আমি একজন নতুন বাইকার, বাইক চালানো শেখার পর থেকেই নিজের বাইক কেনার চিন্তাটা মাথায় চেপে বসে। সে কারনে আমি সময় পেলেই ইন্টারনেটে নিত্যনতুন বাইকের আপডেট দেখতাম এবং এইভাবে আমি জানতে পারলাম যে হিরো সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন একটি বাইক বাজারে আনতে যাচ্ছে। আমি ইন্টারনেট দেখেই বাইকটার আউটলুক দেখতাম যা আমার অনেক ভাল লাগে। তাই কিছুদিন থেমে আমি এই বছরের শুরুতে হিরো থ্রিলার ১৬০আর এফআই এবিএস বাইকটা ক্রয় করি কিন্তু শীতের প্রকপের কারনে বাইকটা চালাতে পেরেছি মাত্র ৩০০ কিলোমিটার। এখন এই ৩০০ কিলোমিটার তো আর একটা বাইককে বোঝার জন্যে কোনভাবেই যথেষ্ট না তারপরেও আমি আমার দেখা বাইকটার সকল দিকগুলা তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
যা কিছু আমার খুব ভাল লেগেছেঃ
- আমার বাইকটা অনেক স্মুদ, যেকোন পথে বা যেকোণ গতিতে আমি এখনও কোনরকম বাজে শব্দ বা ভাইব্রেশন টের পায়নি।
- গিয়ার শিফটিং অনেক স্মুদ, একজন নতুন বাইকার হিসেবে আমাকে কখনই গিয়ার শিফট করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় নি।
- হেডলাইট এবং মিটার কনসোলটা আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে
খারাপ কোনকিছুই এখনও আমি বুঝতে পারিনি বা সত্যি বলতে গেলে বুঝতে পারার কথাও না তবে দুইটা বিষয় আরেকটু ভাল হতে পারতো বলে আমি মনে করিঃ
- গ্রাবরেইল সাধারন বাইকের মত হলে সহযাত্রীর কিছুটা সুবিধা হত। যেটা আছে সেটা খারাপ এমনটা না কিন্তু সমস্যা হল আমরা এই ধরনের গ্রাবরেইলের সাথে অভ্যাস্ত না।
- মিটার কনসোলটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে কিন্তু গিয়ার ইন্ডিকেটর না থাকার আমার মনে মিটারটা অসম্পুর্ন
এখন যদি প্রশ্ন তোলা হয় যে একই সেগমেন্টের আরও অনেক বাইক থাকার পরেও কেন আমি হিরো থ্রিলার নিলাম বা এই বাইকটা আসা পর্যন্ত বাইক না কিনে অপেক্ষা করলাম?
এই প্রশ্নের আমগশিক উত্তর আমি ওপরের অংশে দিয়েছি তারসাথে যদি সরাসরি বলতে বলা হয় তবে আমি বলবো যে এই বাইকটা আমার বাজেটের মধ্যে এবং এই দামের মধ্যে আমি এই বাইকে সকল সর্বাধুনিক ফিচার পেয়েছি।
মাইলেজ নিয়ে বলতে গেলে, বর্তমানে আমি মাইলেজ পাচ্ছি শহর এবং হাইওয়ে মিলিয়ে গড়ে ৩৩ কিলোমিটার প্রতি লিটার। আশা করছি সামনে দিনে এই মাইলেজটা বাড়বে।
এখন পর্যন্ত আমি বাইকটা একটানা চালিয়েছি ৩৫ কিলোমিটার এবং সর্বোচ্চ গতি উঠিয়েছি ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। এমন যাত্রায় কোনরকম সমস্যা টের না পাওয়াটাই স্বাভাবিক এবং আমিও পায় নি।