আজকে হোন্ডা ব্র্যান্ড নিয়ে আপনাদের সাথে নতুন করিয়ে পরিচয় করিয়ে দিতে চাই না । আমরা সকলেই জানি যে হোন্ডা ব্র্যান্ড কি এবং কেমন ক্যাটাগরির মোটরসাইকেল বাইকপ্রেমি মানুষদের জন্য বাজারে নিয়ে আসে। এরই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে মোটরসাইকেল প্রেমীদের জন্য হোন্ডা নিয়ে আসছে নতুন নতুন চাহিদাসম্পন্ন স্কূটার। চাহিদাসম্পন্ন স্কূটারগুলোর কথা বলতে গেলে একটা নাম উল্লেখ করতেই হয় হোন্ডা এভিয়েটর। হোন্ডা এভিয়েটর স্কুটারে রয়েছে স্টাইলিশ ডিজাইন এবং হাইরিচ কালার কম্বিনেশন । সিটি কভার থেকে শুরু করে স্কুটারটির সর্বত্র রয়েছে সুন্দর কালার। এদিকে হোন্ডা এভিয়েটর হচ্ছে হোন্ডার তৃতীয় মাস্কুলার স্কুটার যার রয়েছে মাস্কুলার লুক এবং এটা পুরুষদের লক্ষ্য করে তৈরি করা। তাই সময় নষ্ট না করে চলুন জেনে নেই স্কূটারটিতে কি কি ফিচারস রয়েছে।
আকর্ষণীয় ফিচারস
-সিবিএস ব্রেকিং
-HET ইঞ্জিন প্রযুক্তি
-AHO প্রযুক্তি
-এলয় হুইল,টিউবলেস টায়ার এবং সামনে ডিস্ক ব্রেক
-স্টাইলিশ স্টোরেজের মধ্যে মোবাইল চার্জ সকেট
ডিজাইন ও স্টাইল
হোন্ডা এভিয়েটরের ডিজাইন নিয়ে বলতে গেলে এটা হোন্ডার একটি মাস্কুলার লুকের মোটরসাইকেল যেটাতে রয়েছে প্রিমিয়াম মেটালিক লুক। স্টাইলিশ হ্যালোজিন হেডল্যাম্পের কারণে দেখতে সৌন্দর্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং প্রিমিয়াম স্টাইলের সিট কভারটিতে সুন্দর বাদামী কালার স্কুটারটির লুক বৃদ্ধি করেছে । সব মিলিয়ে গ্রাফিক্স এবং কালার কম্বিনেশন এবং বাদামী রঙয়ের সিট আপনাকে রাজকীয় অনুভুতি এনে দিবে।
ডাইমেনশন এবং ওজন
চমৎকার ডিজাইন এসেছে এর বডি ডাইমেনশন থেকে এবং হোন্ডা চেষ্টা করেছে তাদের এই স্কুটারটির সাথে সুন্দর বডি ডাইমেনশন সরবরাহ করার। এভিয়েটর ১১০ সিসির স্কুটারটির ডাইমেনশন রয়েছে লম্বায় ১৮০২মিমি, চওড়ায় ৭০৩ মিমি, উচ্চতায় ১১৬২ এবং ৭৯০ মিমি সিট হাইট। এসকলের পাশাপাশি আরও রয়েছে ১২৫৬মিমি হুইলবেজ এবং ১৪৫ মিমি গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স । এ সব কিছু মিলিয়ে এভিয়েটরের ওজন রয়েছে প্রায় ১০৫ কেজিতে।
ইঞ্জিন ও ট্রান্সমিশন
হোন্ডা ডিও এবং একটিভার মতই একই ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে এভিয়েটর ১১০ সিসি স্কূটারটিতে। ১০৯ সিসির সিংগেল সিলিন্ডার ফ্যান কুল্ড, ৪ স্ট্রোক ইঞ্জিন যেটা আউটপুট হিসেবে ম্যাক্স পাওয়ার দিবে 8bhp @7000rpm এবং ম্যাক্স টর্ক দিবে 8.77Nm @ 5500rpm । এই স্কুটারটির সাথে রয়েছে অটোমেটিক ট্রান্সমিশন এবং কিক ও সেলফ স্টার্ট অপশন। শুধু তাই নই হোন্ডা তাদের আধুনিক HET প্রযুক্তি এখানে ব্যবহার করেছে এই কারণে তারা দাবি করে যে স্কুটারটি মাইলেজ দিবে লিটার প্রায় ৬০ কিমি এবং টপ স্পীড দিবে ঘণ্টায় ৮২ কিমি।
চেসিস এবং সাসপেনশন
এভিয়েটর স্কুটারটি প্রস্তুত করা হয়েছে আন্ডারবোন ধরনের চেসিস দিয়ে এবং কোম্পানির মতানুসারে এই চেসিস ভাল স্ট্যাবিলিটি এবং পারফরমেন্স দিবে । রাইডারের যাত্রা আরামদায়ক করতে এতে ব্যবহার করা হয়েছে অনেক ভালো মানের সাসপেনশন। সামনের দিকে আছে টেলিস্কোপিক এবং পেছনের দিকে স্প্রিং লোডেড হাইড্রুলিক সাসপেনশন ব্যবহার করা হয়েছে।
হুইল এবং টায়ার
ওজন ধারণ করার জন্য এই স্কূটারটির উভয়দিকে আছে ১২ ইঞ্চি এলয় হুইল এবং সামনের দিকে আছে ৯০/৯০ টিউবলেস টায়ার এবং পেছনের চাকায় আছে ৯০/১০০ টিউবলেস টায়ার।
ব্রেকিং
ব্রেক হচ্ছে বাইকের একটি সেফটি ফিচারস এবং এই স্কুটারটির সামনের দিকে রয়েছে ১৯০ মিমি ডিস্ক সিবিএস ব্রেকিং যেটা আরেকটি সেফটি ফিচারস এবং পেছনের দিকে ১৩০ মিমি ড্রাম ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে।
মিটার এবং ইলেকট্রিক্যাল
স্কুটারটিতে ভালোভাবে সজ্জিত কিছু ইলেকট্রিক্যাল দিক লক্ষ্য করা যায়। এর মধ্যে রয়েছে ফুয়েল গেজ, এনালগ স্পীডো মিটার এবং আরপিএম মিটার। মিটার প্যানেলটি সম্পূর্ণ এনালগ সিস্টেমের। ইলেকট্রিক্যাল দিকগুলো বাইকটির প্যানেলটিকে আরও চমৎকার করেছে । ইলেক্ট্রিক্যাল ফিচারস এর মধ্যে রয়েছে
12V-3Ah (MF)ব্যাটারি, 12V 35/35W হ্যালোজিন বাল্ব টাইপ হেডল্যাম্প এলিডি টার্ন লাইট এবং পাস লাইট এবং AHO প্রযুক্তি।
শেষকথা
হোন্ডা এভিয়েটরের রয়েছে সুন্দর ডিজাইন এবং মাস্কূলার বডি আরও রয়েছে আকর্ষণীয় ফ্রন্ট লুক, কার্ভ হেডল্যাম্প। ক্লিয়ার লেন্স ইনডিকেটর, পাওয়ারফুল ইঞ্জিন এবং সর্বাধুনিক ফিচারস । এই স্কুটারটি দুইটি ধরনের এবং ৪ টি ভিন্ন রঙ্গয়ের রয়েছে সেগুলো হচ্ছে - Rebel Red Metallic, Pearl Amazing White, Pearl Igneous Black এবং Matt Selene Silver Metallic.