Honda CBR 150 motorcycle ownership review by Rad
ডিজাইন
HONDA CBR 150 একদিকে যেমন অত্যান্ত স্টাইলিশ অন্যদিকে এর মার্জিত লুক যেকোনো ব্যাক্তিকে, বিশেষ করে যারা স্পোর্টস বাইক পছন্দ করেন তাদের বিমোহিত করবে। অতি মজবুত চেসিসের এই বাইকটিতে পিছনে একজন নিয়ে বেশ আরামদায়ক ভাবে বসা যায় । এইদিকটি একটি স্পোর্টস বাইককে অন্য মাত্রায় নিয়ে যায়। ম্যাট ও ডার্ক কালারের গ্রাফিক্যাল কম্বিনেশান বাইকটিকে যেন অতিরিক্ত অলঙ্করণ করেছে। ভাই গাড়ীটির স্টাইল, গ্যাফিক্স, রং, এর সামনের দিক, পেছনের দিক সবকিছু মিলিয়ে এর যে সার্বিক লুক; বাংলাদেশের মতো জায়গায় এর থেকে ভালো দর্শনধারী বাইক আপনি আর কোথায় পাবেন? এই ইউজার ফ্রেন্ডলী বাইকটি নিয়ে আমি পরিপূর্নভাবে সন্তুষ্ট।
ব্যবহারের অভিজ্ঞতা
CBR চালিয়ে আমার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তা সত্যই অতি মধুর। কি শহরের ব্যাস্ত রাস্তা , কি হাইওয়ের দূরপথ, বাইকটি চালিয়েছি বললে ভুল হবে, আমি আসলে উপভোগ করেছি। বাইকটির দুর্দান্ত গতি আর অসাধারণ কন্ট্রোল বাইক চালানোর ক্ষেত্রে আপনাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যাবে । যদিও স্পোর্টস বাইক শহরের ব্যাস্ত রাস্তার জন্য না কিন্তু CBR এতই চমৎকার যে বাইকটি শহরের ব্যাস্ত রাস্তায় চালালে আপনার মনেই হবে না আপনি স্পোর্টস বাইক চালাচ্ছেন। আমি কয়েকবার বাইকটি নিয়ে লং ড্রাইভে গিয়েছি; একবার তো ২১০ কিলোমিটার রান করেছিলাম বাইকটি নিয়ে। আমি কোনই সমস্যার মুখে পড়িনি এবং ভ্রমণটি ছিল উপভোগ্য। ভাই কি শহরের রাস্তা বা হাইওয়ে আপনার কাছে মনে হবে আপনি একটা পাওয়ারফুল অথচ আরামদায়ক মেশিন চালাচ্ছেন।
মাইলেজ ও স্পীড
আপনার মনে হতে পারে এমন একটা বাইকের তেল খরচ অনেক বেশী হবে । কিন্তু আমাদের দেশে প্রাপ্ত অন্য যেকোনো স্পোর্টস ক্যাটাগরির ১৫০ সিসির বাইকের তুলনায় এর মাইলেজ অনেক ভালো। আমাদের দেশে প্রাপ্ত সব স্পোর্টস বাইক আমি চালিয়েছি, আমার কথা আপনি বিশ্বাস করতে পারেন। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এর মাইলেজ আর স্পীড নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নাই। আমি হিসাব করে দেখেছি ৩৫ কিমি / লিটার যায় এই শক্তিশালী মেশিন। ১৫০সিসির স্পোর্টস বাইকের কাছে এর থেকে ভালো আপনি আর কি আশা করতে পারেন ? আর টপ স্পীড ? আমি নিজে ১২৫ কিমি / ঘন্টা গতিতে বাইকটি চালিয়েছি, কিন্তু আমার যে সমস্ত বন্ধুদের এই বাইকটি আছে তারা আরও বেশী ১৩০ / ১৩৫ কিমি/ ঘন্টা গতিতে বাইকটি চালানোর দাবি করেছে।
নিয়ন্ত্রন
কন্ট্রোলের কথা আগেই অল্পবিস্তর বলেছি , আবারো বলছি এর কন্ট্রোল অসাধারণ বললে কম হবে, অতি অসাধারণ। আমি দেখেছি অন্যান্য ১৫০ সিসির স্পোর্টস বাইকে কখনো কখনো ব্রেক করলে স্কীড করে কিন্তু এই বাইকটির ওজন তুলনামুলক বেশী হবার কারণে বাইকটি নিয়ে আমি এই সমস্যায় কখন পড়িনি। ভালো কন্ট্রলের কারণে আমার মতো আপনার বাইকটি চালিয়ে নিশ্চিত, আরামদায়ক অনুভুতি হবে।
যেভাবে বাইকের যত্ন নেই
বাইকটির যত্ন নেয়ার ব্যাপারে আমার কোন কার্পন্য নাই কারণ বাইকটিকে এককথায় বলতে গেলে আমি ভালবাসি। প্রতিদিনের ঝাড়া মুছা করা বাদ দিলে মাসে অন্ত দুইবার আমি পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকনা কাপড় দিয়ে মুছি। এ ক্ষেত্রে আমি ওয়াসিং এক্সেসরিস ব্যবহার করি। আর প্রতিদিনই বাইকটি চালানোর আগে এর বিভিন্ন স্পেয়ার্স আমি চেক করে নেই।
ভালো দিক
- টায়ার খুবই আধুনিক আর উন্নত মানের
- হেডলাইট খুবই পাওয়ারফুল আর আকর্ষনীয়
- থট্রল চমৎকার কাজ করে
- ইঞ্জিন শব্দ শ্রুতিমধুর
- শক্তিশালী ইঞ্জিন
মন্দ দিক
- বাইকের খুচরা যন্ত্রাংশ বেশ দামী
- সময়ের আগেই যেনো ইঞ্জিন গরম হয়ে যায়
আমি প্রায় একবছর ধরে হোন্ডা কোম্পানির এই বাইকটি চালাচ্ছি আমার তেমন কোন অভিযোগ নাই। কোন ধরণের সার্ভিসিং ছাড়াই প্রায় ১৪ মাস ধরে বাইকটি চমৎকার পার্ফরমেন্স দিয়ে যাচ্ছে।