার বাইকটা সবদিক দিয়েই ঠিক ছিল অর্থাৎ আমি ব্রেকিং, কন্ট্রোল, ব্যালেন্স, কম্ফোর্ট, ইঞ্জিন পারফরমেন্স কোনকিছু নিয়েই তেমন ঝামেলাই পড়ি নি।