আমার বয়সী ছেলেদের মধ্যে মোটরসাইকেলের সখ নাই এমন ব্যক্তি খুজে পাওয়া খুব কঠিন। আমিও এর ব্যতিক্রম নই, অনেক আগে থেকেই বাসায় মোটরসাইকেলের কেনার কথা বলছিলাম, বাসায় বলছিলাম তার কারন আমি নিজে এখনও একটা মোটরসাইকেল কেনার মত উপার্জন করতে শুরু করিনি তাছাড়া আমার পরিবারের মানুষজন আমার সখ সাধের ব্যাপারে খুব আন্তরিক তাই আমার বলতেও দ্বিধা হয় নি বিশেষত আমি যখন হিরোর নতুন মডেল হিরো থ্রিলার বাইকটা দেখলাম। এই বাইকটা নিয়ে হিরো কোম্পানিসহ সবার বাইকারদের মাঝেও অনেক ক্রেজ ছিলো সাথে হিরো অনেক নামী একটা কোম্পানী কারন কম দামে ভাল পন্য সরবোরাহের জন্যে হিরোর সারা বাংলাদেশে একটা সুনাম আছে।
আজ ২৩ দিন হলো আমি হিরো থ্রিলার বাইকটা ব্যবহার করছি আর এই সময়ের মধ্যে আমি আমার মোটরসাইকেলটা ব্যবহার করেছি প্রায় ১৪০০ কিলোমিটার। কিছু বিষয় আমার কাছে মনে হয়ে আরেকটু ভাল হলে খুব ভাল হতো তার মধ্যে অন্যতম বিরক্তিকর একটা ব্যাপার হলো যে এই বাইকটাতে আমি একটা ব্যাগ বহন করতে চাইলে তার জন্যে কোনরকম হুক বা হোল্ডার নেই, কিছু টেকিনিক্যাল সমস্যা যেমন হেডলাইটটা ওপরের দিকে আলো দেয় বেশি, লুকিং মিররটা নিচের দিকে অর্থাৎ আমি পেছনে দেখতে চাইলে আমাকে নিচু হয়ে তাকাতে হচ্ছে আরেকটি হলো, ২য় অথবা ৩য় গিয়ারে ক্লাচ ধরলে কেন জানি ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
আর এই বাইকটার যেদিকটা আমার কাছে সবচেয়ে ভাল লেগেছে তা হলো এর ব্যালেন্স এবং কন্ট্রোল যা এককথায় অসাধারন এবং তা তুলনা করতে গেলে বলতে হবে প্রিমিয়াম বাইকের মত। এবিএস ব্রেকিং থাকায় যেকোন অবস্থায় বা গতিতে বাইক থামাতে কোণ সমস্যা আমি টের পায় না।
মাইলেজ নিয়ে আমি একটু দ্বিধার মধ্যে আছি। অন্য সবার কি অবস্থা আমি জানি না তবে আমি বর্তমানে মাইলেজ পাচ্ছি শহর এবং হাইওয়ে মিলিয়ে গড়ে ৩২ কিলোমীটার প্রতি লিটার। নতুন অবস্থায় থাকার কারনে হয়তো মাইলেজ এমন পাচ্ছি কিন্তু মাইলেজটা যদি একটু বেশি হতো তাইলে আমি একটু খুশি হতে পারতাম।
এখন পর্যন্ত বাইকটা একদিনে একটানা চালিয়েছি ৪৫ কিলোমিটার বা তার কিছু বেশি আর সর্বোচ্চ গতি উঠিয়েছি ১১৪ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা।