ওভারভিউঃ
টু-হুইল পছন্দকারী, বিশেষ করে শহরের রাস্তায় চলাচলকারীরা তাদের নিত্যদিনে চলাচলের জন্য স্কুটারে সিফট করছে। স্কুটার চালানো সুবিধাজনক, আকারে ছোট এবং স্টাইলিশও। দীর্ঘ ভ্রমণের জন্য বাইকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়, তবে শহর ভ্রমণের জন্য আজকাল যেকোন মানুষই স্কুটার বেছে নিচ্ছে। এই কথা মাথায় রেখে জাপানি এবং ভারতীয় ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিগুলো তাদের স্কুটারের জন্য সর্বচ্য প্রযুক্তি এবং ডিজাইনের দৌড়ে রয়েছে। এই প্তহে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে হিরো স্কুটারের একটি নতুন রেঞ্জ যুক্ত বাজারে এসেছে, নাম Hero Xoom 110। ডিজাইন, লুক এবং ফিচারের দিক থেকে এই স্কুটারটি অন্যদের থেকে আলাদা। এটি নতুন প্রজন্মের আধুনিক বৈশিষ্ট্যগুলির সাথে শার্প এবং এগ্রেসিভ ডিজাইন নিয়ে আসে। বেশ অনেক নতুন ফিচারই থাকছে এখানে, চলুন দেখা নেয়া যাক। .
Hero Xoom 110 এর আকর্ষনীয় ফিচারসঃ
- এরোডাইনামিক ডিজাইন
- 110cc সেগমেন্টে প্রথমবারের মতো বড় এবং চওড়া টায়ার
- উন্নতমানের প্রজেকশন এলইডি হেডল্যাম্প এইচ শেপ
- কর্নার লাইটস (Hics)
- ব্লুটুথ সংযোগ সহ কল/এসএমএস এলার্ট
- i3s ফুয়েল সেভিংস প্রযুক্তি
- রিয়েল টাইম মাইলেজ ইন্ডিকেটর সহ সম্পূর্ণ ডিজিটাল স্পিডোমিটার
- 110cc সেগমেন্টে ফাস্টেস্ট এক্সেলেরেশন। (ইন্টার্ণাল টেস্ট)
- সিগনেচার এইচ আকৃতির LED টেইল্যাম্প
- ডাইমন্ড কাট অ্যালয় হুইল
- এলইডি লাইট সহ সিটের নিচে স্টোরেজ
- USB চার্জিং পোর্ট
ডিজাইন এবং লুকঃ
Xoom 110 একটি বাজারে এসেছে ইউথফুল ডিজাইনকে সঙ্গে করে যার সামনের অংশ সবথেকে বেশি চোখ ধাঁধানো। এর এজি এলইডি প্রজেক্টর হেডলাইট X-আকৃতির যার সাথে LED DRL থাকছে, সাথে একটি H-আকৃতির LED টেললাইট এবং বাল্ব ইন্ডিকেটর রয়েছে৷ এরোডাইনামিক বাল্কি ডিজাইন নিশ্চিতভাবে মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে। কালো এবং ক্রোম ডিজাইন ম্যাট ফিনিশের সাথে মিলিত গ্লসি কালার স্কিমগুলি এর সৌন্দর্যে বৃদ্ধি করে। এমনকি সাইড প্যানেল থেকেও এই স্কুটারটিকে আকর্ষনীয় দেখায় কারণ বিশাল মাফলার এবং পিছনের দিকের বিশাল ডিজাইন। ডাইমন্ড কাট অ্যালয় হুইল বড় এবং চওড়া টায়ার সহ ডিজাইন সম্পূর্ণ করে খুব ভালভাবে।
ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশনঃ
সম্পুর্ন নতুন ডিজাইনের Xoom 110 স্কুটারটি 110.9cc সিঙ্গেল-সিলিন্ডার এয়ার-কুলড ইঞ্জিন দ্বারা চালিত যার আউটপুট 6.0kW (8.05 BHP) @ 7250 RPM ম্যাক্স পাওয়ার এবং 8.70 Nm @ 5700 RPM ম্যাক্স টর্ক। হিরো মায়েস্ট্রোর মতন এখানেও একই মোটর ব্যবহার করা হয়েছে , তবে এটি এখন ফুয়েল ইনজেকশন প্রযুক্তি এবং ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল ইউনিট দিয়ে তৈরী। Hero-এর মতে এই স্কুটারটি 110cc সেগমেন্টে সবচেয়ে দ্রুতগতির একটি এবং মাত্র 9.33 সেকেন্ডে 0-60 Km/H গতিতে পৌঁছাতে পারে। এমনকি এর FI প্রযুক্তির কারণে মাইলেজও ভাল পাওয়া যাবে।
অটোমেটিক ট্রান্সমিশনের সাথে এই স্কুটারটি শুধুমাত্র ইলেকট্রিক স্টার্টিং অপশন সহ পাওয়া যাবে।
ডাইমেনশন এবং চ্যাসিসঃ
Hero Xoom 110 আন্ডারবোন ফ্রেমের উপর তৈরি করা হয়েছে এবং সম্পূর্ণ ডাইমেনশনে রয়েছে, দৈর্ঘ্য 1881 মিমি, প্রস্থ ড্রাম এডিশনে 717 এবং ডিস্ক 731 মিমি এবং উচ্চতা 1118 মিমি। গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স পরিমাপে, পাওয়া যাবে 155 মিমি এবং হুইলবেস 1300 মিমি। এই স্কুটারটি যেকোন উচ্চতার রাইডারের জন্য ভাল হবে কারণ এটিতে 770mm সীট হাইট থাকছে। এই স্কুটারটি 5.2 লিটার ফুয়েল ট্যাংকসহ আসে এবং রিজার্ভ ট্যাঙ্কে 1.3 লিটার ফুয়েল রাখা যাবে।
ব্রেক, টায়ার এবং হুইলঃ
ব্রেকিং এর দিক থেকে হিরো তাদের Xoom 110 এ দুটি ভেরিয়েন্ট রেখেছে। ব্রেকিং ডিউটি পালনের জন্য সামনের দিকে 190mm ডিস্ক ব্রেক এবং পিছনে একটি ড্রাম ব্রেক থাকছে। অন্যদিকে VZ এবং ZX ভেরিয়েন্টের সামনের দিকে 90/90-12 টায়ার সেকশন এবং পিছনের দিকে 100/80 - 12 টায়ার রয়েছে। অন্যদিকে, বেস মডেল LX ভেরিয়েন্টের উভয় প্রান্তে ড্রাম ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে। উভয় দিকের টায়ারের পরিমাপ এই ভেরিয়েন্টের জন্য একই, যা 90/90-12। এই স্কুটারের জন্য ডাইমন্ড কাট অ্যালয় হুইলগুলি রাখা হয়েছে এবং সেগুলি কেবল দেখতেই সুন্দর নয়, বেশ টেকসইও।
সাসপেনশনঃ
Hero Xoom 110 এর সামনের দিকে টেলিস্কোপিক হাইড্রোলিক শক অ্যাবজরবার রয়েছে এবং পিছনের জন্য এখানে থাকছে স্প্রিং লোডেড হাইড্রোলিক ড্যাম্পার সুইং ইউনিট। একসাথে করলে ব্যবহারকারীরা রাস্তায় আরামদায়ক এবং স্টেবল রাইডিং অভিজ্ঞতা পাবেন।
মিটার কনসোলঃ
Xoom 110 স্কুটারে স্মার্টফোন সংযোগ এবং কল/এসএমএস এলার্টের সবুধার সাথে সম্পূর্ণ ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল দেখা যাচ্ছে। এই সুন্দর মিটারে ব্যবহারকারীদের জন্য আরো থাকছে লো ফুয়েল ইন্ডিকেটর, রিয়েল টাইম মাইলেজ কাউন্ট, কলার আইডি, এবং আরও অনেক বৈশিষ্ট্য যা নিখুঁত রাইডিংয়ের জন্য সহায়ক।
শেষকথাঃ
Xoom 110 তিনটি ভেরিয়েন্টে পাওয়া যায় - LX যা বেস মডেল এবং অন্য দুটি VX এবং ZX। শুধু তাই নয় পাওয়া যাবে পাঁচটি কালারঃ ম্যাট অ্যাব্র্যাক্স অরেঞ্জ, ব্ল্যাক, স্পোর্টস রেড, পোলেস্টার ব্লু এবং পার্ল সিলভার হোয়াইট। Hero পূর্ববর্তী ট্র্যাক রেকর্ড দেখে এটা বিবেচনা করা যেতে পারে যে Xoom 110 রাস্তায় ভাল পারফর্ম করবে। যাইহোক, দিনশেষে ব্যবহারকারীর ফিডব্যাক এই স্কুটারটিকে বাজারের অন্যান্য স্কুটারের থেকে আলাদা করবে।