স্বপ্ন ছিলো প্রিমিয়াম ক্যাটাগরির বাইক কিনবো। সেই স্বপ্ন আজ বাস্তবায়ন হয়েছে হোন্ডা সিবিআর ১৫০ আর বাইকটি ক্রয় করে। এই বাইকটি কিনেছিলাম আজ থেকে প্রায় চার মাস আগে আর এই ৪ মাসের মধ্যে আমি প্রায় ৪ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছি। আমি বেশিরভাগ লং রাইড করতে পছন্দ করি তাই এই বাইকটি নিয়ে প্রায়শই দূরে কোথাও ঘুরতে যাই। সিবিআর ১৫০আর বাইকটির ডিজাইনটা আমার খুব ভালো লাগে পাশাপাশি এর থ্রটল রেসপন্স অনেক দ্রুত। যেহেতু হোন্ডার বাইক তাই ইঞ্জিন কোয়ালিটি নিয়ে কোন শংকা নেই কিন্তু মাঝে মাঝে ইঞ্জিন থেকে একটা অপ্রত্যাশিত শব্দ আসে যেটা আমি এখন বুঝে উঠতে পারিনি যে এটা কিসের শব্দ। তাছাড়া ইঞ্জিনের মাইলেজ থেকে শুরু , শক্তি, পারফরমেন্স ইত্যাদি সব কিছুই অনেক প্রশংসনীয়। এদিকে আরেকটি লক্ষ্যনীয় বিষয় হচ্ছে যে বাইকের সিটিং পজিশন অত্যাধিক ভালো যার জন্য যতই রাইড করিনা কেন কোন ক্লান্তি বোধ করি না।
আমার বাইকের ভালো দিকগুলো হচ্ছে
-নজরকাড়া ডিজাইন
-দ্রুত এক্সেলেরেশন
-ওজন পারফেক্ট
-ব্রেকিং ও ব্যালেন্স অনেক সুন্দর
খারাপ দিকের মধ্যে রয়েছে
-ইঞ্জিন থেকে অপ্রত্যাশিত শব্দ আসে
-স্টক চেইনে সমস্যা আছে।
আমি হাইওয়েতে মাইলেজ পাচ্ছি ৪৫ কিলোমিটার প্রতি লিটার এবং শহরের ব্যস্ততম রাস্তায় পাচ্ছি ৪০ কিলোমিটার প্রতি লিটারে।
বাইকের পার্টসগুলো মজবুত মনে হয়েছে কিন্তু অতিরিক্ত দাম হওয়ার কারনে কোনো পার্টসে আঘাত লাগলে মনে বড়ই কষ্ট লাগে। এছাড়া কালার কম্বিনেশন অনেক ভালো বিশেষ করে গ্রাফিক্যাল বিষয়গুলো খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। আমি রাতে রাইড করে হেডল্যম্পের আলোটা একটু কম অনুভব করেছি।
আমার পছন্দের কারণ
সিবিআর ১৫০আর বাইকটির যে বিষয়টি আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লেগেছে তা হলে এর সিটিং পজিশন কারণ এই সিটিং পজিশনে বেশিক্ষন রাইড করেও কোন ক্লান্তিবোধ হয় না বরং যত রাইড করি ততবেশি মজা লাগে।
আমার মনে হয় বাইকের পার্টসের দাম একটু কম করা উচিত। পার্টসের অত্যাধিক দামের জন্য অনেকেই বাইক কেনার আগে অনেকেই দ্বিধাগ্রস্থ হয়ে যান। আর পার্টসের দামের পাশাপাশি বাইকের দামটাও কমানো উচিত বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি।