হিরো থ্রিলার ১৬০আর এফআই এবিএস ডাবল ডিস্ক ব্যাবহারিক অভিজ্ঞতা মোঃওয়াকিল ইসলাম

হিরো থ্রিলার বাইকটার কথা অনেকদিন আগে থেকেই শুবে আসছিলাম, বেশি শুনছিলাম যে এই বাইকটা নাকি সবচেয়ে কম দামে আধুনিক সব ফীচার নিয়ে আসতে যাচ্ছে তাই আমার মোটরসাইকেল কেনার কথা অনেক আগে থাকলেও মুলত এই বাইকটা দেখে নিয়ে তারপর বাইক কেনার সিদ্ধান্ত নিই। ঠিক বাইকটা যেদিন শোরুমে আসলো তারপরের দিনই আমি শোরুমে গিয়ে বাইক দেখি তারসাথে শোরুমের অফিসিয়ালদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অথ্য সংগ্রহ করি আর আমি নিজে ইন্টারনেট থেকে যতটা সম্ভব তথ্য মিলিয়ে নিয়ে বাইকটা কেনার সিদ্ধান্ত নিই বর্তমানে আমার বাইকটার বয়স ২১ দিন আর এই সময়ের মধ্যে আমি বাইকটা চালিয়েছি প্রায় ১৮৫০ কিলোমিটার কিন্তু আর যা ই হোক এই দুরুত্বটা একটা বাইককে ঠিক করে বোঝার জন্যে কোনভাবেই যথেষ্ট না কিন্তু নতুন বাইক হিসেবে আমি যা কিছু বুজেছি তা বাইকটার গুনগত মান বা ভবিষ্যৎ পারফরমেন্স সম্পর্কে আন্দাজ করার জন্যে যথেষ্ট বলেই মনে করি।
আগেই বলে রাখা ভাল যে আমি এখনও আমার মোটরসাইকেলটাই এমন কোনকিছু খুজে পায়নি যেটাকে আমি সরাসরি খারাও বলে এখানে উল্লেখ করতে পারি। তবে দুইটা ব্যাপার আমি লক্ষ্য করেছি যেটা আমার কাছে মনে হয়েছে আরেকটু ভাল হতে পারতো।

প্রথমত, পেছনের সীটটা আমার কাআছে ছোট বলে মনে হয়েছে

আরেকটি হল, হেডলাইটে লং এ দিলে ওপরে গাছের দিকে আলোটা ছড়িয়ে যায়। আমি এটা ঠিক করিয়ে ছিলাম কিন্তু যেভাবে চাচ্ছিলাম যেভাবে হয় নি। আবার দেখানো লাগবে মনে হচ্ছে।

অন্যদিকে যদি সবচেয়ে ভাললাগা দিক নিয়ে বলতে বলা হয় তবে আমি হিরো থ্রিলারের ব্রেকিং সিস্টেম কথাটা আগে উল্লেখ করবো, আমার বাইকটা যদিও ডাবল ডিস্ক ব্রেকিং সিস্টেম।

ইঞ্জিন পারফরমেন্স এবং ইঞ্জিনের সাউন্ড আমার কাছের অসাধারন লেগেছে। যদিও বা এখনও ইঞ্জিনের প্রকৃত পারফরমেন্স বোঝার মত বাইকটা ব্যবহার করা হয় নি।

আরেকটি বিষয় আমি উল্লেখ করতে চায় তা হলো, হিরোর সার্ভিস সেন্টারের সার্ভিস আমার কাছে খুব ভাল লেগেছে। তারা খুব আন্তরিকতার সাথে যেকোন সমস্যার সমাধান করে দেয়।

মাইলেজ নিয়ে আমি অনেক খুশি। বর্তমানে আমি মাইলেজ পাচ্ছি ৫০ কিলোমিটার প্রতি লিটার শহরে বাইকটা চালানোর সময় আর হাইওয়েতে ৫২ কিলোমিটার বা তার কিছু বেশি মাইলেজ পাচ্ছি। এফআই ইঞ্জিনের বাইকটা কেনা আমার কাছে সার্থক এবং আমি এই মাইলেজ নিয়ে অনেক খুশি।

যদি দাম নিয়ে কিছু না বলি সেটা মারাত্মক অন্যায় হয়ে যাবে কারন আমি এই বাইকটা কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এর দাম দেখে। এই দামে এতসব আধুনিক ফিচারস পাবো বলে আমি কখনও আশা করিনি। হিরো তাদের এই মডেলে এই রেঞ্জের দাম রেখে তাদের ঐতিহ্য ঠিক রেখেছে।

এখন পর্যন্ত আমি আমার মোটরসাইকেলটা একটানা চালিয়েছি ২১০ কিলোমিটার এবং সর্বোচ্চ গতি উঠিয়েছি ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। যেখানে আমি কোনরকম সমস্যা বুঝতে পারিনি।

All HERO bike price in bd

Hero Thriller 160R Fi ABS DD