আমি মো শফিকুল ইসলাম । বর্তমানে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছি তাই চাকরির কাজের জন্য একটি বাইকের প্রয়োজনীয়তা উপলদ্ধি করতে পারি । আমি এর আগে এফযেডএস ভার্সন ৩ ব্যবহার করেছিলাম কিন্তু কিছুদিন তা ব্যবহারের পর আমি একটি স্পোর্টস বাইকের চাহিদা উপলদ্ধি করি ও মনে মনে একটি স্পোর্টস বাইক কেনার কথা চিন্তা করি । আমার আর ওয়ান ফাইভ ভার্সন 3বাইকটি ব্যক্তিগত দিক থেকে ভালো লাগলেও কম্ফোর্ট এর ব্যপারে রেপসলের ব্যাপারে আমাকে অনেকেই সাজেস্ট করে ।বাইকটি স্পোর্টস ক্যাটাগরির একটি বাইক সাথে কম্ফোর্ট এর পরিমান ও বেশ বেশি আছে এছাড়াও শহরে চালিয়ে বেশ আরাম পাওয়া যায়। তাই পরবর্তিতে কোন রকম ভাবনা চিন্তা ছাড়ায় আমি হোন্ডা রেপসল ১৫০ বাইকটি কিনে ফেলি।বাইকটি কেনা আমার খুব বেশি দিন হয়নি। এই যাবত আমার ৩৭০০ কি মি চালানো হয়েছে মাত্র । তাই এই বাইক এর অভিজ্ঞতা খুবই কম বলা চলে । তবুও কিছু কিছু বিষয় আমি লক্ষ করেছি যেগুলো উল্লেখ না করলেই নয়। রেসিং ক্যটাগরির একটি বাইক হওয়া সত্তেও সিটিং পজিশন বেশ কম্ফোর্টেবল। R15 v3 এর মত সিটিং পজিশন ডাউন না তাই মাজায় বেথা অনুভব করিনা। সিটির মধ্যেও অনেক সাচ্ছন্দেই আমি যাতায়াত করতে পারি ।বাইকের পারফরমেন্স এ আমি মুগ্ধ। এই পর্যন্ত ৮০০ কিমি একটানা চালিয়ে সিলেট এ পৌছিয়েছি কিন্তু টুর দিয়ার সময় কোন রকম মাজা বেথা বা বাইকের সমস্যা উপলদ্ধি করিনি । বাইকটি একদম নিখুত ভাবে আমাকে আমার গন্তব্যে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। তবে পিলিওয়ন এর জন্যে একটি সমস্যার বিষয় হলো বাইকটি তে কোন পিলিওয়ন গ্র্যাব রেইল নেই । এছাড়াও পিলিওন বেশিক্ষণ ধরে বসে থাক্তে পারেনা বাইকটি তে। তবে এর ডিজাইন ও আউটলুক অত্যান্ত দারুণ । হেড লাইট অন করলে সামনে থেকে দেখলে অত্যান্ত আক্রমণাত্মক লুক পাওয়া যায় যা আমার খুবই পছন্দ হয়েছে। বাইকটি একটু স্লিম বাইক। বডি কিট থাকা সত্তেও বাইকটি যথেষ্ট স্লিম তাই সিটির মধ্যে চালানোর সময় কিটের সাথে অন্যান্য যানবাহন বেধে যাওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কম থাকে । বাইকটির সামনে দেওয়া হয়েছে এবিএস ব্রেকিং সিস্টেম যা রেসিং ক্যটাগরির বাইকের জন্যে অনেক জরুরী। যেকোন বিপদজনক পরিস্থিতিতে এ বি এস ব্রেকিং সিস্টেম এর দরুন আমি বাইক থামিয়ে দিতে সক্ষম হয় । তাই আল্লার রহমতে আজ এই পর্যন্ত কোন দুর্ঘটনার সম্মুখীন হইনি ।
বাইকটির কিছু ভালো দিক ও মন্দ দিক রয়েছে যা আমি একে একে উল্লেখ করতে চাই ।
ভালো দিক সমুহ ঃ-
-ডিজাইন ও লুক বেস আকর্ষনীয়
-বডিশেপ অত্যান্ত নিখুত ভাবে বানানো তাই কন্ট্রোল করে সুবিধা ।
- রেসিং বাইকের সেরা অনুভুতি পাওয়া যায় ।
- স্পোর্টস বাইক হিসেবে অনেক আরামদায়ক ।
-মাইলেজের দিক থেকে যতটা আশা করেছিলাম তার থেকে বেশি পাই।
মন্দ দিক সমহু ঃ-
-লং ড্রাইভে পিলিওন বেশিক্ষন বসে থাকতে পারেনা ।
হোন্ডা সি বি আর রেপসল বাইকটি কেনার পেছনে মূল কারন ছিলো মুলত রেসিং ক্যটাগরির মধ্যে অনেক কম্ফোর্টেবল একটি বাইক। সকলের এই মতামতের উপর ভিত্তি করেই আমার এই বাইকটি কেনা ।তবে চালানোর কিছুদিন পর আমি তা সত্যই উপলদ্ধি করতে পারি ।
রেসিং ক্যটাগরির একটি বাইক হওয়ায় আমি আশা করেছিলাম মাইলেজ কিছুটা কম পাবো । তবে কিছুদিন রাইড করার পর মাইলেজ মেপে দেখি । শহরে এর মাইলেজ পাই ৩২-৩৫ কিমি প্রতি লিটার তেলে ও সিটির বাইরে এর মাইলেজ পাই ৪২-৪৩ কিমি প্রতি লিটার তেলে যা আমার যে প্রত্যাশা ছিল তার থেকে অনেক বেশি ।তাই সব দিক বিবেচনা করে বাইকটি আমার খুবি পছন্দ হয়েছে , যাকে বলে একের ভিতর সব । যাইহোক আর বেশ কিছু বলবো না । আপ্নারা যারা আমার রিভিউটি পড়লেন তারা আমার এই রিভিউটি থেকে উপকৃত হবেন এই আশা করছি ।