আমার ব্যক্তিগত প্রয়োজন একইসাথে আমার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান দেখাশোনার কাজে একটা মোটরসাইকেল আমার সার্বক্ষনিক সংগী কিন্তু আমি সাধারন বা গতানুগতিক মোটসাইকেল থেকে একটু আলাদা রকমের মোটসাইকেল খুজছিলাম যা দিয়ে আমি দৈনন্দিন প্রয়োজনসহ পারিবারিক কাজগুলাও সেরে নিতে পারবো একইসাথে সেটা নিয়ে চলেফিরেও আমি আরাম পাবো। এইসকল বিষয় মাথায় রেখে আমি একদিন হোন্ডা শোরুমে গেলাম এবং সেখানে রাখা সাদা রঙের হোন্ডা ডিও বাইকটার দিকে আমার চোখ আটকে যায় কারন সে বাইকটা ছিল স্কুটার মডেল যা আকারে ছোট আবার ইঞ্জিন হলো ১১০সিসির অর্থাৎ ঠিক আমি যেমনটা খুজছিলাম ঠিক তেমনই একটি মোটরসাইকেল আমি খুজে পেয়েছি। আমি সময়ক্ষেপন না করে বাইকটা কিনে ফেলি যার বয়স এখন প্রায় ৮ মাস এবং আমি বাইকটা ব্যবহার করেছি প্রায় ৫০০০ কিলোমিটার।
বলা বাহুল্য যে আমি এই বাইকটাতে এখনও সরাসরি খারাপ বলার মত কোন দিক আমি খুজে পায় নি বরং নিম্নে উল্লেখিত বিষয়গুলা আমার কাছে খুব লেগেছেঃ-হোন্ডা ডিও মোটরসাইকেলটা অনেক স্মুদ একটা মোটরসাইকেল আর এই কারনে আমি এখন পর্যন্ত পরিপুর্ন তৃপ্তি নিয়ে আমার স্কুটারটি রাইড করে যাচ্ছি
-এর কন্ট্রোলটা অসাধারন যার কল্যানে আমি আমার আশাপাশের জেলাতে যেতেও পিছ পা হই না
-১১০সিসির একটা বাইক হিসেবে আমি যা মাইলেজ পাচ্ছি তা নিয়ে আমি অনেক হ্যাপী
-এর লুকিংটা অসাধারন বিশেষত কালার কম্বিনেশনটা সবার চোখে পড়ার মত,
আমি সাদা রঙেরটা পছন্দ করেছি ব্যতিক্রম দেখেই কারন কালো/লাল বাইকও তো খুব সাধারনভাবেই দেখা যায় এখন যদি প্রশ্ন করা হয় যে এই স্কুটার সেগমেন্টের অন্যান্য ব্রান্ডের আরও অনেক বাইক থাকার পরেও কেন আমি হোন্ডার ডিও মডেলটা পছন্দ করলাম সেক্ষেত্রে আমি বলবো আমি হোন্ডার প্রতি আমার ভাল লাগা অনেক আগে থেকেই আবার হোন্ডার ব্রান্ড ভ্যালু নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নাই।
মাইলেজ নিয়ে বিস্তারিত বলতে গেলে আমি বর্তমানে গড়ে মাইলেজ পাচ্ছি ৪৫ কিলোমিটার প্রতি লিটার যা ১১০সিসির একটা বাইকে যথেস্ট না হলেও আমি এই মাইলেজ সন্তুষ্ট কারন আমি মাইলেজের চেয়ে পারফরমেন্সকে প্রাধান্য দিয়ে থাকি।
এখন পর্যন্ত আমার এই বাইকে আমি সর্বোচ্চ গতি উঠিয়েছি ৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা এবং একটানা চালিয়েছি ১২০ কিলোমিটার বা তার কিছু বেশি। এই সময় একটা ব্যাপার আমার নজরে এসেছে তা হলো এর সাসপেনশনগুলা ভাংগা রাস্তায় একটু কম কাজ করে বলে আমার মনে হয়েছে। তাছাড়া বাকিসব ঠিকঠাকই আছে।