Home Bike Price E-Bike Compare Offer

হোন্ডা সিবি হরনেট ১৬০ আর ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা ৫০০০০কিমি ইসতিয়াক কবির

English Version

2021-06-29
Owned for 1year+ [] Ridden for 10000km+

This user provides ratings about this bike

9 out of 10

Design

Comfort & Control

Fuel Efficient

Service Experience

Value for money

This bike is purchased from Mithun Honda, Rajshahi

হোন্ডা সিবি হরনেট ১৬০ আর ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা ৫০০০০কিমি ইসতিয়াক কবির

honda-cb-hornet-160-r-user-review-50000km-by-istiak-kabir.jpg

আসসালামু আলাইকুম , আমি গত তিন বছর ধরে আমি ব্যবহার করছি হোন্ডা সিবি হর্নেট ১৬০ সিসি। এই বাইকটি যখন আমি কিনেছিলাম তখন এটি বাংলাদেশের বাজারে হোন্ডার প্রথম ১৬০ সিসির বাইক ছিল। মোটরসাইকেল ভ্যালী তে আমি এর আগে আমার হর্নেট নিয়ে অনেক অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি ।আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার হর্নেট নিয়ে ৫০ হাজার কিলোমিটার চলার অভিজ্ঞতা। আমি মনে করি যে আমার এই ৫০ হাজার কিলোমিটার চলার অভিজ্ঞতা যদি আপনাদের সাথে শেয়ার করি তাহলে আপনারা এই বাইকটি সম্পর্কে উপকৃত হবেন। বাজারে এখন হর্নেট সিঙ্গেল ডিক্স সচরাচর না পাওয়া গেলেও এর ডাবল ডিস্ক সিবিএস ভার্সন বাজারে রয়েছে। সেই সকল বাইকের পার্থক্য হচ্ছে সামান্য কিছু যেমন bs4 ইঞ্জিন ,গ্রাফিক্স পরিবর্তন, ও সামান্য ভেতরের কিছু পরিবর্তন। আমার এই রিভিউ আপনাদের সাথে শেয়ার করার ফলে আমি মনে করি যে হর্নেট বাইক সম্পর্কে আপনার অনেক ভাল একটি অভিজ্ঞতা পাবেন এবং ভুল ধারণা দূর হয়ে যাবে।

প্রথমেই বলি আমি এই বাইকের কিছু ভালো দিক যা ৫০ হাজার কিলোমিটার রাইড করার পরও অটুট রয়েছে

বাইক চালিয়ে অনেক আরামদায়ক । আমি এই ৫০ হাজার কিলোমিটার রাইডে অনেক দূর দূরান্তে পাড়ি দিয়েছি বাইকটি নিয়ে এবং সত্যিকার অর্থে বাইকটি আমাকে খুব ভালো সাপোর্ট দিয়েছে এবং বলতেই হয় যে হর্নেট আসলে অনেক কম্ফোর্টেবল একটি বাইক।
এর কন্ট্রোলও আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। ৫০ হাজার কিলোমিটার রাইড করার পরেও আমার কাছে বাইকের খারাপ কোনো অনুভূতি বা কন্ট্রোল লস হওয়ার মত অনুভূতি কোন কিছুই মনে হয় নি। কন্ট্রোলের দিক থেকে ৫০ হাজার কিলোমিটার আমি খুব ভালোই ফিডব্যাক পেয়েছি।

ইঞ্জিনের পারফরমেন্স এখন পর্যন্ত আমার কাছে ঠিক মনে হয়েছে। ইঞ্জিনের পারফরমেন্স নিয়ে ৫০ হাজার কিমি রাইড করে আমি সন্তুষ্ট।

মাইলেজ! এটা অবিশ্বাস্য যে আমি ৫০ হাজার কিলোমিটারের করার পরেও আমি এই বাইক থেকে এখন মাইলেজ পাচ্ছি শহরের মধ্যে ৪৫ কিলোমিটার প্রতি লিটার এবং হাইওয়েতে ৫০ কিলোমিটার প্রতি লিটার। ১৬০ সিসির বাইক থেকে ভালো মাইলেজ আশা করা যায় যদি সেটা হাই রেভ না করে চালানো হয়। আমি খুব সাধারন ভাবেই রাইড করি যার ফলে আমি এত সুন্দর মাইলেজ পাচ্ছি এবং আমি খেয়াল করে দেখেছি যে যখন আমি হাই রেভ করি তখন এ বাইকের মাইলেজ অনেকটাই কমে যায় কিন্তু এখন যেভাবে রাইড করছি সেখানে মাইলেজ ৫০ অবিশ্বাস্য। মাইলেজ নিয়ে আমি খুবই সন্তুষ্ট।

এইবার বলে বাইকের কিছু খারাপ দিক যেটা ৫০ হাজার কিলোমিটার চালানোর পরে অনুভব করেছি।

বাইকের ইঞ্জিনের পারফরমেন্স ঠিক আছে কিন্তু ট্যাপেড খুব দ্রুত লুজ হয়ে যায়। যার ফলে বাইকের ইঞ্জিন থেকে একটি ত্রুটিপূর্ণ শব্দ আসে। ইঞ্জিনের অন্যান্য বিষয় ঠিক আছে তবে আপনারা হয়তো জানেন যে একটি ইঞ্জিন ৫০ হাজার কিলোমিটার রাইট করার পরে আগের থেকে একটু পারফরমেন্স কমে যায় তবে আমার হর্নেট এমন কোন বিষয় মনে হয়নি । শুধুমাত্র ট্যাপেড এর শব্দটাই আমার কাছে একটু মন্দ লেগেছে।

এছাড়া মধ্যে অন্যান্য যে বিষয় গুলো রয়েছে সেগুলো সাধারনত সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে গিয়ে ঠিক করানো যায় আমি সেগুলো মন্দ দিক এর মধ্যে বলবো না।

৫০ হাজার কিলোমিটার আইডি আমি যা যা এখন পর্যন্ত চেঞ্জ করেছি

চেইন সেট একবার।
এয়ার ফিল্টার পাঁচবার
সামনের এবং পেছনের ব্রেক সু দুইবার
স্পার্ক প্লাগ পাঁচ থেকে ছয় বার

ইঞ্জিন অয়েল অনেকগুলো পরিবর্তন করেছে যার কোনো হিসাব নাই। বর্তমানে আমি ব্যবহার করছি মোবিল ওয়ান ১০W৪০ সিন্থেটিক। ইঞ্জিন অয়েল এর পারফরমেন্স অনেক ভাল লেগেছে আমার কাছে এবং এটা আমি সর্বদাই ব্যবহার করি।
৫০ হাজার কিলোমিটার রাইড করে আমি আমার বাইক থেকে খারাপ পারফরমেন্স পাচ্ছি না । আমার কাছে মনে হয়েছে যে বাইকের যথাযথ সার্ভিস করালে সেবাই পারফরমেন্স খুব ভালো দিবে সে যতই কিলো রাইড করা হোক না কেন। সবাই ভাল থাকবেন । ধন্যবাদ

Rate This Review

Is this review helpful?

Rate count: 1
Ratings: