একটা মোটরসাইকেল কেনার পেছনে অনেকের অনেক কারন থাকে। অনেকে যাওয়া আসার প্রয়োজনে কিনে, কেউ বা সাধারন যাওয়া আসার জন্যে আবার বাড়ি দূরে বাড়ির সাথে যোগাযোগ রক্ষার জন্যে। আমি আমার হোন্ডা হর্নেট সিবিএস বাইকটা কিনেছি আমার পেশাফত কারনে। মার্কেটিং এর জব করা কারনে আমাকে অনেক দুরের পথ পাড়ি দিতে হয় কিন্তু আমি অন্যান্য গতানুগতিক বাইক কেনার পক্ষপাতি না যেগুলা সাধারনত মার্কেটিং এর কাজে বেশি ব্যবহৃত হয়। আমি এমন একটা বাইক খুজছিলাম যেটা দিয়ে আমি যেকোন দুরুত্ব খুব আরামের সাথে পাড়ি দিতে পারবো সাথে সর্বোচ্চ আরাম এবং নিয়ন্ত্রন পাবো। সম্প্রতি আমি লক্ষ্য করছিলাম যে বাংলাদেশে সবচেয়ে নাম করা মোটরসাইকেল ব্রান্ড হোন্ডা তাদের মোটরসাইকেলের মডেল বেশ অসাধারনভাবে সাজিয়েছে যেখানে সব ক্যাটেগরির কোয়ালিটি আছে। আমি কৌতুহল বশতই শোরুমে গিয়ে দেখলাম হোন্ডার আলোড়ন সৃষ্টিকারী মডেল হর্নেটের আপডেট মডেল হর্নেট সিবিএস শোরুমে আছে। আমি শোরুম অফিসিয়ালদের কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে আমি সিদ্ধান্ত নিতে বেশি দেরি করিনি কারন আমি যা খুজছিলাম তার সবকিছুই বাইকটাতে আছে আর ব্রান্ড হোন্ডা হউয়াই প্রশ্ন করার তেমন কোন জায়গা নেই। প্রায় ১০ মাস হয়ে গেল আমি আমার হর্নেট সিবিএস বাইকটা ব্যবহার করছি যা আমি এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫০০০ কিলোমিটার চালিয়েছি। এই সময়ের মধ্যে আমার দেখা আমার বাইকের সবচেয়ে ভাললাগা দিকগুলা হলোঃ
-আমার বাইকটা ব্যালেন্স এককথায় অসাধারন যার জন্যে আমি যেকোণ নির্ভয়ে চলতে পারি
-সিবিএস ব্রেকিং সিস্টেম, যার ব্যাপারে আলাদা করে বলা কিছু নেই, গতি যতই হউক, মাথা ঠান্ডা থাকলে নিয়ন্ত্রন আমার হাতেই
-এই বাইকের আরাম উল্লেখ করার মত, ঘন্টার পর ঘন্টা চালিয়েও আমি কোনরকম সমস্যা টের পায় নি
-সিটিং পজিশন এবং হ্যান্ডেলবারের মধ্যে অসাধারন একটা কম্বিনেশন আছে যা প্রতিটা বাইক সেগমেন্টের বাইকের আলাদা এবং অন্যরকম একটা অনুভতি দেয়
আমি ১৫০০০ কিলোমিটার চালিয়ে তেমন কোন খারাপ দিক খেয়াল করতে পারিনি তবে আমার কাজ এবং চাকুরির প্রয়োজনে আমার কাছে মনে হয়েছে যে এই বাইকের মাইলেজটা আরেকটু বেশি হলে ভাল হতো। এটা আমি অভিযোগের সুরে বলছি না কারন এমন সেগমেন্টের বাইকের মাইলেজ তুলনামুলক কম তা আমি জেনেই বাইকটা কিনেছি তারপরেও সবাই একটু বেশি আশা করে, আমি করি।হাইওয়েতে আমি যদি বাইকটা ৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতিতে বাইক চালায় তবে মাইলেজ আশানুরপই পাই কিন্তু তার বেশি গতি উঠালে কেন জানি মনে তেল বেশি যাচ্ছে।
এই বাইকের দামটা আমার নাগালের মধ্যেই ছিল যা এই মডেলটা কেনার অন্যতম কারন। অন্যান্য ব্রান্ডের এই সেগমেন্টের বাইকের দাম তুলনামুলক বেশি।
এখন পর্যন্ত আমি একদিনে একটানা চালিয়েছি ১৫০ কিলোমিটার এবং সর্বোচ্চ গতি উঠিয়েছি ১০৯ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা যেখানে আমি কোনরকম সমস্যা বুঝতে পারিনি আর এই ব্যাপারটা বিবেচনায় রেখে আমি বলতে যে হোন্ডা হর্ণেট সিবিএস বাইকটা ঠিক আমার মনের মতই একটা মোটরসাইকেল।