আমি মোঃ পরাগ হোসেন আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরব আমার ১০,০০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়ার অভিজ্ঞতা। এর আগেও আমি মোটরসাইকেলভ্যালীর মাধ্যমে আপানের সামনে তুলে ধরেছিলাম আমার প্রথম বাইক কেনার অভিজ্ঞতা আবার আমি তাদের মাধ্যমে আমার ১০,০০০ কিলোমিটার রাইডের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য হাজির হলাম। আমি গত ১ বছর যাবত ব্যাবহার করছি হোন্ডা কোম্পানির ১৫০ সিসি সেগমেন্টের সিবিআর বাইকটি।
ডিজাইন
ডিজাইন নিয়ে আগেও বলেছি এখনও বলছি আমার কাছে ডিজাইন অনেক ভালো লেগেছে। বডির কিট গুলো আসলেই মজবুত এবং আমি বাইকটি নিয়ে বেশ কয়েকবার রিকসার সাথে ধাক্কা লাগিয়েছি কিন্তু কিট গুলোর হালকা রং চটেছে কিন্তু কোন রকম ফাটল ধরেনি।আমি বিশেষ করে ডিজাইন ও বডি কিট গুলো নিয়ে সন্তুষ্ট আছি।
কন্ট্রোল
কন্ট্রোল!আসধারন আমি টপ স্পীড ১৪৭ কিলোমিটার তুলেছি কিন্তু কোন প্রকার ভাইব্রেট পাইনি আমাই খুব স্মুথলি বাইকটি কন্ট্রোলও করতে পেরেছি।জরুরি সময় গুলতে আমি বেশ ভালো ভাবে বাইকটি কন্ট্রোল করতে পারি পেছনের চাকা মোটা এর ফলে বাইকটি করনারিং করতে সুবিধা হয়। আরও একটি ভালো দিক হল আমি এখন পর্যন্ত স্লিপ করিনি। আমার কাছে বাইকটির কন্ত্রলিং মারাত্বক রকমের ভালো লেগেছে।
কম্ফোরট
আমি সময় পেলেই দূরে ঘুরতে যাই সেই ক্ষেত্রে আমি একটু বেক পেইন ফিল করি এটির আরও একটি কারণ আমি মনে করি বাইকটির ধরন স্পোর্টস হওয়ার কারনে এমন হতে পারে। তবে সীট এবং সিটিং পজিশন বেশ আরামদায়ক। বাইকটির হ্যান্ডেলবারটি অনেক স্মুথ এবং খুব সহজে কন্ট্রোল করা সম্ভব হয়।আমি বিশেষ করে বলতে চাই সাস্পেসনের কথা আমার দেখা সব থেকে সেরা মনে হয়েছে আমার কাছে আমি অনেক ভাঙ্গা পথ দিয়ে বাইক ড্রাইভ করেছি কিন্তু কখনই তেমন ঝাঁকুনি অনুভব করিনি।সব মিলিয়ে কম্ফোরট নিয়ে আমি বেশ খুশি।
ইলেকট্রিকাল
আমি বাইকটি নিয়ে প্রাই সময় রাতে ঘুরতে যাই সেই ক্ষেত্রে সব থেকে বড় অস্ত্র হল হেডল্যাম্প এবং হেডল্যাম্পটি বেশ ভালো এবং অনেক দূর পর্যন্ত আলো ছড়ায় বাইটিতে দুটি হেডল্যাম্প হওয়ার কারনে আরও জোরালো আলো পাওয়া যায়। আমি আরও বলতে চাই বাইকটির মিটার নিয়ে মিটারটি ফুল ডিজিটাল হওয়ার কারনে আমার কাছে অনেক সহজ মনে হয় সব কিছু এবং সুইচ গুলোর কোয়ালিটি অনেক অনেক ভালো এবং ব্যাবহার করে অনেক ভালো আরাম পাওয়া যাচ্ছে।আরও একটি বিষয় হচ্ছে বাইটির ব্যাটারি অনেক ভালো সার্ভিস দিচ্ছে আমাকে।
ইঞ্জিন
বাইকটির ইঞ্জিন বেশ ভালো মনে আমার কাছে প্রথমের দিকে একটু ওভারহিট হত কিন্তু এখন ইঞ্জিনের পারফরমেনস অনেক ভালো হয়েছে আর আগের মত ওভারহিট হয়ানা। আমি এখন পর্যন্ত ইঞ্জিনে কোন রকম ত্রুটিপূর্ণ শব্দ লক্ষ্য করিনি।ইঞ্জিন পাওয়ার অনেক বেশি এবং আমি ইঞ্জিন নিয়ে সন্তুষ্ট।
মাইলেজ
আমি ৩৮ কিলোমিটার মাইলেজ পাচ্ছি যেটি আমার কাছে সোনায় সোহাগা। আমি ৩০ কিলোমিটার মাইলেজ আশা করেছিলাম সেই তুলনাই অনেক ভালো মাইলেজ পাচ্ছি।
দাম ও সব মিলিয়ে
আমার কাছে দাম একটু বেশি মনে হয়েছে। তাছাড়া আমি সব মিলিয়ে বাইকটি আমার অনেক প্রিয় এবং ভালো লাগার জিনিস।
খারাপ দিক
-দাম
ভালো দিক
-ইঞ্জিন
-ডিজাইন
-মিটার প্যানেল
-কন্ট্রোল