নিজের ইচ্ছায় যাতায়াতের জন্য মোটরসাইকেল একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। আমার ব্যবসায়ীক কাজে জন্য আমাকে অনেক দূরের পথ পাড়ি দিতে হয়। তাই আমি দ্রুত এবং দীর্ঘ যাতায়াতের জন্য হোন্ডা সিবি ট্রিগার ১৫০ সিসির মোটরসাইকেলটি পছন্দ করে কিনেছি। ২ বছর মোটরসাইকেলটি ব্যবহার করে আলহামদুলিল্লাহ এখনো মেজর কোন সমস্যা পাইনি। এখন পর্যন্ত আমি ১৬০০০ কিমি পথ চালিয়েছি। আমি হাইওয়েতে ১১৫ গতিতে তুলতে সক্ষম হয়েছি এবং ১ দিনে ১০০ কিমি চালিয়েছি সমস্যা ছাড়া। মোটরসাইকেলটির ব্রেকিং সিস্টেম অনেক ভাল। আমি খুব সহজেই যে কোন পরিস্থিতিতে এটি কন্ট্রোল করতে পারি। আমি সব সময় এর ইঞ্জিন থেকে ভাল পারফরমেন্স পাচ্ছি। তবে মোটরসাইকেলটির বডির ডিজাইনটা আর একটু বড় হলে ভাল হত এবং তেল খরচটাও একটু কম হলে ভাল হত। আমার দিক থেকে মনে করি, হোন্ডা সিবি ট্রিগার একটি আরামদায়ক বাইক।
ভাল দিকঃ- ১/ দীর্ঘ যাতায়াতে ভাল অনুভূতি পাই। ২/ ব্রেকিং সিস্টেম অনেক ভাল। ৩/ ইঞ্জিন পারফরমেন্স ভাল পাচ্ছি। ৪/ দাম সঠিক রয়েছে।
মন্দ দিকঃ- ১/ তেল খরচ বেশি। ২/ ডিজাইন খুব একটা ভাল না।
মোটরসাইকেলটি পছন্দের কারণ?
এই মোটরসাইকেলটি পছন্দের মূল কারণ হল, কোন সমস্যা ছাড়াই এটির মাধ্যমে দীর্ঘ ও দ্রুত যাতায়াত করা যায়।
মাইলেজ সিটিঃ- ২৫ থেকে ৩০ কিমি।
মাইলেজ হাইওয়েঃ- ৩৪ থেকে ৩৮ কিমি।
বাইকটির ইঞ্জিন সম্পর্কে যা বলবো, এর ইঞ্জনটি খুবই শক্তিশালী। চলার পথে আমি কোন বাধা পাইনি। যে কোন পরিস্থিতিতে এটি আরামের সাথেই চালানো যায়। এর বডিটা দেখতে ছোট হলেও বডির প্লাস্টিক গুলো কিন্তু বেশ মজবুত। ২ বছর পরেও বাইকটির সেল্ফ স্টার্টে এখনো তেমন সমস্যা পাইনি। বাইকটির সিটিং পজিশনটি মোটামুটি বড় এবং আরামদায়ক। এটি কাচা রাস্তাতে চালালেও তেমন ঝাঁকুনি অনুভব করি না। বাইকটির চাকা দুটি মোটা এবং এর গ্রিপ গুলো দেখতে অনেক সুন্দর। পরিশেষে বলবো, আরামদায়ক বাইক হিসেবে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে আমার এই হোন্ডা সিবি ট্রিগার ১৫০ সিসির বাইকটি অনেক ভাল অনুভূতি এনে দিতে সক্ষম। সবাইকে ধন্যবাদ।