Yamaha Banner
Search

English Version
2016-08-14


This user provides ratings about this bike


  8 out of 10
Design
Comfort & Control
Fuel Efficient
Service Experience
Value for money

Hoajue Cool Motorcycle Ownership Review by Samiul Islam Ullas


Haojue Coolমানুষ সাধারনত দুটি কারনে মোটরসাইকেল কেনে। প্রথমত শখে, দ্বিতীয়ত প্রয়োজনে। শখের কেনা মোটরসাইকেলের চাহিদা থাকে এক রকম আর প্রয়োজনে কেনা বাইকের চাহিদা থাকে আরেক রকম। প্রথম বাইকটি ছিলো আমার শখের বাইক। সেটি ছিলো TVS Metro 100cc দীর্ঘদিন সেটি ব্যবহার করার পরে গত বছর থেকে ব্যবহার করছি Haojue Cool. দীর্ঘদিন ইনডিয়ান বাইক ব্যবহার করার পরেও আমি কেন চাইনজি ব্রান্ডের বাইক কিনতে গেলাম, সে প্রশ্ন অনেকেই করেন। আর ব্যবহার করে কেমন পারফরমেন্স পাচ্ছি সেটিও অনেকেই জানতে চান। আমি এখানে সে প্রশ্নের উত্তরগুলোই দেবার চেষ্টা করবো।

ছোট বেলা থেকেই বাইকের প্রতি অন্যরকম ভালোলাগা থেকেই ১১বছর বয়সেই বাইক চালানো শিখে ফেলি। ছাত্র জীবনে বাইক কেনার অনুমতি না পেলেও কর্মজীবনে প্রবেশের পরপরই কিনে ফেলি নিজের প্রথম বাইক TVS Metro 100cc. সেটি দীর্ঘদিন ব্যবহার করি। সময়ের পরিক্রমায় আজ আমি এক কন্যা সন্তানের গর্বিত পিতা। আর অনেক দিন থেকেই ভাবছিলাম ১০০সিসি বাইকের পরিবর্তে একটু বেশি সিসি বাইক চালাবো একটু বেশি আরামদায়ক বাইক ড্রাইভিং এর জন্য। সেই কারনে প্রথম বাইকটি বিক্রি করে দেই এবং ১৫০সিসির বাইকগুলো নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে থাকি। বাইকের পারফরমেন্স যেমন জরুরী, দামও তেমনি জরুরী। একই সাথে দুটি জিনিসের সমন্বয় করা আসলেই কঠিন। এই কঠিন জিনিসকে সহজ করে দিলেন কোয়েল ভাই(KR Bike Center, Rajshahi)। তিনি আমাকে Haojue Cool বাইকটি দেখালেন। দাম আমার বাজেটের মধ্যেই আর মানের বেপারে তিনি আস্বস্ত করলেন। বাইকের বেপারে কোয়েল ভাইএর সুখ্যাতি রাজশাহীজুড়ে। আর তাই তার কথার উপরে ভরসা করতেই হয়। আর ভরসা করে যে আমি ঠকিনি সেটিই এখন বলবো।

বাইকটি আমি কিনি ২০১৫ সালের ৭ই জুলাই। বিগত ১বছর ধরে নিয়মিত আমি বাইকটি চালাই। প্রতিদিন অফিসে যাতায়াত, বাড়ীর বিভিন্ন কাজ, সাথে রয়েছে নিজের ঘুরাঘুরি। সব মিলিয়ে আমার ১০০সিসি বাইকটি পরিপূর্ন সন্তুষ্টি দিচ্ছিলোনা। Haojue Cool কেনার ক্ষেত্রে একটাই ভয়ে ছিলাম সেটি হলো এটি একটি চাইনিজ ব্রান্ড। এতোদিন ইনডিয়ান বাইক চালিয়ে অভ্যস্ত ছিলাম। এখন চাইনিজ বাইকের কোয়ালিটি কেমন হবে। আগের বাইকের মতো পারফরমেনস পাবো কি না এই নিয়ে কিছুটা দোটানায় ছিলাম। কোয়েল ভাই এর ভরসাতে বাইকটি কিনে চালানোর পরে বুঝলাম চাইনিজ বাইক মানেই খারাপ এই ধারনা থেকে আমাদের বের হবার সময় হয়ে এসেছে। বাইকটি নিয়ে শহরে ঘুরাঘুরি থেকে শুরু করে আন্ত:জেলা যোগাযোগ কোনো কিছুই বাদ দেই নাই। বাইকও আমাকে কখনও হতাশ করে নাই।

কালো রং এর বাইক আমার সব সময়েই প্রিয়। আর তাই কালো রং এর এই বাইকটির সংগে এরো ডাইনামিক ডিজাইন, সামনের ঢালু আরামদায়ত সিট, স্টালিশ কিন্তু রুচীশীল গ্রাফিকস আমার ব্যক্তিত্বের সাথে মানিয়ে যায়। কালোর সাথে সিলভার কালারের কম্বিনেশন বাইকটিকে অন্য মাত্রা এনে দিয়েছে।

বাইকটির সামনে রয়েছে ডিস্ক ব্রেক ও পেছনে ড্রাম ব্রেক। দুটি ব্রেকের কম্বিনেশনে বাইকটির নিয়ন্ত্রন চমতকার কিন্তু আমার কাছে পেছনের টায়ার প্রয়োজনের তুলনায় বেশি চিকন মনে হয়েছে। ১৫০সিসি বাইকের গতিকে থামাতে শক্তিশালী ব্রেকের পাশপাশি ভালো গ্রিপের আরেকটু চওড়া টায়ারও প্রয়োজন ছিলো। বাইকটির নরম সাসপেনশন, আরামদায়ক সিটিং পজিশন এবং সামনের ডিস্ক ব্রেক আপনাকে বাইকের উপরে দারুন কন্ট্রোল দেবে।
সেল্ফ স্টার্ট, ডিজিটাল মিটার, শক্তিশালী ও হেডলাইটের তীব্র আলো সহ বাইকের ইলেক্ট্রিক ফীচারগুলো আসলেই চমতকার। আমাকে কমবেশি প্রতিদিনই রাতে বাইক চালাতে হয়, কখনও হেডলাইটের আলোর অভাব অনুভব করিনি।

নীচু এবং গম্ভীর শব্দের ইনজিন আপনাকে শক্তি এবং গতির কথাই মনে করিয়ে দেবে। এর স্মুথ এবং শক্তিশালী থ্রটল রেসপন্স অবশ্যই আপনাকে আভিভুত করবে। শহরের ব্যস্ত রাস্তায় কিংবা হা্ইওয়ের দুরের পথে ইনজিনটি কখনই আমাকে আশাহত করে নাই। মাইলেজ হিসেবে লিটারে ৪৫কিমি পাই। ১৫০সিসি বাইক হিসেবে হয়তো ঠিকই আছে কিন্তু অন্তত ৫০কিমি হলে ভালো লাগতো।

সবই তো ভালো বললাম, খারাপ কিছু নেই? বাইক নিয়ে অভিযোগ না থাকলেও সার্ভিস নিয়ে কিছুটা অভিযোগ রয়েছে। বাজারে Haojue Cool এর স্পেয়ার পার্টস সহজে পাওয়া যায় না, এই অভিযোগ থাকলেও আমি এমন সমস্যায় পড়িনি কারন আমার বাইক এখনও এমন নষ্ট হয়নাই যে পার্টস পালটাতে হবে। কিন্তু কর্নফুলীর পক্ষ থেকে সার্ভিসিং টীমের দেয়া সার্ভিস গ্রহন করে আমি পরিপূর্ন সন্তুষ্ট হতে পারিনি। তাদেরকে কাজের ব্যাপারে আরো প্রফেশনাল হওয়া দরকার বলে আমার মনে হয়েছে।

পরিশেষে আমি এ কথাই বলতে চাই যে ব্রান্ড ভালো হলে বা বাইকের কোয়ালিটি ভালো হলে চাইনিজ ইনডিয়ান বা জাপানিজ বিষয়টি ততো গুরুত্বপূর্ন থাকে না। আর সত্যি কথা বলতে কি বাজেটের মধ্যে আধুনিক সুযোগগুলোর সমন্বয়ে একটি বাইক শুধুমাত্র চাইনিজদের পক্ষেই দেয়া সম্ভব। আর বাইকের স্থায়ীত্ব বাইকের কোয়ালিটির কারনে অবশ্যই হয়ে থাকে সাথে সঠিক যত্নও নিতে হবে। তাহলে আপনাকে ভুগতে হবে না।


Rate This Review

Is this review helpful?

Rate count: 3
Ratings:
Rate 1
Rate 2
Rate 3
Rate 4
Rate 5

More reviews on Haojue Cool

হাউজুয়ে কুল মোটরসাইকেল রিভিউ - জুয়েল রানা
2016-08-22

মোটরসাইকেলে হাতে খড়ি হয় যখন আমি ৮ম শ্রেনীর ছাত্র। আজ থেকে প্রায় ৪০বছর আগের কথা। বন্ধুর SUZUKI 80cc বাইকে বন্ধুর সাহায্যে...

Bangla English
2016-08-14

মানুষ সাধারনত দুটি কারনে মোটরসাইকেল কেনে। প্রথমত শখে, দ্বিতীয়ত প্রয়োজনে। শখের কেনা মোটরসাইকেলের চাহিদা থাকে এক ...

Bangla English
Filter