আমি মোঃ সুজন । আজ আমি আপনাদের আমার চলার পথের সঙ্গী ইন্দোনেশিয়ান সি বি আর নিয়ে ব্যাক্তিগত কিছু মতামত শেয়ার করবো, ভুল হলে হ্মমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। শুরু করার আগে আমি আপনাদের একটি বিষয় জানিয়ে দিই সেটা হল আমি এই বাইকটা রাইড করেছি এখন পর্যন্ত প্রায় ২৩ হাজার কিলোমিটার। আমার এই ২৩ হাজার কিলোমিটার রাইডিং অভিজ্ঞতা আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।
বাইকটি দেখতে খুবই সুন্দর , বিশেষ করে তার চোখ গুলো, হেড লাইট জ্বলে থাকার কারণে সামনে থেকে দেখলে যে কেউ প্রেমে পড়ে যাবে (আমার না, বাইকের প্রতি)। ব্যাক প্যানেল দেখতে প্রায় ইয়ামাহা R15 v2 এর মত।এর ট্যাংক ও সিট এর পজিশন সব মিলিয়ে বাইকে বসলেই রেসিং একটা ভাব চলে আসে, এই বাইকের হ্যান্ডেল বার উঁচু হওয়ায় অন্যান্য স্পোর্টস বাইক থেকে এই বাইকের রাইডিং কম্ফোর্ট বেশি, তবে পিলয়ন সহ এই বাইক চালালে আপনার হাত ব্যাথা হয়ে যাবে, আর পিলিয়ন বেশিহ্মন বসে থাকলে তার পশ্চাৎদেশ এর কি হবে তা বুঝে নিয়েন , তবে আপনি একা চালালে আপনার মনে হবে আপনি বিমান চালাচ্ছেন,মজাই মজা।আমি এই বাইক চালিয়ে কখনো বেক পেইন অনুভব করিনি, তবে পিলিয়ন নিয়ে চালিয়ে হাতে পেইন অনুভব করেছি।এই বাইকটা যেমন দেখার মত ঠিক তেমন শুনার মত এর ইঞ্জিন সাউন্ড,
খাগড়াছড়ি শহরে এই বাইকের মাইলেজ আমি ৩৮ এবং হাই ওয়েতে ৪২ পাচ্ছি। আমি ইঞ্জিন অয়েল মটুল সিন্থেটিক 10w40 ইউজ করছি ১১০০ এম.এল করে,২২০০/২৬০০ কি.মি এর মধ্যে ইঞ্জিন অয়েল ড্রেইন দিচ্ছি।
ব্রেকিং আমার কাছে আশানুরূপ ভাল লাগেনি(তবে খারাপ না) , ব্রেকিং টা আরো ভাল করা উচিৎ ছিলো। বাইকের পিছনে মিশেলিন রেডিয়াল পাইলট ১৩০/৭০/১৭ এবং সামনে আই আর সি এর ১০০/৮০/১৭ টায়ার লাগানো।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি রেডি পিক-আপ এর বাইক মনে হয় ইন্দো সি বি আর, (মোডিফাইড বাইক ছাড়া)। তবে এই বাইক এর টপ কম, আমি একা চালিয়ে ১৪২ এবং পিলিয়ন সহ ১৩৭ টপ পেয়েছি,ইচ্ছা করলে আরো ১/২ বেশি তুলতে পারতাম হয়তো, কিন্তু রিস্ক নিইনি।
এই বাইকের কাজ অনেক বাইক মেকানিকই বুঝেনা,তবে বংশাল এর জসিম ভাই এবং তেজগাঁও এর আনোয়ার ভাই, এই দুইজনের কাজে আমি মুগ্ধ। স্পেয়ার পার্টস এর দাম তুলনামূলক বেশি, তবে right stop motor gear এ অন্যান্য দোকানের তুলনায় দাম আমি কম পেয়েছি, তারপরেও আপনারা দাম যাচাই করে নিবেন, যার থেকেই নেন।
এতক্ষন পড়ছিলেন আমার ইন্দ সিবিআর ১৫০ আর বাইকের রিভিউ আশা করি এই রিভিউ পড়ে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।