বাইক কেনার ইচ্ছা অনেকদিন আগে থেকেই কিন্তু সাধারন মোটরসাইকেল কেন জানি আমার পছন্দ হয় না আবার আমার প্রায় সব বন্ধুরাই সর্বাধুনিক প্রযুক্তির বাইক ব্যবহার করে যা দেখে আমিও মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়েই ছিলাম যে বাইক কিনলে লেটেস্ট প্রযুক্তি সম্পন্ন বাইকটাই কিনবো। সত্যি কথা বলতে বললেই তো আর তেমন বাইকও কেনা যাবে না কারন স্বাদ আর সাধ্যের মধ্যে সামঞ্জস্য রেখে তারপর চিন্তা করতে হবে।
অন্যদিকে শুনছিলাম যে হিরো তাদের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি এবং সুবিধা সম্পন্ন একটি মোটরসাইকেল অতি শীঘ্রই আনতে যাচ্ছে যার দাম হবে এই সেগমেন্টের মধ্যে সবচেয়ে কম। একথা শুনে আমি একটু দ্বিধায় ছিলাম কারন হিরো এই সেগমেন্টের বাইকের জন্যে তেমন নামডাক নেই তবে হিরোর যে বাইকগুলা বাংলাদেশে ব্যবহার হয় সেগুলার সুনামের কোন কমতি নেই এই দিক দিয়ে আমি একরকম আশাবাদী ছিলাম যে কোয়ালিটি নিয়ে হিরো কখনই কোনরকম আপোষ করবে না।
যাহোক, হিরো থ্রিলার ১৬০আর বাইকটা শোরুমে আসার পর দিনই আমি শোরুমে যেয়ে কিনে ফেলি এবং আমার হাতে বাইকটার বয়স প্রায় ১৫ দিন এবং এই ১৫ দিনে আমি বাইকটা চালিয়েছি প্রায় ৮০০ কিলোমিটার। বলা বাহুল্য যে আমি জানতাম যে এই বাইকটা সমসাময়িক আধুনিক বাইক গুলার একটা যাতে সবধরনের সুযোগ সুবিধা আছে কিন্তু এতসব সুবিধা থাকার পরেও এই বাইকের দামের ব্যাপারটা আমাকে রীতিমত অবাক করেছে। এত কমদামে এত ফীচার সত্যিই অসাধারন একটা ব্যাপার।
এই ৮০০ কিলোমিটার ব্যবহার করার পর আমার কাছে যে সকল দিক আরেকটু ভাল হতে পারতো বলে মনে হয়েছেঃ
- এর হর্নটা আরেকটু উন্নত করা যেত
- ডিজাইনটা গতানুগতিক বাইকের থেকে আলাদা যা আমার কাছে বেশ ভাল লেগেছে তবে পেছনের গ্রাবরেইলটা সরাসরি বাইরে দিলে পিলিয়নের জন্যে সুবিধা হতো
যা কিছু অনেক ভাল লেগেছেঃ
- বাইকটার পিকআপ অসাধারন যা আমাকে সবধরনের পথে খুব ভালভাবে সাপোর্ট দিয়ে চলেছে
- হেডলাইটের ডিজাইনটা দারুন হয়েছে এবং সেটার আলোও আমাকে রাতের রাইডে খুব ভাল সাপোর্ট দিচ্ছে
- ইঞ্জিনের পারফরমেন্সটা উল্লেখ করার মত, কারন ঠিক যেমনটা কোম্পানি বলছিলো যে ৫ সেকেন্ডের মধ্যে ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতি উঠবে াআমি ঠিক তেমন পারফরমেন্সই পাচ্ছি আবার ইঞ্জিনটা অনেক স্মুদ যার কারনে আমি অনেক আরামদায়কভাবে পথ চলতে পারি
মাইলেজ নিয়ে বিস্তারিত বলতে গেলে আমি শহর এবং হাইওয়ে মিলিয়ে গড়ে মাইলেজ পাচ্ছি ৪০ কিলোমিটার প্রতি লিটার। আমার মনে হয় নতুন বাইক হিসেবে এই মাইলেজটা ঠিকই আছে যা সময়ের সাথে সাথে ভাল হবে বলেই আশা করি।
নতুন অবস্থায় থাকার পরেও আমি আমার মোটরসাইকেলটা একটানা চালিয়েছি ১৫০ কিলোমিটার এবং এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গতি উঠিয়েছি ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা যেখানে আমি সমস্যা বলার মত কোনকিছু খুজে তো পাইই নিই বরং আমি অনেক কম্ফোর্টেবল ছিলাম কন্ট্রোল এবং অন্যান্য ব্যাপারে